রাওয়ালপিন্ডির মাটিতে পাকিস্তানকে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টে ধবলধোলাই করে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। সেই মাঠেই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এবার লাল সবুজের দলের প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় কিউইদের বিপক্ষে শুরু হবে বাংলাদেশের বাঁচা মরার লড়াই। এই মাঠে কী পিন্ডি জয়ের আত্মবিশ্বাস কাজে দেবে? রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন উঠতেই যেন আশার সঞ্চার করলেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।

ফিল সিমন্স বলেন, “আশা করি কাজ করবে। পাকিস্তানে এসে পাকিস্তানকে হারানো কোনো সহজ কাজ নয়। এটা তাদের (বাংলাদেশ ক্রিকেট দল) অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে। আশা করি, এই মাঠ নিয়ে তাদের চিন্তার জগতে বিষয়টি প্রভাব রাখবে।”

আরো পড়ুন:

ক্রীড়া অনুষ্ঠানে ওসি, আ.

লীগ ও বিএনপি নেতা, মিশ্র প্রতিক্রিয়া

মিরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ঐতিহাসিক সেই সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের গ্রাফ নামে তলানিতে। ভারত সফর থেকে শুরু করে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা, আরব আমিরাতে আফগানিস্তান আর উইন্ডিজের মাটিতে ওয়ানডেতে ধবলধোলাই।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে বড় হারে শুরু। দুবাই আর পিন্ডির উইকেটে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। পিন্ডির রানের ফোয়ারায় ছোটা উইকেটে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারানো নিউ জিল্যান্ড যেন দিচ্ছে চোখ রাঙানি।

সিমন্স অতীত ভুলে তাকাতে চান নতুন দিনে, বাংলাদেশ কোচের প্রত্যাশা যেন শিষ্যরা শুরুটা ভালো করতে পারে। তিনি বলেন, “আমি তাদের ফর্ম নিয়ে চিন্তিত নই। যে রকম খেলছি, প্রথম ১০ ওভারে সেটার চেয়ে ভালো করতে হবে। মিডল আর লোয়ার অর্ডার খুব ভালো করছে। টপ অর্ডারের ব্যাটারদের জ্বলে উঠতে হবে এখন। বিশেষ করে প্রথম ১০-১৫ ওভার পর্যন্ত।”

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড মুখোমুখি হয় একবার। শেষ হাসি হাসে তারাই। সব মিলিয়ে একুশ দেখায় লাল সবুজের জয় মাত্র তিনটিতে। এবার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে ছাড় দিতে চায় না বাংলাদেশ।

“এই টুর্নামেন্টে প্রতিটি ম্যাচই চাপের। বিশ্বের শীর্ষ আটটি দল খেলে এখানে এবং প্রতিটি ম্যাচই কঠিন হবে। হ্যাঁ, তারা (নিউ জিল্যান্ড) ভালো খেলেছে, তাই আমরা নিশ্চিত করব তারা যেন আগের মতো ভালো খেলতে না পারে” যোগ করেন সিমন্স।

বাংলাদেশ একাদশে আসতে পারে কয়েকটি পরিবর্তন। বিশেষ করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাদশে ফিরলে তার জায়গায় কে বাদ যাবেন সেটাই এখন দেখার। এ ছাড়া পেস আক্রমণে আসতে পারে এক পরিবর্তন। মোস্তাফিজুর রহমান-তানজীম হাসান সাকিবের মধ্য থেকে বাদ পড়তে পারেন যে কেউই। একাদশে আসতে পারেন নাহিদ রানা।

এদিকে, জয় দিয়ে এক পা সেমিতে রাখা নিউ জিল্যান্ড মাঠে নামছে আটঘাট বেঁধেই। অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার বলেন, “হ্যাঁ, বাংলাদেশের জন্য আমাদের কয়েকটি পরিকল্পনা আছে, কিন্তু আমি মনে করি আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে উইকেট কী করে। যদি এটি বেশ ফ্ল্যাট হয় তবে, আমি মনে করি, করাচিতে যা করেছি এখানেও তা করতে হবে।”

ঢাকা/রিয়াদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স মন স

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।

জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।

আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ