শীত ও কনকনে বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছেন কিশোরগঞ্জের মানুষ। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় সাধারণ মানুষ পড়েছেন ভোগান্তিতে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না মানুষজন। সূর্যের আলো না থাকায় সড়কে বিভিন্ন পরিবহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।

কিশোরগঞ্জ নিকলী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার আখতার ফারুক বলেন, জেলায় বুধবার (২২ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৪.

৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের চেয়ে তাপমাত্রার সঙ্গে বেড়েছে কুয়াশার ঘনত্ব। আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে।”

চায়ের দোকানদার মো. নজরুল মিয়া বলেন, “মাঘ মাসে ঠান্ডা বেশি হয়। আমি ভোরে দোকান খুলি, অনেক মানুষজন সকালে হাটতে বের হয়ে এখানে এসে চা পান করেন। গত দুই দিন ধরে ঘন কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। সকালে আমার চা বিক্রিও অনেক কমে গেছে। শুনছি, শীত আরো বাড়তে পারে, এমন থাকলে আমাদের ভোগান্তি বাড়বে।”

আরো পড়ুন:

করটিয়া ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ

গাইবান্ধা হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড
‘একজন মানুষ কয়জনকে সামাল দিতে পারি’ 

ট্রাকচালক করিম মুন্সি বলেন, “গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। কুয়াশায় সড়কে বের হতে ভয় লাগে। বিশেষ করে দুর্ঘটনা আতঙ্কে থাকি। গাড়ি নিয়ে বের না হলে পেটে ভাত জুটবে না, এজন্য বের হয়েছি।”

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

উত্তরাখন্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৭

ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার কেদারনাথের কাছে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার স্থানীয় সময় ভোরে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে। হেলিকপ্টারটি কেদারনাথ মন্দির থেকে গুপ্তকাশি যাচ্ছিল। যাওয়ার সময় এক বনে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

হেলিকপ্টারটিতে ছয়জন যাত্রী ও একজন পাইলট ছিলেন এবং সবাই নিহত হন। উত্তরাখন্ডের সিভিল এভিয়েশন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ইউসিএডিএ) জানিয়েছে, নিহত তীর্থযাত্রীরা উত্তরাখন্ড, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের বাসিন্দা ছিলেন।

কারিগরি সমস্যা ও আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গবাদিপশুর জন্য পশুখাদ্য সংগ্রহ করতে বনে যাওয়া স্থানীয় লোকজন প্রথম নিখোঁজ হওয়া হেলিকপ্টারটিকে বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখতে পান। হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর তাঁদের কাছেই প্রথম পাওয়া যায়।

উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে বলেন, রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ