স্যাম কনস্টাসকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত অনেকেই। বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির শেষ দুই টেস্টে সাহসী ক্রিকেটের জন্য তিনি এখন বিশ্ব ক্রিকেটে পরিচিত মুখ। মেলবোর্নে অভিষেক টেস্টেই যেভাবে যশপ্রীত বুমরার ওপর তিনি চড়াও হয়েছেন, সেটি তো এখনো আলোচনার বিষয়। তবে এর মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং বললেন, কনস্টাসের কৌশলই কাল হতে পারে তাঁর জন্য।

কনস্টাস টেস্ট ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৪ ইনিংস। তবে তাঁকে ঘিরে বেশি আলোচনা অভিষেকে ৬০ রানের ইনিংসকে ঘিরে। আলোচনার অবশ্য যথেষ্ট কারণও আছে। কী হয়েছিল সেই ইনিংসে, সেটা আরেক দফা মনে করিয়ে দিলে আরও বাড়াবাড়ি মনে হবে না। সেদিন এমিসিজেতে ইনিংসের শুরুতে বুমরার করা প্রথম ওভার মেডেন দিয়েই শুরু করেছিলেন কনস্টাস। দ্বিতীয় ওভারে নিয়েছিলেন ২ রান।

এরপর বুমরার করা তৃতীয় ওভারেও মেডেন দেন কনস্টাস। বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসারের সামনে অভিষিক্ত ব্যাটসম্যানের এমন হাঁসফাঁস দশা মোটেও অস্বাভাবিক মনে হয়নি। বুমরার প্রথম ১৮ বলে কনস্টাস করতে পারেন মাত্র ২ রান।

ফিফটির পর স্যাম কনস্টাস.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুকসু নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (কুকসু) নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ‘কুকসু প্রতিষ্ঠা আন্দোলন’ এর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

আরো পড়ুন:

প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে চবিতে মানববন্ধন

ফ্রেন্ডলি খাবারের দুই নায়ক শুভ ও মারুফ

কর্মসূচি চলাকালে তারা ‘কুকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার?’, ‘কুকসু নিয়ে তালবাহানা চলবে না চলবে না’,  ‘ডিসেম্বর নির্বাচন, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘নভেম্বরে তফসিল, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘প্রশাসনের দ্বিচারিতা মানি না মানব না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। 

এ সময় আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বায়েজিদ হোসেন বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অন্যতম নিরপেক্ষ একটি প্রশাসন। যে প্রশাসন এখনো আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও একটি দল ক্যাম্পাসের ভিতরে সদস্য ফরম বিতরণ করছে। এই বিষয়ে প্রশাসনকে প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বাইরে আমরা কিছু বলতে পারব না। প্রসাশনের এই ব্যর্থতাকে গুছিয়ে দিতে পারবে একমাত্র কুকসু নির্বাচন।”

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০২২ -২০২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দা নাজিফা নাফিল বলেন, “জুলাইয়ে আগে আমরা ছাত্রলীগের রাজনীতি দেখেছি। আমরা ভেবেছিলাম, জুলাই পরবর্তী এই পরিবেশ বদলাবে। কিন্তু বর্তমানে ছাত্র রাজনীতি ওই ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে, যা আমাদের কাছে এখন হতাশা ও উদ্বেগের বিষয়। আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে চাই না, ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতির কারণে পরিবেশটা আতংকিত থাকুক। তাই খুব দ্রুত কুকসু নির্বাচন চাই।”

অবস্থান কর্মসূচি শেষে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ফরম বিতরণ ও নানা কার্যক্রমের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জিজ্ঞেসা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী বলেন, “আমরা ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করিনি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ রয়েছে। আমরা সবসময় বলেছি যে আমরা এই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি চাই না। আমরা তো পুলিশ না যে, লাঠি নিয়ে যাব আর বলব এই কার্যক্রম বন্ধ করো। আমার কোনভাবেই এর আইনত বৈধতা দিতে পারব না।”

তিনি বলেন, “যদি এর বিরুদ্ধে কোন আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার থাকে তাহলে তা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট নিবে। আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারণে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিরা অংশ নিক।”

ছাত্র সংসদের রোডম্যাপ প্রদানে দেরির বিষয়ে তিনি বলেন, “সিন্ডিকেট চাইলে রোডম্যাপ দিয়ে দিতে পারে। কিন্তু নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্র থেকে ওই চিঠিটা আসতেই হবে। আগামী সিন্ডিকেট মিটিংয়ে কুকসুর তফসিল ও নির্বাচনের বিষয়ে হয়ত কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ