সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত ডিয়নের নেতৃত্বে শেরপুর সরকারি কলেজ মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সেটি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের নিউমার্কেটস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

সমাবেশে আবুল হাসনাত ডিয়ন বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানোর নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে। গত ১৫টি বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছেন। দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম, খুন ও হত্যা করিয়েছেন তিনি। যারাই গণতন্ত্রের কথা বলেছেন, তাদের গলা টিপে ধরেছে তার দোসররা।”

আরো পড়ুন:

কুয়েটে সংঘর্ষ নিয়ে যা বলছে ছাত্রদল

ময়মনসিংহ মেডিকেলে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের হাতাহাতি

তিনি আরো বলেন, “শেখ হাসিনা ও তার দোসরদেরে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিচার করা।”

এসময় শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব হাসান, শেরপুর সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম সীমান্ত, শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হৃদয় হাসান উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান

ঢাকা-৮ আসনে দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান। তিনি বলেন, “ভোটের অধিকার জনগণের পবিত্র আমানত, এটি সচেতনভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা জননেতা সাইফুল হক-এর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।

গণসংযোগের শুরুতে ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়। 

সেখানে আকবর খান বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে অবিলম্বে ভোটের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে—২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে—ঢাকা-৮ আসনের বহু নাগরিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যে তরুণের এখন বয়স ২৫ বা ২৬, তারা কখনো ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তা জানে না- এটি গণতন্ত্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি আরো বলেন, “গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমাদের নেতা সাইফুল হক জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলনে রাজপথে সংগ্রাম করে আসছেন। এর জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও তিনি থেমে থাকেননি। ভোটাধিকার গণমানুষের দীর্ঘ লড়াই ও ত্যাগের ফসল। এই অধিকার ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।”

আকবর খান বলেন, “জননেতা সাইফুল হক গণমানুষের পরীক্ষিত নেতা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের জনগণ যেন তাকে ভোট দিয়ে নিজেদের সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়ার কথা ও দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস সংসদে তুলে ধরার সুযোগ করে দেন- এটাই আমাদের আহ্বান।”

গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকা থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল, কমলাপুর, ফকিরাপুল, কালভার্ট রোড হয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, কবি জামাল সিকদার, ফাইজুর রহমান মুনির, বাবর চৌধুরী, মহানগর নেতা যুবরান আলী জুয়েল, সালাউদ্দিন, রিয়েল মাতবর, আরিফুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু, গোলাম রাজিব, মাহমুদুল হাসান খান, ফয়েজ ইবনে জাফর, নান্টু দাস, শিবু মহন্ত ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

ঢাকা/এএএম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই প্রায় চূড়ান্ত: তারেক রহমান
  • গণতন্ত্রের পথে সংকট দেখছেন তারেক
  • এমন তো হবার কথা ছিল না: তারেক রহমান
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন জাতির দাবি
  • জনগণের বৃহত্তর ঐক্য ছাড়া এই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার পতন হবে না: সাকি
  • দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান