ফিফপ্রোর সেরা একাদশের জন্য নির্বাচিত ২৬ জনে কারা আছেন
Published: 28th, October 2025 GMT
একজনের বয়স ৪০ পেরিয়েছে, আরেকজনের ৩৮। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি—দুজনই এখনো বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের অন্যতম। শীর্ষ ফুটবলে দুজনই নিয়মিত পারফর্ম করছেন এবং ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করে চলেছেন। হাজার গোলের খোঁজে থাকা রোনালদো
যেমন কদিন আগেই ছুঁয়েছেন ৯৫০ গোলের মাইলফলক। আর মেসি হয়েছেন মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২৮ ম্যাচে ২৯ গোল করে প্রথমবারের মতো জিতেছেন এমএলএসের গোল্ডেন বুট।
ধারাবাহিকভাবে ছন্দে থাকার স্বীকৃতিও পেয়েছেন এই দুজন। ২০২৫ সালের পুরুষদের ফিফপ্রো একাদশের জন্য নির্বাচিত ২৬ ফাইনালিস্টের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন১০০০ গোল থেকে আর কত দূরে রোনালদো ও মেসি২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫মেসি-রোনালদো ছাড়া সোমবার প্রকাশিত তালিকায় চ্যাম্পিয়ন পিএসজি থেকে সাতজন খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন—মার্কিনিওস, ভিতিনিয়া, জোয়াও নেভেস, আশরাফ হাকিমি, নুনো মেন্দেস এবং বর্তমান ব্যালন ডি’অর বিজয়ী উসমান দেম্বেলে। বর্তমানে পিএসজিতে না থাকলেও এই ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে জায়গা পেয়েছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা।
রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ফাইনালিস্টের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন থিবো কোর্তোয়া, জুড বেলিংহাম, ফেদেরিকো ভালভের্দে ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। গত মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে নৈপুণ্য দেখিয়ে বর্তমানে রিয়ালে আসা ট্রেন্ট আলেকজান্ডার–আর্নল্ডও জায়গা পেয়েছেন তালিকায়। ঘরোয়া ট্রেবল জেতা বার্সেলোনা থেকে রাখা হয়েছে পাউ কুবারসি, পেদ্রি, লামিনে ইয়ামাল আর রাফিনিয়াকে।
ফিফপ্রোর এই পুরস্কার অন্যান্য পুরস্কারের মতো নয়। এটি নির্ধারিত হয় বিশ্বের পেশাদার ফুটবলারদের ভোটের মাধ্যমে। এ বছর প্রায় ২০ হাজার খেলোয়াড় তাঁদের ভোট দিয়েছেন।
আরও পড়ুনমেসি ও রোনালদো কোন ক্লাবের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন৩০ আগস্ট ২০২৫এ তালিকার জায়গা পাওয়ার শর্ত হচ্ছে খেলোয়াড়দের অবশ্যই ১৫ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত অন্তত ৩০টি অফিশিয়াল ম্যাচে অংশ নিতে হবে। চূড়ান্ত একাদশে থাকবে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া একজন গোলকিপার, তিনজন ডিফেন্ডার, তিনজন মিডফিল্ডার, তিনজন ফরোয়ার্ড এবং সর্বোচ্চ মোট ভোট পাওয়া খেলোয়াড়—যেকোনো পজিশন থেকে।
ফিফপ্রোর সেরা ২৬গোলরক্ষক : আলিসন (লিভারপুল, ব্রাজিল), থিবো কোর্তোয়া (রিয়াল মাদ্রিদ, বেলজিয়াম), জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা (পিএসজি/ম্যানচেস্টার সিটি, বেলজিয়াম)।
ডিফেন্ডার: ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড (লিভারপুল/রিয়াল মাদ্রিদ, ইংল্যান্ড), পাউ কুবারসি (বার্সেলোনা, স্পেন), ভার্জিল ফন ডাইক (লিভারপুল, নেদারল্যান্ডস), আশরাফ হাকিমি (পিএসজি, মরক্কো), মার্কিনিওস (পিএসজি, ব্রাজিল), নুনো মেন্দেস (পিএসজি, পর্তুগাল), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল, ফ্রান্স)।
মিডফিল্ডার: জুড বেলিংহাম (রিয়াল মাদ্রিদ, ইংল্যান্ড), কেভিন ডি ব্রুইনা (ম্যানচেস্টার সিটি/নাপোলি, বেলজিয়াম), লুকা মদরিচ (রিয়াল মাদ্রিদ/এসি মিলান, ক্রোয়েশিয়া), জোয়াও নেভেস (পিএসজি, পর্তুগাল), কোল পালমার (চেলসি, ইংল্যান্ড), পেদ্রি (বার্সেলোনা, স্পেন), ফেদেরিকো ভালভের্দে (রিয়াল মাদ্রিদ, উরুগুয়ে), ভিতিনিয়া (পিএসজি, পর্তুগাল)।
ফরোয়ার্ড: উসমান দেম্বেলে (পিএসজি, ফ্রান্স), আর্লিং হলান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি, নরওয়ে), কিলিয়ান এমবাপ্পে (রিয়াল মাদ্রিদ, ফ্রান্স), লিওনেল মেসি (ইন্টার মায়ামি, আর্জেন্টিনা), রাফিনিয়া (বার্সেলোনা, ব্রাজিল), ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (আল নাসর, পর্তুগাল), মোহাম্মদ সালাহ (লিভারপুল, মিসর), লামিনে ইয়ামাল (বার্সেলোনা, স্পেন)।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এআই দিয়ে বানানো ছবি ছড়ানো হচ্ছে: কৃষ্ণ নন্দী
খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী দাবি করেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে যেসব ছবি ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে বানানো। তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে একটি মহল এগুলো ছড়াচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষ্ণ নন্দী এ দাবি করেন।
সম্প্রতি কৃষ্ণ নন্দীর কয়েকটি ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাগলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিপন কুমার বসুর সঙ্গে কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের সঙ্গে তাঁর কয়েকটি ছবি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে আজ তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘ভারতে অবস্থানরত বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাগলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিপন কুমার বসু মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে। সে একজন আন্তর্জাতিক চাঁদাবাজ। সে আমার মোবাইল নম্বর ম্যানেজ করে বিভিন্ন কৌশলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং জীবননাশের হুমকি দিয়ে বলে, “আমি হিন্দু হয়ে কেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করে হিন্দুধর্মকে বিতর্কিত করছি।”’
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের এই প্রার্থী বলেন, ‘আমাকে প্রার্থী করায় হিন্দুদের মনে শান্তি ফিরে এসেছে। হিন্দুরা মনে করছে, জামায়াত ইসলামী একটা অসাম্প্রদায়িক দল। জামায়াত ক্ষমতায় এলে হিন্দু-মুসলমান সবাই ভালো থাকবে। আমাকে যদি মানুষ সংসদে পাঠায়, তখন হিন্দুদের পক্ষে কথা বলার চেষ্টা করব।’
শিপন কুমার বসু ও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘তাঁর বাসায় গিয়ে খেয়েছি। তবে এরপর যে সে ব্ল্যাকমেল করবে, সেটা বুঝিনি। বিদেশি কোনো গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমার আদৌ কোনো সংযোগ নেই। কোনো কথা হয় না।’
লিখিত বক্তব্যে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী শ্রেণির যোগসাজশে আমার ব্যক্তিগত ইমেজ ও জনপ্রিয়তা ক্ষুণ্ন করার জন্য মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচারসহ বেশ কিছু ছবি এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করে অপপ্রচার করছে। আমি এসব অপপ্রচারের জোর প্রতিবাদ জানাই। সাথে এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসীকে অনুরোধ করছি।’
কৃষ্ণ নন্দী আরও বলেন, ‘আমাকে খুলনা-১ আসনে জামায়াত মনোনীত দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার মাধ্যমে আরও স্পষ্টভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে প্রমাণিত হয়, জামায়াতে ইসলামী একটি অসাম্প্রদায়িক দল। দলটির কাছে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, উপজাতি কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। আমাকে প্রার্থী করায় সারা বাংলাদেশের হিন্দুদের দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জামায়াত আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার পরই একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা শুরু করেছে, যা প্রমাণ করে, এটা গভীর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।’
মনোনয়ন পরিবর্তন নিয়ে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার আগে খুলনা-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ছিলেন বটিয়াঘাটা উপজেলার আমির মাওলানা শেখ আবু ইউসুফ। তাঁকে পরিবর্তন করে আমাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরপরই মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ আমাকে সমর্থন করেন এবং আমরা একসঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করছি। আমাদের ভেতর কোনো ভুল–বোঝাবুঝি নেই। আমি তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমি দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে বিজয়ী হওয়ার প্রত্যাশা রাখি।’
সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ চন্দের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘ব্যবসার কারণে মন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। আমি একজন ব্যবসায়ী, তিনি একজন মন্ত্রী। জামায়াতে ইসলামী করি বলে আমাকে কোণঠাসা করে রেখেছিল।’
সংবাদ সম্মেলনে বটিয়াঘাটা উপজেলার আমির মাওলানা শেখ আবু ইউসুফ বলেন, জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রে অমুসলিম সম্প্রদায়েরও জামায়াতের রাজনীতি করার সুযোগ আছে। ফলে তাঁদের নির্বাচন করারও সুযোগ আছে। দেশের অনেক জায়গাতেই জামায়াতের অমুসলিম কমিটি আছে।