পরিবেশ সংকট মোকাবিলায় আঞ্চলিক ঐক্য জরুরি: রিজওয়ানা হাসান
Published: 27th, November 2025 GMT
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশগত সংকট জাতীয় সীমানায় থেমে থাকে না। তাই, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আস্থা, সহযোগিতা এবং ধারাবাহিক সংলাপের ভিত্তিতে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী বায়ুদূষণ, নদী অববাহিকা ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত অতিক্রমকারী প্লাস্টিক বর্জ্য সমস্যা এবং সুন্দরবনসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশ ব্যবস্থার সুরক্ষা— এসব অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাকেপের (SACEP)- মতো শক্তিশালী আঞ্চলিক মঞ্চ অত্যন্ত প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (নভেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে দক্ষিণ এশীয় পরিবেশ কর্মসূচির (SACEP) মহাপরিচালক নরবু ওয়াংচুক সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। বৈঠকে জলবায়ু কার্যক্রম, পরিবেশ সুরক্ষা এবং সীমান্তবর্তী পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বৈঠকে নরবু ওয়াংচুক বলেন, সদস্য দেশগুলোতে জলবায়ু অভিযোজন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বায়ুর মান উন্নয়ন এবং সামুদ্রিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ—এসব বিষয়ে সাকেপের উদ্যোগগুলো এগিয়ে চলছে।
তিনি বাংলাদেশের পরিবেশ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং যৌথ প্রকল্প, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বহু-দাতা তহবিল ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরো সহায়তা করার বিষযে সাকেপের প্রস্তুতির কথা জানান।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশ ও সাকেপের মধ্যে জলবায়ু অভিযোজন, বায়ুর মান ব্যবস্থাপনা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আরো গভীর যৌথ কর্মসূচি চালুর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সময়েও পরিবেশকে নীতি অগ্রাধিকারের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে হবে।
সাকেপের মহাপরিচালক ওয়াংচুক উপদেষ্টাকে সংস্থাটির প্রশাসনিক কাঠামো, আসন্ন গভর্নিং কাউন্সিলের কার্যক্রম এবং বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে প্রযুক্তিগত ও কর্মসূচিভিত্তিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে সাকেপের নানা উদ্যোগ ও কর্মশালায়, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় আঞ্চলিক বায়ুর মান কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা সাকেপের ধারাবাহিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং দক্ষিণ এশিয়ায় যৌথ পরিবেশ সমাধান অগ্রসর করতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা আরো জোরদার হলে জলবায়ু-সংকটাপন্ন দেশগুলোর জনগণ বাস্তব সুফল পাবে।
বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ বাংলাদেশের জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নতুন সহযোগিতা সম্ভাবনা অনুসন্ধান এবং সমন্বয় জোরদারে সম্মত হয়।
এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.
ঢাকা/এএএম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক সহয গ ত ব যবস থ উপদ ষ ট পর ব শ স রক ষ জলব য়
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবেশ সংকট মোকাবিলায় আঞ্চলিক ঐক্য জরুরি: রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশগত সংকট জাতীয় সীমানায় থেমে থাকে না। তাই, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আস্থা, সহযোগিতা এবং ধারাবাহিক সংলাপের ভিত্তিতে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী বায়ুদূষণ, নদী অববাহিকা ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত অতিক্রমকারী প্লাস্টিক বর্জ্য সমস্যা এবং সুন্দরবনসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশ ব্যবস্থার সুরক্ষা— এসব অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাকেপের (SACEP)- মতো শক্তিশালী আঞ্চলিক মঞ্চ অত্যন্ত প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (নভেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে দক্ষিণ এশীয় পরিবেশ কর্মসূচির (SACEP) মহাপরিচালক নরবু ওয়াংচুক সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। বৈঠকে জলবায়ু কার্যক্রম, পরিবেশ সুরক্ষা এবং সীমান্তবর্তী পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বৈঠকে নরবু ওয়াংচুক বলেন, সদস্য দেশগুলোতে জলবায়ু অভিযোজন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বায়ুর মান উন্নয়ন এবং সামুদ্রিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ—এসব বিষয়ে সাকেপের উদ্যোগগুলো এগিয়ে চলছে।
তিনি বাংলাদেশের পরিবেশ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং যৌথ প্রকল্প, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বহু-দাতা তহবিল ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরো সহায়তা করার বিষযে সাকেপের প্রস্তুতির কথা জানান।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশ ও সাকেপের মধ্যে জলবায়ু অভিযোজন, বায়ুর মান ব্যবস্থাপনা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আরো গভীর যৌথ কর্মসূচি চালুর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সময়েও পরিবেশকে নীতি অগ্রাধিকারের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে হবে।
সাকেপের মহাপরিচালক ওয়াংচুক উপদেষ্টাকে সংস্থাটির প্রশাসনিক কাঠামো, আসন্ন গভর্নিং কাউন্সিলের কার্যক্রম এবং বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে প্রযুক্তিগত ও কর্মসূচিভিত্তিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে সাকেপের নানা উদ্যোগ ও কর্মশালায়, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় আঞ্চলিক বায়ুর মান কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা সাকেপের ধারাবাহিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং দক্ষিণ এশিয়ায় যৌথ পরিবেশ সমাধান অগ্রসর করতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা আরো জোরদার হলে জলবায়ু-সংকটাপন্ন দেশগুলোর জনগণ বাস্তব সুফল পাবে।
বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ বাংলাদেশের জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নতুন সহযোগিতা সম্ভাবনা অনুসন্ধান এবং সমন্বয় জোরদারে সম্মত হয়।
এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহানা আহমেদসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/রফিক