স্যাম কনস্টাসকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত অনেকেই। বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির শেষ দুই টেস্টে সাহসী ক্রিকেটের জন্য তিনি এখন বিশ্ব ক্রিকেটে পরিচিত মুখ। মেলবোর্নে অভিষেক টেস্টেই যেভাবে যশপ্রীত বুমরার ওপর তিনি চড়াও হয়েছেন, সেটি তো এখনো আলোচনার বিষয়। তবে এর মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং বললেন, কনস্টাসের কৌশলই কাল হতে পারে তাঁর জন্য।

কনস্টাস টেস্ট ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৪ ইনিংস। তবে তাঁকে ঘিরে বেশি আলোচনা অভিষেকে ৬০ রানের ইনিংসকে ঘিরে। আলোচনার অবশ্য যথেষ্ট কারণও আছে। কী হয়েছিল সেই ইনিংসে, সেটা আরেক দফা মনে করিয়ে দিলে আরও বাড়াবাড়ি মনে হবে না। সেদিন এমিসিজেতে ইনিংসের শুরুতে বুমরার করা প্রথম ওভার মেডেন দিয়েই শুরু করেছিলেন কনস্টাস। দ্বিতীয় ওভারে নিয়েছিলেন ২ রান।

এরপর বুমরার করা তৃতীয় ওভারেও মেডেন দেন কনস্টাস। বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসারের সামনে অভিষিক্ত ব্যাটসম্যানের এমন হাঁসফাঁস দশা মোটেও অস্বাভাবিক মনে হয়নি। বুমরার প্রথম ১৮ বলে কনস্টাস করতে পারেন মাত্র ২ রান।

ফিফটির পর স্যাম কনস্টাস.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ ঝড়ে নেটফ্লিক্স ক্র্যাশ, কী আছে বিশ্বজুড়ে আলোচিত এই সিরিজে

প্রায় কোনো প্রচার ছাড়াই এসেছিল প্রথম কিস্তি। হরর, অ্যাডভেঞ্চার, রহস্য আর একদল কিশোর-কিশোরীর গল্প নিয়ে নির্মিত সিরিজটি মুক্তির পরই ঝড় তুলেছিল সারা দুনিয়ায়। আশির দশকের প্রেক্ষাপটে নির্মিত সিরিজটি যে এই সময়ের তরুণদের পর্দায় বুঁদ করে রাখবে, কে ভেবেছিল! এরপর পেরিয়ে গেছে নয় বছর, সময়ের সঙ্গে ইতিহাস তৈরি করেছে ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’; হয়ে উঠেছে গত এক দশকে পপ কালচারে সবচেয়ে চর্চিত নামগুলোর একটি। গতকাল বৃহস্পতিবার এসেছে সিরিজটির পঞ্চম মৌসুমের প্রথম কিস্তি। মুক্তির আগে থেকেই নতুন কিস্তি নিয়ে নানা আলোচনা, পূর্বাভাস; মুক্তির পরে তো নেটফ্লিক্সের সার্ভার পর্যন্ত ক্র্যাশ করেছে। কী আছে আলোচিত এই সিরিজে?

‘মন্টাউক’ থেকে ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’সিরিজটির নির্মাতা ম্যাট ও রস ডাফার দুই যমজ ভাই। শুরুতে সিরিজটির নাম ছিল ‘মন্টাউক’। ‘আপসাইড ডাউন’-এর আসল নাম ‘নিদার’, কিন্তু সেটে ‘আপসাইড ডাউন’ বলায় সেটিই রেখে দেওয়া হয়। গেটেন, স্যাডি সিঙ্ক আ ক্যালেব ম্যাকলাফলিন আগে থেকেই একে অপরকে চিনতেন; একসঙ্গে মঞ্চে অভিনয় করেছিলেন তাঁরা। দ্বিতীয় মৌসুম মুক্তির পরে প্রথম তিন দিনে গড়ে ৮ দশমিক ৮ মিলিয়ন দর্শক দেখেছিলেন। উইনোনা রাইডারের জন্য বড় সুযোগ; সিরিজটি উইনোনা রাইডারের প্রথম নিয়মিত টিভি চরিত্র এবং তাঁর দীর্ঘদিনের সেরা কাজের মতো হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ডাফার ভাইদের মূল পরিকল্পনায় জয়েস বায়ার্সের জন্য নাওমি ওয়াটস বা মারিসা টোমেই ছিল সম্ভাব্য নাম।

কী আছে ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এ
হ্যালো, পুরোনো বন্ধুরা—নতুন কিস্তিকে এভাবে স্বাগত জানানো যায়। এ যেন দীর্ঘদিন পরে পুরোনো বন্ধদের সঙ্গে পুনর্মিলন। ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ একদল কিশোর-কিশোরীর গল্প তবে কেন্দ্রে রয়েছে চার বন্ধু—মাইক (ফিন উলফহার্ড), উইল (নোয়া শ্ন্যাপ), লুকাস (কেলেব ম্যাকলখলিন) আর ডাস্টিন (গেটন ম্যাটার‍্যাজো)।

‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’–এর দৃশ্য। নেটফ্লিক্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ