মুন্সীগঞ্জে জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান
Published: 14th, December 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে জামায়াতে ইসলামীর শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদান করেছেন।
রবিবার (১৪ ডিসম্বের) বিকালে জেলার সিরাজদীখান উপজেলার চকদারপাড়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে জামায়াত নেতাকর্মীরা যোগদান করেন।
আরো পড়ুন:
নির্বাচিত হয়ে প্রথম দায়িত্ব হবে দুর্নীতি ও অনৈতিক সুবিধা বন্ধ করা: তারেক রহমান
রিজভীর বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন, জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির শামিল: জামায়াত
উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মনির হোসেনের নেতৃত্বে যোগদান করা শতাধিক নেতাকর্মীর হাতে ধানের শীষ তুলে দিয়ে বরণ করে নেন মুন্সীগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদীখান) আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ মো.
দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির দলীয় প্রার্থী শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, “সবারই জ্ঞান-বুদ্ধি আছে। আল্লাহ তোমাদের (জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের) স্মরণশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। যে দল বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী, তাকে কি জনগণ কখনো পছন্দ করবে?”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি আরো বলেন, “তারা এতদিন পরে বুঝতে পেরেছেন যে, বিএনপিই সঠিক দল এবং এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষকের দল।”
এ সময় উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মনির হোসেন বলেন, “বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও তারেক রহমানের ৩১ দফায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা বিএনপিতে যোগ দিয়েছি।”
দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে সিরাজদীখান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম. হায়দার আলী, সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন ও মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান হাওলাদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম. সিদ্দিক মোল্লা, বয়রাগাদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. হাবিব সরকার, ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইয়াসিন সুমন, সদস্যসচিব শাহাদাৎ সিকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রতন/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ন ত কর ম ব এনপ র রহম ন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের তামাশা
মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায় পর্যন্ত পাকিস্তানিরা আশা করেছিল, চীন হয়তো তাদের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে অংশ নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের চীন সফরে মধ্যস্থতা করে তাদের সেই আশা আরও প্রবল হয়েছিল। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, পাকিস্তানের প্রধান লক্ষ্য ও শেষ পর্যন্ত প্রবল আশা ছিল, যা তারা প্রকাশ্যে দেখাচ্ছিল, তা হলো চীন শেষ পর্যন্ত তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। কিন্তু এটি ছিল একটি তামাশা। কারণ, চীনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা সামরিকভাবে যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবে না। সব ধরনের কূটনৈতিক সহায়তা দেবে।
রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান এই মন্তব্য করেন।
ডেইলি স্টার ইতিহাসের বিভিন্ন বিষয় ও ব্যক্তির অবদান তুলে ধরতে ‘ইতিহাস আড্ডা’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করেছে। এটি ছিল সপ্তম আয়োজন। কবি ইমরান মাহফুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচক ছিলেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ। অসুস্থতার কারণে আরেক আলোচক গবেষক–সাংবাদিক মঈদুল হাসান আসতে পারেননি।
চীনের তামাশা, যুক্তরাষ্ট্রের নাটকঅধ্যাপক রেহমান সোবহান মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, চীন পাকিস্তানের সঙ্গে যে তামাশা করছিল, সেই নাটক সাজিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। চীনকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, যেন তারা যুদ্ধে যোগ দেয়। চীন যখন যুদ্ধে আসছিল না, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরে পাঠানোর হুমকি দেয়। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের নৌবহরকে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি লক্ষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সপ্তম নৌবহর আর আসেনি। এর পরিণতিতেই নিয়াজির চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের উত্থান।
‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক ইতিহাস আড্ডায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান। রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে