নিরাপদ দেশ পেতে নির্বাচন সবার সামনে বড় সুযোগ: তারেক রহমান
Published: 28th, February 2025 GMT
একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার জন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবার সমানে বড় সুযোগ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের জে এম সেন হলে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
দল-মত, ধর্ম, দর্শন যার যার, রাষ্ট্র সবার এবং নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার—এই নীতিতে বিএনপি বিশ্বাস করে বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। স্বৈরাচার পালালেও গণতন্ত্র কিন্তু এখনো শঙ্কামুক্ত নয়—মন্তব্য করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র ক্রমাগত অব্যাহত রয়েছে। পলাতক স্বৈরাচারের দোসর নানা কৌশলে পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার অপচেষ্টায় প্রতিনিয়ত লিপ্ত। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ সংসদ ও সরকার যতক্ষণ না পর্যন্ত গঠিত হবে, তত দিন পর্যন্ত গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয়।
রাষ্ট্রে আইনের শাসন না থাকলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা থাকে না উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাষ্ট্রে আইনের শাসন না থাকলে আমি, আপনি, আমরা অর্থাৎ সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু কেউ নিরাপদ নয়। সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু, ধর্ম-বর্ণ, দল-মতনির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র আইনের শাসন যেকোনো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে পারে।’
তারেক রহমান আরও বলেন, রাষ্ট্র ও সমাজে নিরাপদ বসবাস নিশ্চিত করতে কোনো দলীয় পরিচয়ে আবদ্ধ থাকা কারও জন্য জরুরি নয়। কে সংখ্যালঘু, কে সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর সদস্য—শুধু এই পরিচয় রাষ্ট্র ও সমাজে একজন নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাপকাঠি হতে পারে না।
সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় পরিচয়কে যাতে ভবিষ্যতে কেউ হীন স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে আমরা বাংলাদেশি। এই দেশ আপনার আমার সবার। প্রত্যেক নাগরিক সব ক্ষেত্রে সম-অধিকার ভোগ করবে—এটিই বিএনপির নীতি, বিএনপির রাজনীতি।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা একটি ক্রস রুটে দাঁড়িয়ে আছি। এটা আমাদের অতিক্রম করতে হবে। এটা অতিক্রম কোনো একটি গোষ্ঠী বা ধর্ম দ্বারা হবে না। এটার অতিক্রম আমাদের সবাইকে মিলে করতে হবে।’
শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান প্রদীপ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও বিপ্লব পার্থর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সাবেক সদস্যসচিব আবুল হাশেম, জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার সেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব আর কে দাশ প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ব এনপ র কম ট র ন র পদ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।
শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।