SunBD 24:
2025-11-26@04:38:37 GMT

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Published: 4th, February 2025 GMT

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতারআগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভিসা সেবা চালু হচ্ছে কালফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিতরমজানে দুর্নীতিমুক্ত ত্রাণ প্যাকেজ চালু করবে পাকিস্তানরিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামানজেনিথ ইসলামী লাইফের সব সূচকেই প্রবৃদ্ধি১৫ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করেই নির্বাচন হতে হবে: গোলাম পরওয়াররমজানে কম লাভ করে জনগণের পাশে দাঁড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টারগুচ্ছভর্তি পরীক্ষায় থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.

৯৪ শতাংশ

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

এক বছরেও ১৭ আসামির হদিস পাচ্ছে না পুলিশ

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা মামলার ১৭ জন আসামির খোঁজ এক বছরেও পায়নি পুলিশ। তাঁরা পলাতক থাকায় শুরু করা যাচ্ছে না বিচার কার্যক্রম। এ ঘটনায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ নিহত ব্যক্তির পরিবার। আজ বুধবার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে।

সাইফুল হত্যা মামলার দ্রুত বিচারের দাবিতে আজ সকালে আইনজীবী ভবনের সম্মুখে মানববন্ধন এবং বিকেলে স্মরণসভার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি।

২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ১৭ জন এখনো পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত মালামাল ক্রোকের আদেশ ও হুলিয়া জারি করেছেন। আসামিদের বিষয়ে প্রতিবেদন আসার পর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়ে দায়রা জজ আদালতে বদলি হবে।মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, সরকারি কৌঁসুলি।

হত্যা মামলাটি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ রয়েছে। জানতে চাইলে সরকারি কৌঁসুলি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সাইফুল হত্যা মামলায় মোট ৩৯ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। এর মধ্যে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ১৭ জন এখনো পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত মালামাল ক্রোকের আদেশ ও হুলিয়া জারি করেছেন। আসামিদের বিষয়ে প্রতিবেদন আসার পর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়ে দায়রা জজ আদালতে বদলি হবে। সেখানে ৩৯ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হবে।

২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী-বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যা মামলায় চলতি বছরের ১ জুলাই পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, চিন্ময়ের উসকানি ও নির্দেশে আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে আসামিরা পিটিয়ে হত্যা করেন। গত ২৫ আগস্ট আদালত চিন্ময়সহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। চিন্ময়ের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে হত্যা করা হয়। পরে চিন্ময়কে আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে তিনিসহ আইনজীবী হত্যায় কারাগারে আটক রয়েছেন ২২ আসামি। শুভ কান্তি দাশ, সুকান্ত দত্ত, রিপন দাশ, পপি দাস, সকু দাস, শিবা দাস, দ্বীপ দাসসহ ১৭ আসামি পলাতক।

পলাতক ১৭ আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম) আমিনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের ঠিকানায় গিয়ে পুলিশ তাঁদের পায়নি। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। এই মামলার বেশির ভাগ আসামি গ্রেপ্তার রয়েছেন।

চিন্ময় কৃষ্ণকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। চিন্ময়ের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে হত্যা করা হয়। পরে চিন্ময়কে আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে তিনিসহ আইনজীবী হত্যায় কারাগারে আটক রয়েছেন ২২ আসামি। শুভ কান্তি দাশ, সুকান্ত দত্ত, রিপন দাশ, পপি দাস, সকু দাস, শিবা দাস, দ্বীপ দাসসহ ১৭ আসামি পলাতক।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, দেশব্যাপী আলোচিত এই মামলার ১৭ আসামি এক বছরেও গ্রেপ্তার না হওয়া দুঃখজনক।

এক বছরেও ছেলে হত্যার বিচার শুরু না হওয়ায় হতাশ নিহত সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হোক। তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেকে ফিরে পাব না, কিন্তু আসামিদের ফাঁসি যাতে হয়। মৃত্যুর আগে ছেলের হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে চাই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ