সেই বাইকের মালিক বলেন, ‘শোরুমে গেলেই সত্য বেরিয়ে আসবে’
Published: 14th, December 2025 GMT
ইনকিবাল মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. আব্দুল হান্নানকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে হান্নানকে আটক করে র্যাব। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) হান্নানকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে নয়, হালুয়াঘাটে দুজনকে গ্রেপ্তার: পুলিশ
হাদিকে গুলি: সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ডাক
রাজধানীর পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক সামিম হাসান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হান্নানের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলমের আদালতে এই আবেদনের শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের ঢাকা মহানগরের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী আদালতে বলেন, হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত হোন্ডার মালিকানার তথ্য যাচাই করে পুলিশ আবদুল হান্নানের নাম পেয়েছে। যারা গুলি করেছে, তাদের সঙ্গে হোন্ডার মালিকের সম্পর্ক কী, সেটা যাচাই করা এবং হত্যাচেষ্টার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য এই আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
ফারুকী আরো বলেন, সামনে নির্বাচন, আর সারা জাতি এই হত্যাচেষ্টার রহস্য উদ্ঘাটনের দিকে তাকিয়ে আছে।
অন্যদিকে, আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আব্দুল হান্নান দাবি করেন, তিনি ওই মোটরসাইকেল বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর র্যাব ও পুলিশকে অনুরোধ করেছিলেন তাকে শোরুমে (বিক্রয়কেন্দ্র) নিয়ে যেতে, যাতে সব সত্য বেরিয়ে আসে। কিন্তু তারা তা করেনি। হান্নান জানান, তিনি হাতের সমস্যার কারণে বাইকটি চালানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় মিরপুর মাজার রোড থেকে কেনা হোন্ডাটি একটি শোরুমে বিক্রি করে দেন।
আদালতে হান্নান দাবি করেন, মালিকানা থেকে তার নাম পরিবর্তন করে দেবেন বলে শোরুমকে জানিয়েছিলেন কিন্তু অসুস্থতার কারণে মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য যেতে পারেননি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদিকে শুক্রবার দুপুরে নির্বাচনি গণসংযোগ করে অটোরিকশায় ফেরার সময় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এবং তার অবস্থা এখনো সংকটজনক।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সেই মোটরসাইকেলের কাগজপত্রে নাম থাকা মালিক হান্নানকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওসম ন হ দ হত য চ ষ ট র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের তামাশা
মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায় পর্যন্ত পাকিস্তানিরা আশা করেছিল, চীন হয়তো তাদের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে অংশ নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের চীন সফরে মধ্যস্থতা করে তাদের সেই আশা আরও প্রবল হয়েছিল। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, পাকিস্তানের প্রধান লক্ষ্য ও শেষ পর্যন্ত প্রবল আশা ছিল, যা তারা প্রকাশ্যে দেখাচ্ছিল, তা হলো চীন শেষ পর্যন্ত তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। কিন্তু এটি ছিল একটি তামাশা। কারণ, চীনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা সামরিকভাবে যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবে না। সব ধরনের কূটনৈতিক সহায়তা দেবে।
রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান এই মন্তব্য করেন।
ডেইলি স্টার ইতিহাসের বিভিন্ন বিষয় ও ব্যক্তির অবদান তুলে ধরতে ‘ইতিহাস আড্ডা’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করেছে। এটি ছিল সপ্তম আয়োজন। কবি ইমরান মাহফুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচক ছিলেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ। অসুস্থতার কারণে আরেক আলোচক গবেষক–সাংবাদিক মঈদুল হাসান আসতে পারেননি।
চীনের তামাশা, যুক্তরাষ্ট্রের নাটকঅধ্যাপক রেহমান সোবহান মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, চীন পাকিস্তানের সঙ্গে যে তামাশা করছিল, সেই নাটক সাজিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। চীনকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, যেন তারা যুদ্ধে যোগ দেয়। চীন যখন যুদ্ধে আসছিল না, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরে পাঠানোর হুমকি দেয়। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের নৌবহরকে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি লক্ষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সপ্তম নৌবহর আর আসেনি। এর পরিণতিতেই নিয়াজির চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের উত্থান।
‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক ইতিহাস আড্ডায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান। রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে