হবিগঞ্জ পৌরসভার কোটি টাকা মূল্যের চারটি ট্রাক, চারটি রোড রোলার ও একটি ট্রাক্টর বহুদিন ধরে অব্যবহৃত পড়ে আছে। অচল থাকায় যানবাহনগুলো আগাছার নিচে চাপা পড়েছে। এমনকি গাড়িগুলোর যন্ত্রাংশও নেই জায়গামতো।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌরসভার কিবরিয়া মিলনায়তন প্রাঙ্গণে তিনটি ট্রাক, দুইটি রোড রোলার ও একটি ট্রাক্টর অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যানবাহনগুলোর গায়ে জং ধরেছে। যন্ত্রাংশ ও বডির পাতের অনেক অংশ কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে। টায়ার মাটির নিচে ঢুকে গাড়িগুলো এখন রিংয়ের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। 

আরো পড়ুন:

গাছ থেকে সাইনবোর্ড ও পেরেক তোলার অভিযান হিলি পৌরসভার

চাটমোহর পৌরসভা সড়ক খানাখন্দ ভরা, সীমাহীন দুর্ভোগ

পুরাতন পৌরসভা এলাকার একটি পরিত্যক্ত স্থানে একটি ট্রাক লতাপাতার নিচে ঢাকা পড়ে আছে। শুধু চালকের আসন ও স্টিয়ারিং ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। ওই স্থানে থাকা দুইটি বড় রোড রোলারে গাছ গজিয়ে উঠেছে, চাকা খুলে পাশের পরিত্যক্ত জলাশয়ে পড়ে আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার একজন শ্রমিক জানান, তিনি কয়েকদিন ধরেই যানবাহন ও যন্ত্রপাতি পাহারা দিচ্ছেন। বেশিরভাগ যানবাহন দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হয়নি দেখলেই তা বুঝা যায়।

পুরাতন পৌরসভা এলাকায় জহুর আলী রেস্তোরাঁর মালিক আবিদুর রহমান রাকিব বলেন, “রোড রোলার ও ট্রাকগুলো বহু বছর ধরে এখানে পড়ে রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ এগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করছে না এবং ভাড়াও দিচ্ছে না। জনগণের সম্পদ নষ্ট হওয়া উচিত নয়। এগুলো মেরামত করে উপযুক্ত কাজে লাগানোর দাবি করছি।”

হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো.

শামছুল হুদা বলেন, “পৌরসভার জনবল ও উপকরণের সীমাবদ্ধতার কারণে শহরের রাস্তার খানাখন্দ ঠিক করা যাচ্ছে না এবং বিভিন্ন স্থানে ময়লার ভাগাড় জমে আছে। অথচ কোটি টাকার যানবাহন বছরের পর বছর অকেজো পড়ে রয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। আমরা এসব যানবাহন ব্যবহার করে পৌরভার জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের ব্যবস্থা নিতে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।”

হবিগঞ্জ পৌরসভার প্রকৌশলী আব্দুল কদ্দুস শামীম বলেন, “কয়েকটি গাড়ি ও নির্মাণযন্ত্র অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। শিগগির এগুলো মেরামত করে কাজে লাগানো হবে।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রসভ প রসভ র ব যবহ

এছাড়াও পড়ুন:

যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে: তারেক রহমান 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে।”

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আরো পড়ুন:

নির্বাচন ঘিরে সরগরম কেরাণীগঞ্জের রাজনীতি

হেভিওয়েটদের বিপক্ষে এনসিপির প্রার্থী হচ্ছেন যারা

তারেক রহমান বলেন, “সামনের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে। জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে বিএনপির পরিকল্পনা তুলে ধরতে হবে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এই দেশ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়-মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষাই আজ সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি।”

তারেক রহমান বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে স্বৈরাচারী শাসনের অধীনে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণের ঘটনা ঘটেছে।”

তিনি বলেন, “শত শত মানুষ হত্যা, গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়েছে বহু মানুষকে। অনেকে ফিরে আসেনি। যারা ফিরেছে, তাদের শরীরে নির্যাতনের নির্মমতা লেগে রয়েছে।”

বিগত সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আইটি পার্ক ও অবকাঠামোর নামে যেসব প্রকল্প হয়েছে, তার অনেকগুলোই আজ অব্যবহৃত পড়ে আছে—সেখানে গরু-ছাগল চরে বেড়াচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আমরা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরব। প্রয়োজনে এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধও করব।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা চাই না আর কোনো আবরার নির্মম হত্যার শিকার হোক। আমরা চাই না শহিদুল আলমের মতো কাউকে রাজনৈতিকভাবে নির্যাতনের মুখে পড়তে হোক। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জীবন ও সম্মান রক্ষাই আমাদের প্রথম কাজ।”

তারেক রহমান জানান, জাতীয়তাবাদী দর্শনই মানুষের সম্মান, নিরাপত্তা ও সমতার অধিকার নিশ্চিত করে। মানুষের মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার প্রতিষ্ঠাই বিএনপির রাজনীতির মূল ভিত্তি।

নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাদের পক্ষে রায় দিলে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালুর মাধ্যমে নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করব। নারীসমাজকে শক্তিশালী না করলে দেশ এগোবে না।”

শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাষা শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে কর্মসংস্থানে সংকটে না পড়ে। দেশের ডাটাবেইস ধরে বিদেশে কর্মসংস্থানের পথও উন্মুক্ত করা হবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের খাল খনন করতে হবে, পরিবেশ রক্ষায় ২৫ কোটি গাছ লাগাতে হবে।”

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন হাবিব উন নবী খান সোহেল, ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, আমিনুল হক, হাসান জাফির তুহিন, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, এস এম জিলানী প্রমুখ।

ঢাকা/আলী/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভোটের মাঠে জোটের ভিড়ে জনপ্রত্যাশা কোথায় গেল 
  • পার্বত্য ৩ আসনে প্রার্থী না দিতে জাতীয় দলগুলোর প্রতি আহ্বান ইউপিড
  • শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান ইসলামী ফ্রন্টের
  • তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
  • ‘নির্বাচন সহজ হবে না, পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামতে হবে’
  • আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে পুরোপুরিভাবে জয়লাভ করতে হবে: নেতাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল
  • বাবুগঞ্জে এবি পার্টির ফুয়াদের বিরুদ্ধে ঝাড়ুমিছিল
  • নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জেলেনস্কি
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরবে: গয়েশ্বর
  • যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে: তারেক রহমান