ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় নসিমনচালক নিহত
Published: 15th, January 2025 GMT
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় সুজন শেখ (২২) নামে এক নসিমন চালক নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চিতাঘাটা নামক রেলক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন শেখ গুনবহা গ্রামের মুঞ্জু শেখের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রেলক্রসিংটি অরক্ষিত। এখানে কোনো গেটম্যান নেই। সুজন শেখ বোয়ালমারী বাজার থেকে নসিমনে রড-সিমেন্ট বোঝাই করে চতুল-ধুলপুকুরিয়া এলাকায় যাচ্ছিলেন। সকালে টুঙ্গিপাড়া থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিতাঘাটা রেলক্রসিংয়ে নসিমনটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় নসিমনটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালক সুজন মারাত্মক আহত হন। পরে স্থানীয়রা প্রথমে তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রেল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/তামিম/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বুধবার (২২ অক্টোবর) দিন শেষে ৩২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
তবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহাবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার।
আরো পড়ুন:
‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে’
আতিউর-বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত জুন মাস শেষে রেমিট্যান্সে আয়ের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর গত জুলাইর প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। তখন গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর প্রবাসী আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রিজার্ভ বাড়ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে মাঝে মধ্যে বাজার থেকে ডলার ক্রয় করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেইসঙ্গে দাতা সংস্থার অনুদান রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। করোনা পরবর্তী সময়ে সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ। যা অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
ঢাকা/নাজমুল/মাসুদ