টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫টার দিকে শহরের মেইন রোডে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে শতাধিক ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে যান। তাঁরা এক্সকাভেটর (ভেকু) দিয়ে কার্যালয় ভবন গুঁড়িয়ে দেন। পরে কার্যালয়ের সামনে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে টাঙ্গাইলের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইলে কোনো আওয়ামী লীগ অফিস রাখতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরও ভেঙে দেওয়া হবে।’

পরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে এক্সকাভেটরসহ মিছিল নিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শহরের থানা পাড়া এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত সভাপতি ফজলুর রহমান খানের বাড়িতে যান। সেখানে এক্সকাভেটর দিয়ে বাড়ির কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়। বাড়িতে ঢুকে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় বাড়ির জিনিসপত্র লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমানের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত র জনত আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

গোবিন্দগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে বিশেষ অভিযানে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাকিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের কামদিয়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জাকিরুল ইসলাম ইউনিয়ন ছাত্রদলের লীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বলে জানা গেছে। 

স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ থেকে বিগত সরকারের নানা কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি নাশকতার উদ্দেশে লোকজন জমায়েতের পরিকল্পনা করে আসছিল। দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ