নতুন হল নির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্প চলার সময় শিক্ষার্থীদের বিকল্প আবাসন নিশ্চিত করতে চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ জন্য রাজধানীর উত্তরা এলাকায় সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, নতুন হল নির্মাণ ও হলসংস্কারের সময়ে শিক্ষার্থীদের স্থানান্তরের জন্য বিকল্প আবাসনব্যবস্থা খুঁজে বের করার ধারাবাহিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল উত্তরা (দিয়াবাড়ি) আবাসন এলাকা পরিদর্শন করেছে। সম্ভাব্য সুযোগ-সুবিধা, নিরাপত্তা, যাতায়াত সুবিধা ও অবকাঠামোগত বিষয়সমূহ সরেজমিন পরিদর্শন করে তারা সম্ভাব্য ব্যবহারযোগ্যতা মূল্যায়ন করে।

পরিদর্শনকৃত স্থাপনার সার্বিক মূল্যায়ন শেষে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ, অবসরপ্রাপ্ত সচিব খ ম কবিরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো.

আকরাম হোসেন, ভারপ্রাপ্ত এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মুস্তাফা, পরিবহন ম্যানেজার মো. কামরুল হাসান, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, এজিএস মহিউদ্দিন খান এবং ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় ভূমিদস্যু চক্রের তাণ্ডব : ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, ১০ লাখ টাকার নির্মাণসামগ্রী লুট

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা শান্তিধারা এলাকায় মালিকানাধীন সম্পত্তিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে চাঁদাবাজি, হামলা ও প্রায় ১০ লাখ টাকার নির্মাণসামগ্রী লুটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী মো. জসিম উদ্দিন ও তার ১৩ জন অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে মোট পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৮ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, মো. হারুনুর রশিদ (৬০), এনামুল হক লিটন (৫০), মো. আরিফ ভূঁইয়া (৩২), মো. হান্নান মিয়া (৪৮) এবং মো. অর্ণব (৩৮)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শান্তিধারা এলাকার ১৮.৪৬ শতাংশ জমির বৈধ মালিকানা রয়েছে অভিযোগকারীদের। সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি হিসেবে ইট, বালু, সিমেন্ট, রডসহ নানা নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছিল এবং নিরাপত্তার জন্য সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ দেওয়া হয়।

অভিযোগকারীর দাবি, এ সময় থেকেই অভিযুক্ত ভূমিদস্যু হারুনুর রশিদসহ চক্রটি বিভিন্ন সময়ে জমির মালিকদের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা বারবার ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দেন। 

অভিযোগকারী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ভূমিদস্যু হারুনুর রশিদ, আরিফ ভূঁইয়া ও রুহুল আমিন সন্ত্রাসী কায়দায় আমার ক্রয়কৃত জমি দখলের চেষ্টা করছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে টার দিকে অভিযুক্ত পাঁচজনসহ অজ্ঞাতনামা ১৮ থেকে ২০ জন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বে-আইনি জনতাবদ্ধে জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে নির্মাণ শ্রমিকদের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়।

নিরাপত্তা প্রহরী আবুল হোসেন কারণ জানতে চাইলে তাকে মারধরেরও চেষ্টা করা হয়। তারা হুমকি দেয় যে ২০ লাখ টাকা না দিলে কোনো নির্মাণ কাজ করতে দেওয়া হবে না।

পরবর্তীতে, মালিকপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই অভিযুক্ত চক্রটি নিরাপত্তা প্রহরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায় ১০ লাখ ৯২ হাজার টাকা মূল্যের নির্মাণসামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। লুট হওয়া সামগ্রীর মধ্যে ছিল প্রায় ১০ টন রড (মূল্য ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা), ২০০ বস্তা সিমেন্ট (মূল্য ১ লাখ টাকা), টিনের বেড়া ও লোহার গেট। মালামাল বহনের জন্য তারা ২টি পিকআপ ও ৪টি ভ্যান ব্যবহার করে। এছাড়া প্রাচীরের দেওয়াল ভেঙে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়।

এসময় বিবাদীরা হুমকি দিয়ে বলে, চাঁদার টাকা না দিলে জমিতে কোনো স্থাপনা হতে দেওয়া হবে না এবং কেউ কাজ করতে এলেই তাকে হত্যা করা হবে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেহানুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

অভিযুক্তদের থানায় আসতে বলা হলেও তারা আসেনি। তবে বিষয়টি আমরা আমলে নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ