বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতারআগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভিসা সেবা চালু হচ্ছে কালফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিতরমজানে দুর্নীতিমুক্ত ত্রাণ প্যাকেজ চালু করবে পাকিস্তানরিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামানজেনিথ ইসলামী লাইফের সব সূচকেই প্রবৃদ্ধি১৫ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করেই নির্বাচন হতে হবে: গোলাম পরওয়াররমজানে কম লাভ করে জনগণের পাশে দাঁড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টারগুচ্ছভর্তি পরীক্ষায় থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.
উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী সলিমখাঁর বাড়ি এখন মাদকের আখড়া
সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী ৭নং ওয়ার্ড কদমতলী এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সলিমখাঁর বাড়িটি এখন রীতিমতো মাদকের একটি কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, শীর্ষ মাদক ডিলার কানা আক্তার ও তার বাহিনী এই বাড়িটিকে মাদকের পাইকারি ও খুচরা বিক্রির আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছে। সন্ধ্যা নামলেই এখানে মাদকের প্রকাশ্য হাট বসে এবং রাতভর চলে মাদক কারবারিদের আনাগোনা।
কদমতলী এলাকাটি স্কুল, কলেজসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খুব কাছেই অবস্থিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, প্রকাশ্য মাদক বিক্রির কারণে এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা মাদকের দিকে ঝুঁকছে। এই যুব সমাজকে রক্ষা করা এখনই জরুরি।
জানা যায়, চিহ্নিত মাদক ডিলার কানা আক্তার এবং তার বাহিনীর সদস্য জলিল, আনুর ছেলে আলামিন, চুন্নুর ছেলে সুমন, বাবু, ও নয়নসহ অন্যান্যরা সরাসরি মাদক সেবন ও বিক্রির সাথে জড়িত।
আক্ষেপের সুরে সুজন ছদ্মনামের এক ব্যক্তি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও র্যাব কার্যালয় একেবারে নাকের ডগায় থাকা সত্ত্বেও এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, থানা পুলিশ মাদক নির্মূলের বড় বড় কথা বললেও এই কানা আক্তারের রমরমা ব্যবসা বন্ধ করতে পারছে না।
তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ মাঝে মধ্যে দু-একজনকে আটক করলেও অর্থের বিনিময়ে দ্রুতই ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। উদাহরণস্বরূপ, গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে থানার দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা কানা আক্তারের অন্যতম সহযোগী জলিলকে আটক করার পরও কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ করেন সুজন।
এই যদি হয় পুলিশের কাজ, তাহলে সমাজের মানুষ তাদের কাছে কী নিরাপত্তা আশা করতে পারে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সলিমখাঁকে একাধিকবার তার বাড়িতে মাদকের অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার বিষয়ে জানানো হলেও তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি মাদক কারবারিদের আশ্রয়দাতা হিসেবে কাজ করছেন।
এলাকার সাধারণ মানুষ ও ভুক্তভোগীরা জোর দাবি জানিয়েছেন যে, অবিলম্বে মাদক ডিলার কানা আক্তার এবং তার সহযোগী ও আশশ্রদাতা সলিমখাঁসহ সকল মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে কঠোর আইনি শাস্তির আওতায় আনা হোক।