বিএনপির সঙ্গে ছাত্রদের ‘ঝগড়া’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, বিএনপি ও ছাত্রদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হচ্ছে, দরকষাকষি হচ্ছে। আমি বলছি দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য তাদের সামনাসামনি বসে সমস্যার সমাধান করতে। ঐক্যবন্ধ হয়ে এক মঞ্চে নির্বাচন করা প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়নে নাগরিক ঐক্যের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মান্না এসব কথা বলেন।

নির্বাচন সর্ম্পকে প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন বেশি ভালো সংস্কার চাইলে নির্বাচন পরে হবে, অল্প সংস্কার চাইলে তাড়াতাড়ি হবে। আমি বলতে চাই, ভালো সংস্কার করে ভালো নির্বাচন দিন। কিন্তু সেই ভালো নির্বাচন খুব বেশি বিলম্বও করা যাবে না। 

মান্না আরও বলেন, মানুষের ভাগ্য বদলের জন্য প্রয়োজন ভালো সরকার, ভালো নির্বাচন। গণতন্ত্রের জন্য, দেশ গড়ার জন্য, ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ভালো ভোটের ভালো সরকার প্রয়োজন। বিগত সরকারের সময়ে ভালো ভোট হয়নি, যে কারণে গণতন্ত্র ছিল না, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ছিল না। শুধু লুটপাট হয়েছে।

তিনি বলেন, এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জিনিসপত্রের দাম কি কমেছে? সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কি নির্মূল হয়েছে? যানজট নিরসন হয়েছে? কিছুই হয়নি। তাই নির্বাচিত সরকার লাগবে এসব সমাধান করতে। তার আগে পুলিশ ও প্রশাসনে যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে অন্যায় কাজ করেছে তাদের চিহিৃত করতে হবে। তাদেরকে সরাতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদেরও বিচার করতে হবে।

জেলা নাগরিক ঐক্যের নেতা অধ্যক্ষ মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নাগরিক ঐক্যর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সজিব, শিবগঞ্জ উপজেলার আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, সাইদুর রহমান সাগর প্রমুখ।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ঝগড় র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান

ঢাকা-৮ আসনে দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান। তিনি বলেন, “ভোটের অধিকার জনগণের পবিত্র আমানত, এটি সচেতনভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা জননেতা সাইফুল হক-এর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।

গণসংযোগের শুরুতে ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়। 

সেখানে আকবর খান বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে অবিলম্বে ভোটের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে—২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে—ঢাকা-৮ আসনের বহু নাগরিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যে তরুণের এখন বয়স ২৫ বা ২৬, তারা কখনো ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তা জানে না- এটি গণতন্ত্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি আরো বলেন, “গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমাদের নেতা সাইফুল হক জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলনে রাজপথে সংগ্রাম করে আসছেন। এর জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও তিনি থেমে থাকেননি। ভোটাধিকার গণমানুষের দীর্ঘ লড়াই ও ত্যাগের ফসল। এই অধিকার ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।”

আকবর খান বলেন, “জননেতা সাইফুল হক গণমানুষের পরীক্ষিত নেতা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের জনগণ যেন তাকে ভোট দিয়ে নিজেদের সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়ার কথা ও দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস সংসদে তুলে ধরার সুযোগ করে দেন- এটাই আমাদের আহ্বান।”

গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকা থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল, কমলাপুর, ফকিরাপুল, কালভার্ট রোড হয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, কবি জামাল সিকদার, ফাইজুর রহমান মুনির, বাবর চৌধুরী, মহানগর নেতা যুবরান আলী জুয়েল, সালাউদ্দিন, রিয়েল মাতবর, আরিফুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু, গোলাম রাজিব, মাহমুদুল হাসান খান, ফয়েজ ইবনে জাফর, নান্টু দাস, শিবু মহন্ত ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

ঢাকা/এএএম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন জাতির দাবি
  • জনগণের বৃহত্তর ঐক্য ছাড়া এই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার পতন হবে না: সাকি
  • দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান
  • আন্তর্জাতিক সংকট যেভাবে স্বৈরশাসকদের শক্তিশালী করে
  • সরকার এখন প্রতারকের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে: মান্না