শরতের টোকিও যেন এক অন্তহীন চলচ্চিত্র নগরী, সারা বিশ্ব থেকে আসা নির্মাতা-অভিনেতা, চলচ্চিত্র বোদ্ধা কিংবা সাধারণ দর্শকদের পদচারণ ও মিথস্ক্রিয়ায় মুখর সর্বদা যার সড়ক-সিনেমা হল। একটি উৎসব শেষ হতে না হতেই শুরু হয় পরের আয়োজন, যদিও আদল আর আমেজে থাকে ভিন্নতা। আন্তর্জাতিক থেকে দেশীয়, ফিকশন থেকে ডকুমেন্টারি, লাইভ অ্যাকশন থেকে অ্যানিমেশন—একেক আয়োজনের রয়েছে একেক কেন্দ্রবিন্দু। টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হতে না হতেই গত ২১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নগরীর ইউরাকুচো এলাকায় অনুষ্ঠিত হলো ২৬তম টোকিও ফিল্মেক্স আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। মূলত এশীয় চলচ্চিত্রের ওপর আলোকপাত করা এই উৎসবে নিজ দেশ বা বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে বসবাসরত এশীয় নির্মাতাদের শিল্পসম্মত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এশীয় চলচ্চিত্রের মধ্যেই গণ্ডি সীমিত রাখলেও ফিল্মেক্স টোকিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব। এতে চলচ্চিত্র নির্মাতা, সাংবাদিক ও সমালোচকদের পাশাপাশি বোদ্ধা দর্শকদের উপস্থিতিই মূলত বেশি।

২৬তম টোকিও ফিল্মেক্সের পোস্টার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র উৎসব

এছাড়াও পড়ুন:

দিনভর আনন্দ উৎসবে ‘সোনার মানুষ’ হওয়ার প্রত্যয়

জেরিন, নিশাত ও নুসরাত তিনজনই ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতির পড়াশোনার চাপে ফলাফলের পর তিন বান্ধবীর আর দেখা হয়নি। আজ বুধবার কৃতী শিক্ষার্থী উৎসবে দেখা হওয়ায় তাঁরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন।

নিশাত তাসনিম বলেন, ‘পড়াশোনার চাপে অনেক দিন বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা হয়নি। আজ দেখা হয়ে খুব ভালো লেগেছে। শুধু আড্ডা নয়, সবার ভর্তি প্রস্তুতি ও ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’

আজ ময়মনসিংহে ‘প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি–প্রথম আলো জিপিএ–৫ কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব ২০২৫’–এ যোগ দিয়ে এভাবেই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন কৃতী শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম। ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত উৎসবে নিবন্ধন করেন প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী। উৎসবে সহযোগিতা করে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা।

‘স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে, একসাথে’ প্রতিপাদ্যে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এবারই প্রথম এই উৎসবের আয়োজন করেছে প্রথম আলো। চট্টগ্রাম, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীর পর আজ ময়মনসিংহে হলো ষষ্ঠ এ আয়োজন। অন্য বিভাগগুলোয়ও এমন আয়োজন হবে। উৎসবের পৃষ্ঠপোষক প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি।

সকাল থেকেই কৃতী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে টাউন হল মাঠ। নির্ধারিত বুথ থেকে ক্রেস্ট, স্ন্যাকস ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। জীবনের লক্ষ্য লেখার বোর্ডে অনেকে লিখছিলেন নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। এসব লেখায় মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, বৃত্তি নিয়ে বিদেশ গমন কিংবা ভালো মানুষ হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তাঁরা।

অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন অতিথিরা। বুধবার ময়মনসিংহ টাউন হল মিলনায়তনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিজয় বইমেলা ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু
  • ‘ভারত-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা ৩৫-৩৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে’
  • তিন সেঞ্চুরির ম‌্যাচ, রান উৎসবে ভারতকে হারিয়ে সমতায় দক্ষিণ আফ্রিকা
  • দিনভর আনন্দ উৎসবে ‘সোনার মানুষ’ হওয়ার প্রত্যয়
  • বাউল–বিরোধিতার আড়ালে চলছে গ্রামের অর্থনীতি দখলের লড়াই
  • ময়মনসিংহে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি–প্রথম আলো কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব
  • ময়মনসিংহে ভোরের কুয়াশা মাড়িয়ে স্বপ্নবাজদের ভিড়
  • আমার বাবা শিল্পী কামরুল হাসান