বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থিদের বিরোধের জেরে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ পাঁচজন পদত্যাগ করেছেন।
 
মঙ্গলবার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদক বরাবর একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সোলায়মান, নির্বাচনী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দত্ত, তারিক আহমদ, সাম্যশ্রী বড়ুয়া ও নুরুদ্দিন আরিফ চোধুরী।

এমন পরিস্থিতিতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সমিতির নির্বচন হচ্ছে না। জানা যায়, ১১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সভায় অ্যাডহক কমিটি গঠনের পথে হাঁটছে সমিতি।

মোহাম্মদ সোলায়মান পদত্যাগের কথা স্বীকার করলেও মন্তব্য করতে রাজি হননি। সমিতির বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এখন আর নির্বাচনের সুযোগ নেই। সাধারণ সভা করে দুই মাসের জন্য একটি অ্যাডহক কমিটি হবে। তারা পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের আয়োজন করবে। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ১২০ বছরের ঐতিহ্য নষ্ট হলো। এ জন্য দায়ী রাজনীতিবিদ আইনজীবীরা।’
নির্বাচনে ২১ পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন ৪০ জন। ভোটার ৫ হাজার ৪০৪ জন। নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও জামায়াতে ইসলাম সমর্থিত বাংলাদেশ ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল যৌথভাবে ‘আইনজীবী ঐক্য পরিষদ’ এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত ‘সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ’ নামে প্যানেল ঘোষণা করেছিল।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথক পাঁচ মামলায় জামিন পেলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী

হত্যাসহ পৃথক পাঁচ মামলায় জামিন পেয়েছেন কারাগারে থাকা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।

জামিন চেয়ে আইভির করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ (রুল অ্যাবসলিউট) রায় দেন।

আদালতে আইভির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম হৃদয় রহমান প্রমুখ।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী। পরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পৃথক পাঁচ মামলায় রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে হত্যার অভিযোগে তিনটি ও মারাত্মক জখমের অভিযোগ করা দুটি মামলা রয়েছে।

আইভির আইনজীবী এস এম হৃদয় রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মামলাগুলোতে তাঁর মক্কেলের (আইভি) বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তিনি একজন নারী। তিনি ছয় মাস ধরে কারাগারে আছেন। এসব যুক্তিতে জামিন চাওয়া হয়।

চলতি বছরের ৯ মে ভোরে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগের নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন আইভী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া তিনটি হত্যা ও দুটি হত্যাচেষ্টা মামলাসহ পৃথক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২০০৩-২০১১ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন আইভী। পরে নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তিনটি নির্বাচনে টানা জয়ী হন তিনি। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলাসহ পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার হন আইভী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই
  • ভাইয়ের অপেক্ষায় নিদ্রাহীন সেলিনা জেটলি
  • লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বহাল, মঞ্জুরুল আলমের বিষয়ে শুনানি এক সপ্তাহ মুলতবি
  • ইসরায়েলের গোপন কারাগার ‘রাকেফেত’, যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না কখনো
  • এনসিটি পরিচালনায় ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে চুক্তি সম্পর্কিত প্রক্রিয়ায় স্থিতাবস্থা চেয়ে আবেদনের শুনানি ১৩ নভেম্বর
  • সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমের হাইকোর্টে জামিন
  • চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন মাশুল আদায় এক মাসের জন্য স্থগিত
  • পৃথক পাঁচ মামলায় জামিন পেলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী
  • ১৫ সেনা কর্মকর্তার আইনজীবী হিসেবে সরোয়ার হোসেনের নাম প্রত্যাহার
  • সাংবাদিকের ওপর চড়াও আইনজীবী, ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা