দ্বন্দ্বের জেরে হচ্ছে না চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচন
Published: 5th, February 2025 GMT
বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থিদের বিরোধের জেরে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ পাঁচজন পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদক বরাবর একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সোলায়মান, নির্বাচনী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দত্ত, তারিক আহমদ, সাম্যশ্রী বড়ুয়া ও নুরুদ্দিন আরিফ চোধুরী।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সমিতির নির্বচন হচ্ছে না। জানা যায়, ১১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সভায় অ্যাডহক কমিটি গঠনের পথে হাঁটছে সমিতি।
মোহাম্মদ সোলায়মান পদত্যাগের কথা স্বীকার করলেও মন্তব্য করতে রাজি হননি। সমিতির বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এখন আর নির্বাচনের সুযোগ নেই। সাধারণ সভা করে দুই মাসের জন্য একটি অ্যাডহক কমিটি হবে। তারা পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের আয়োজন করবে। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ১২০ বছরের ঐতিহ্য নষ্ট হলো। এ জন্য দায়ী রাজনীতিবিদ আইনজীবীরা।’
নির্বাচনে ২১ পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন ৪০ জন। ভোটার ৫ হাজার ৪০৪ জন। নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও জামায়াতে ইসলাম সমর্থিত বাংলাদেশ ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল যৌথভাবে ‘আইনজীবী ঐক্য পরিষদ’ এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত ‘সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ’ নামে প্যানেল ঘোষণা করেছিল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
যশোর আইনজীবী সমিতি: বিএনপিপন্থীদের জয়, সভাপতি সাবেরুল ও সম্পাদক গফুর
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম একচেটিয়া জয় পেয়েছে। তারা ১৩টি পদের মধ্যে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১১টি পদ পেয়েছে। দুটি পদে জিতেছেন জামায়াত–সমর্থিত ল ইয়ার্স কাউন্সিলের প্রার্থীরা। ভোট গণনা শেষে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহসীন আলী।
আগামী এক বছরের জন্য জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হলেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক হলেন এম এ গফুর। বিএনপি–সমর্থিত ফোরাম থেকে অন্য বিজয়ীরা হলেন সহসভাপতির দুই পদে গোলাম মোস্তফা ও বাসুদেব বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক নূর আলম, সহকারী সম্পাদক সেলিম রেজা ও আশরাফুল আলম, গ্রন্থাগার সম্পাদক কামরুল হাসান, কার্যকরী সদস্যের পাঁচটি পদের তিনটিতে বিএনপি ও দুটিতে জামায়াত–সমর্থিতরা জয়লাভ করেন। বিএনপি–সমর্থিত রেহেনা খাতুন, মঞ্জুরুল মাহমুদ ও মৌলুদা পারভীন। এ ছাড়া সদস্যপদে জামায়াত–সমর্থিত শফিকুল ইসলাম ও আজহারুল ইসলাম জয়লাভ করেন।
আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ প্যানেল দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও এবার তারা কোনো প্যানেল দেয়নি। এমনকি আওয়ামী লীগ–সমর্থিত কোনো ভোটার নির্বাচনী মাঠে সরবও হননি। তাঁরা অনেকটা নীরবে বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভোট গ্রহণের দুই দিন আগে বাম গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের দুজন প্রার্থীকে যুক্ত করে পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। বিএনপি–সমর্থিত প্যানেল যখন বামপন্থী আইনজীবীদের নিয়ে শক্তিশালী ফোরাম গড়ে তোলে, তখন বসে থাকেনি জামায়াত–সমর্থিত প্যানেলও। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি আবু মোর্তজাকে (ছোট) সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী করে গঠন করে লতিফ-ছোট ঐক্য পরিষদ।
এবারের নির্বাচনে ১৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে বিএনপি–সমর্থিত সাবু-গফুর ঐক্য প্যানেলের ১৩ প্রার্থী, জামায়াত–সমর্থিত লতিফ-ছোট ঐক্য পরিষদের ৭ প্রার্থী ও সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কাজী রেফাত রেজওয়ান।