কুমিল্লায় আগামীকাল শুরু হচ্ছে ৯ দিনব্যাপী বইমেলা, থাকছে প্রথমা ও বন্ধুসভার স্টল
Published: 27th, November 2025 GMT
কুমিল্লায় আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ৯ দিনব্যাপী বইমেলা। এবারের মেলায় মোট ৯৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে কুমিল্লা জেলা বইমেলা-২০২৫ আয়োজন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে মেলার বিস্তারিত তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক মু. রেজা হাসান। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ঐতিহাসিক টাউন হল মাঠে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মেলায় রাজধানীর ৭৪টি খ্যাতনামা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান, ১০টি সরকারি প্রতিষ্ঠান, কুমিল্লার ১০টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৯৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। প্রথমা প্রকাশন ও প্রথম আলো বন্ধুসভার স্টলও থাকবে মেলায়।
জেলা প্রশাসক মু.
জেলা প্রশাসন জানায়, আগামীকাল বেলা সাড়ে তিনটায় বইমেলার উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মু. রেজা হাসানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব মো. নজরুল ইসলাম। বইমেলাকে জমজমাট করতে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বিশিষ্ট শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। এ ছাড়া বইমেলা উপলক্ষে কুইজ, বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
আগামী ৬ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে। সমাপনী দিনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
জেলা প্রশাসক জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিকেলে হলেও অন্যান্য দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলায় বই বেচাকেনা চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) সুলতানা রাজিয়া, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের গবেষণা কর্মকর্তা কুমারেশ বিশ্বাসসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বইমেলায় বই বিক্রিতে ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়ার জন্য সব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসহ প্রতিটি স্টলকে বলা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমুলক সভা
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমুলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ রায়হান কবির এর সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আগামী ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ডিসির সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও পঞ্চবটি বদ্ধভুমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সকালে সরকারী ও বেসরকারী সকল দপ্তরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ সরকারী ভবনে আলোকসজ্জা করন, ৩১বার তোপধ্বনি, চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পন করা হবে। ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে শিশু কিশোর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও শিল্পকলা একাডেমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করা হবে।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতার সেই সকল অকুতোভয় সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা কখনো ভুলবো না। এর সাথে ২৪ এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকেও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা নতুন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ পেয়েছি। তাদের এই ত্যাগ ইতিহাসের পাতায় লিখা থাকবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে পঞ্চবটি বদ্ধভূমিতে ফুলেল শুভেচ্ছা নিবেদনসহ বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে তাদের আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়ার আয়োজন করা হবে। এছাড়াও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সবার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
ভূমিকম্পের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের আহ্বান করেন। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন বিল্ডিং চিহ্নিত করাসহ ঝুঁকিপূর্ণ আরো বিল্ডিং এর খোঁজখবর নেওয়ার বিষয়ে মতমতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও ভবিষ্যতে ভূমিকম্প হলে বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই দিকে সবার দৃষ্টির রাখার আহ্বান জানান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আলমগীর হোসাইন এর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আ,ফ,ম মশিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাসমিন আক্তার, নারায়গঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুর আলম, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, জামায়েত ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মঈন উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সহ সুশীল সমাজ এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।