শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শেরপুরে সমাবেশ
Published: 19th, February 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত ডিয়নের নেতৃত্বে শেরপুর সরকারি কলেজ মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সেটি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের নিউমার্কেটস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে আবুল হাসনাত ডিয়ন বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানোর নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে। গত ১৫টি বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছেন। দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম, খুন ও হত্যা করিয়েছেন তিনি। যারাই গণতন্ত্রের কথা বলেছেন, তাদের গলা টিপে ধরেছে তার দোসররা।”
আরো পড়ুন:
কুয়েটে সংঘর্ষ নিয়ে যা বলছে ছাত্রদল
ময়মনসিংহ মেডিকেলে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের হাতাহাতি
তিনি আরো বলেন, “শেখ হাসিনা ও তার দোসরদেরে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিচার করা।”
এসময় শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব হাসান, শেরপুর সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম সীমান্ত, শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হৃদয় হাসান উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।
শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।