জগন্নাথপুরে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দু’জন গ্রেপ্তার
Published: 28th, January 2025 GMT
অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য জালিয়াতির অভিযোগে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দু’জন হলেন– উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের আলম। তাদের বিরুদ্ধে আজ জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ।
জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন শাখার উপপরিচালক তকবির আহমদ ও সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল জগন্নাথপুর নির্বাচন কার্যালয়ে আসেন। তারা বিভিন্ন নথিপত্র পর্যবেক্ষণ করে এনআইডি-সংক্রান্ত তথ্য সংযোজন-বিয়োজন এবং বায়োমেট্রিক্স জালিয়াতির তথ্য-প্রমাণ পান। পরে তদন্ত কর্মকর্তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ বলেন, সুনির্দিষ্ট অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
উপজেলা নাগরিক ফোরামের নেতা নুরুল হক বলেন, জগন্নাথপুর নির্বাচন কার্যালয় অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়া ছিল। জন্মতারিখ পরিবর্তন করতে, কম বয়সী মেয়েদের বয়স বাড়াতে, নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করতে বা বায়োমেট্রিক জালিয়াতি করতে আলাদা আলাদা ঘুষের রেট নির্ধারণ ছিল। এই অফিসের দুর্নীতির ‘মহাজন’ ছিলেন মজিবুর রহমান। তাঁর গ্রেপ্তারের খবরে জগন্নাথপুরের মানুষ খুশি।
জগন্নাথপুর থানার ওসি রুহুল আমীন জানান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দু’জন সোমবার মধ্যরাত থেকে তাদের হেফাজতে ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদী হয়ে তাদের নামে মামলা করেন। দু’জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং চাকরিবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যারা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে, তাদেরও এ মামলায় আসামি করা হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৫ দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বাউবির এসএসসি প্রোগ্রাম
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত বহিঃবাংলাদেশ (নিশ-২) এসএসসি প্রোগ্রামে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে (২০২৫ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, ইতালি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত বা বসবাসরত বৈধ বাংলাদেশি প্রবাসী বা অভিবাসী কিংবা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আগ্রহী ব্যক্তিদের সেই দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে এসএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি করা হবে।
ভর্তির যোগ্যতা
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় দুটি শাখায় ভর্তি করা হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই জেএসসি/জেডিসি/অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সৌদি আরব/কাতার/কুয়েত/ইতালি/সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈধ অভিবাসী কিংবা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হতে হবে। ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালের পরে প্রদত্ত জন্মতারিখের ক্ষেত্রে জেএসসি/জেডিসি বা সমমানের সনদ প্রদান করতে হবে।
ভর্তির বিস্তারিত সময়
ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদনের তারিখ: ২৯ জুন পর্যন্ত।
আবেদন ফি জমা দিতে হবে: ৬১০ টাকা।
ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ: ১০ জুলাইয়ের মধ্যে।
ভর্তি ফি জমাদান: ১১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
ক্লাস শুরু: ৮ আগস্ট ২০২৫।
শিক্ষাপদ্ধতি
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে।
রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ
এই প্রোগ্রামের রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ সর্বনিম্ন দুই বছর এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। অর্থাৎ দুই বছরের আগে কোনো শিক্ষার্থী এটি শেষ করতে পারবেন না এবং পাঁচটি চূড়ান্ত পরীক্ষার পর কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা লাগবে
প্রার্থীর সম্প্রতি তোলা ছবি ও স্বাক্ষরের স্ক্যান কপি, জেএসসি/জেডিসি/অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষার সনদপত্রের স্ক্যান কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড/অনলাইন জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেটের স্ক্যান কপি, পাসপোর্টের স্ক্যান কপি এবং বসবাসের অনুমতি কার্ডের স্ক্যান কপি। আবেদন ফরমে শিক্ষার্থীর নিজের নাম ও জন্মতারিখ এবং পিতামাতার নাম অবশ্যই জেএসসি/জেডিসি/এনআইডি/পাসপোর্ট অনুযায়ী হুবহু লিখতে হবে। শিক্ষার্থীর অষ্টম শ্রেণির সনদপত্রের সঙ্গে এনআইডি/পাসপোর্টে উল্লিখিত তথ্যের (আবেদনকারীর নাম, পিতামাতার নাম বা জন্মতারিখ) গরমিল দেখা গেলে এনআইডি/পাসপোর্টের তথ্য সঠিক বলে বিবেচনা করা হবে।
যোগাযোগ
১. বাংলাদেশ দূতাবাস: সৌদি আরব/কাতার/কুয়েত/ইতালি/সংযুক্ত আরব আমিরাত
২. ডিন, ওপেন স্কুল, বাউবি।
৩. ইন্টারন্যাশনাল একাডেমিক প্রোগ্রাম উইং, বাউবি।
বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট।