একজনের বয়স ৪০ পেরিয়েছে, আরেকজনের ৩৮। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি—দুজনই এখনো বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের অন্যতম। শীর্ষ ফুটবলে দুজনই নিয়মিত পারফর্ম করছেন এবং ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করে চলেছেন। হাজার গোলের খোঁজে থাকা রোনালদো

যেমন কদিন আগেই ছুঁয়েছেন ৯৫০ গোলের মাইলফলক। আর মেসি হয়েছেন মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২৮ ম্যাচে ২৯ গোল করে প্রথমবারের মতো জিতেছেন এমএলএসের গোল্ডেন বুট।

ধারাবাহিকভাবে ছন্দে থাকার স্বীকৃতিও পেয়েছেন এই দুজন। ২০২৫ সালের পুরুষদের ফিফপ্রো একাদশের জন্য নির্বাচিত ২৬ ফাইনালিস্টের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন১০০০ গোল থেকে আর কত দূরে রোনালদো ও মেসি২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মেসি-রোনালদো ছাড়া সোমবার প্রকাশিত তালিকায় চ্যাম্পিয়ন পিএসজি থেকে সাতজন খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন—মার্কিনিওস, ভিতিনিয়া, জোয়াও নেভেস, আশরাফ হাকিমি, নুনো মেন্দেস এবং বর্তমান ব্যালন ডি’অর বিজয়ী উসমান দেম্বেলে। বর্তমানে পিএসজিতে না থাকলেও এই ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে জায়গা পেয়েছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা।

রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ফাইনালিস্টের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন থিবো কোর্তোয়া, জুড বেলিংহাম, ফেদেরিকো ভালভের্দে ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। গত মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে নৈপুণ্য দেখিয়ে বর্তমানে রিয়ালে আসা ট্রেন্ট আলেকজান্ডার–আর্নল্ডও জায়গা পেয়েছেন তালিকায়। ঘরোয়া ট্রেবল জেতা বার্সেলোনা থেকে রাখা হয়েছে পাউ কুবারসি, পেদ্রি, লামিনে ইয়ামাল আর রাফিনিয়াকে।

ফিফপ্রোর এই পুরস্কার অন্যান্য পুরস্কারের মতো নয়। এটি নির্ধারিত হয় বিশ্বের পেশাদার ফুটবলারদের ভোটের মাধ্যমে। এ বছর প্রায় ২০ হাজার খেলোয়াড় তাঁদের ভোট দিয়েছেন।

আরও পড়ুনমেসি ও রোনালদো কোন ক্লাবের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন৩০ আগস্ট ২০২৫

এ তালিকার জায়গা পাওয়ার শর্ত হচ্ছে খেলোয়াড়দের অবশ্যই ১৫ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত অন্তত ৩০টি অফিশিয়াল ম্যাচে অংশ নিতে হবে। চূড়ান্ত একাদশে থাকবে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া একজন গোলকিপার, তিনজন ডিফেন্ডার, তিনজন মিডফিল্ডার, তিনজন ফরোয়ার্ড এবং সর্বোচ্চ মোট ভোট পাওয়া খেলোয়াড়—যেকোনো পজিশন থেকে।

ফিফপ্রোর সেরা ২৬

গোলরক্ষক : আলিসন (লিভারপুল, ব্রাজিল), থিবো কোর্তোয়া (রিয়াল মাদ্রিদ, বেলজিয়াম), জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা (পিএসজি/ম্যানচেস্টার সিটি, বেলজিয়াম)।

ডিফেন্ডার: ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড (লিভারপুল/রিয়াল মাদ্রিদ, ইংল্যান্ড), পাউ কুবারসি (বার্সেলোনা, স্পেন), ভার্জিল ফন ডাইক (লিভারপুল, নেদারল্যান্ডস), আশরাফ হাকিমি (পিএসজি, মরক্কো), মার্কিনিওস (পিএসজি, ব্রাজিল), নুনো মেন্দেস (পিএসজি, পর্তুগাল), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল, ফ্রান্স)।

মিডফিল্ডার: জুড বেলিংহাম (রিয়াল মাদ্রিদ, ইংল্যান্ড), কেভিন ডি ব্রুইনা (ম্যানচেস্টার সিটি/নাপোলি, বেলজিয়াম), লুকা মদরিচ (রিয়াল মাদ্রিদ/এসি মিলান, ক্রোয়েশিয়া), জোয়াও নেভেস (পিএসজি, পর্তুগাল), কোল পালমার (চেলসি, ইংল্যান্ড), পেদ্রি (বার্সেলোনা, স্পেন), ফেদেরিকো ভালভের্দে (রিয়াল মাদ্রিদ, উরুগুয়ে), ভিতিনিয়া (পিএসজি, পর্তুগাল)।

ফরোয়ার্ড: উসমান দেম্বেলে (পিএসজি, ফ্রান্স), আর্লিং হলান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি, নরওয়ে), কিলিয়ান এমবাপ্পে (রিয়াল মাদ্রিদ, ফ্রান্স), লিওনেল মেসি (ইন্টার মায়ামি, আর্জেন্টিনা), রাফিনিয়া (বার্সেলোনা, ব্রাজিল), ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (আল নাসর, পর্তুগাল), মোহাম্মদ সালাহ (লিভারপুল, মিসর), লামিনে ইয়ামাল (বার্সেলোনা, স্পেন)।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ত গ ল প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ এক শিক্ষার্থীর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুঠোফোন চেক করে ব৵ক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের (সিএসই) শিক্ষার্থী আবির হাসান। আজ সোমবার দুপুরের দিকে প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তিনি।

আবির হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সদস্য প্রার্থী ছিলেন। তিনি সিএসইর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

এ বিষয়ে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা ফোন চেক করেছেন, এমন অভিযোগ করেছেন আবির। তাঁরা ফোন চেক করতে পারেন কি না এবং এর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি।

প্রক্টর আরও বলেন, ‘এটি সত্য কি না, কোন পর্যায়ে হয়েছে, কেন করা হয়েছে, তাঁর সম্মতি ছিল কি না—এসব যাচাই করতে আমি একটি তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছি। সেই কমিটিতে দুজন সহকারী প্রক্টর আছেন, পাশাপাশি অভিযোগকারীর প্রতিনিধি হিসেবে একজন ছাত্র প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।’

অভিযোগকারী আবির হাসান সাংবাদিকদের বলেন, গত শনিবার রাতে শাহবাগ চেকপোস্ট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় তাঁর মুঠোফোন তল্লাশি করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্ববিদ্যালয়েরই দুজন সহকারী প্রক্টর (শিক্ষক) আধা ঘণ্টা ধরে আমার ফোন চেক করেছেন। কাউকে উলঙ্গ করা আর ফোন চেক করা একই কথা। এটি স্পষ্টভাবে আইনের লঙ্ঘন। যে দুজন আমার ফোন চেক করেছেন...তাঁরা যদি ভুল স্বীকার করে বিবৃতি না দেন, তাহলে দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আমি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

আবির হাসান আরও বলেন, ‘আমার কোনো সংগঠন নেই, কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ও নেই। আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে গোপনীয়তার অধিকারের সুরক্ষা চাই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজা যুদ্ধের সংবাদে ‘পক্ষপাতিত্বের’ অভিযোগে ১৫০ লেখক নিউইয়র্ক টাইমস বর্জন করছেন
  • ট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন
  • হিজাব নিযে মন্তব্য: রাবি অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি
  • মোটরবাইকে কেউক্রাডং, এক রোমাঞ্চকর যাত্রা
  • পেয়ালায় ডুবে মরলেন দেবদূত
  • চট্টগ্রামের শিশির ভাবনায় বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • একজন ব‌্যাটসম‌্যান থাকলেই হতো…
  • ‘রূপবানে নাচে কোমর দুলাইয়া’—ভাইরাল যুগেও প্রাসঙ্গিক মিলা
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ এক শিক্ষার্থীর