ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন এ মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানি‌য়ে ব‌লে‌ছেন, “এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ যেসব সাবেক মন্ত্রীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা ‘ফ্যাসিস্ট’ হিসেবে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে মামলা চলমান। একই মামলায় ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা অনভিপ্রেত, অযৌক্তিক ও উদ্বেগজনক।”

তিনি বলেন, “মাইনুল হাসান সোহেল পেশাদার সাংবাদিক, দায়িত্বশীল সংগঠক এবং স্বচ্ছ পরিচয়ের অধিকারী। প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেনও দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে ডিআরইউতে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদেরকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে দেখানোর কোনো প্রমাণ নেই, এমন অভিযোগের বিন্দুমাত্র সত্যতা পাওয়ারও সুযোগ নেই।”

ডিআরইউ সভাপতি অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি মহল এই দুজনকে মামলায় জড়িয়েছে, যা পরিষ্কারভাবে হয়রানির শামিল।

তিনি অবিলম্বে মামলাটি থেকে ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেনের নাম বাদ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ডিআরইউর সম্পত্তি সম্প্রসারণকে কেন্দ্র করে অনেকদিন ধরেই জাকির গং ডিআরইউ নেতৃবৃন্দকে মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিয়ে আসছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেনকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো জাকির গংয়ের ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই মনে করে ডিআরইউ ইসি কমিটি।

গত ১৫-১০-২০২৫ তারিখে রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (আমলী–রামপুরা), ঢাকায় জনৈক মো.

সালাউদ্দিন মামলা (সিআর মামলা নং—৪৭৮) দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুসহ ১৭৬ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিদের তালিকায় ১৭৪ নম্বরে ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলকে এবং ১৭৩ নম্বরে ডিআরইউর প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেনকে আওয়ামী লীগ নেতা ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড আরইউর স ড আরইউ

এছাড়াও পড়ুন:

ডিআরইউ লেখক সম্মাননা পেলেন ২৯ সাংবাদিক

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্যদের সাহিত্য চর্চায় উৎসাহিত করতে ডিআরইউ লেখক সম্মাননার আয়োজন করে। এ বছর ২৯ সদস্য লেখককে সম্মাননা জানানো হয়।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) ডিআরইউ শফিকুল কবির মিলনায়তনে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মাননাপ্রাপ্তদের নগদ অর্থ, ক্রেস্ট, সনদ প্রদান ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন।

আরো পড়ুন:

বিভক্তির কারণে সাংবাদিকেরা রাজনীতিকদের পকেটে ঢুকে যান: ফখরুল

এনসিপির নির্বাচনি মিডিয়া উপ-কমিটির প্রধান মাহাবুব

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, নারীবিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য আমিনুল হক ভূঁইয়া ও সুমন চৌধুরী।

কথা সাহিত্য (গল্প/উপন্যাস): রকিবুল ইসলাম মুকুল, আমিরুল মোমেনীন মানিক, জহিরুল ইসলাম, ফারুক খান, জামশেদ নাজিম, মুজতাহিদ ফারুকী ও ইন্দ্রজিৎ সরকার।

কাব্য (কবিতা/ছড়া): হাসান হাফিজ, মুহম্মদ আবদুল বাতেন, সালাম ফারুক, আতিকা রহমান ও এম মামুন হোসেন।

মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা): আসিফ হাসান, হেলিমুল আলম, আবু আলী, তরুণ সরকার, মুহম্মদ নূরে আলম, আবু সুফিয়ান, মাইদুর রহমান রুবেল, মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, মেহেদী হাসান ডালিম, মেসবাহ শিমুল, প্রণব মজুমদার, ইবরাহীম খলিল, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মানিক মুনতাসির, শামসুজ্জামান শামস, আহম্মদ ফয়েজ ও রফিকুল ইসলাম রতন।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিআরইউ লেখক সম্মাননা পেলেন ২৯ সাংবাদিক