ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুইর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন এবি পার্টি নেতারা। আজ রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানে ফ্রান্স দূতাবাসে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন দেশটির ঢাকা দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর ক্রিশ্চিয়ান বেক। অন্যদিকে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রধান নাসরীন সুলতানা, নারীবিষয়ক সম্পাদক ফারাহ নাজ সাত্তার, ইন্টারন্যাশনাল উইংয়ের সদস্য হাজেরা মেহজাবিন ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ছাত্রী প্রতিনিধি ফারজানা আক্তার।

মতবিনিময়কালে এবি পার্টির নেতারা রাষ্ট্রদূতকে বলেন, রাজনীতিতে অতীতমুখিতা ও পরিবারতান্ত্রিক বন্দোবস্তের ধারণা থেকে সরে আসার সময় হয়েছে। তরুণেরা পুরোনো রাজনীতিতে ক্লান্ত এবং সত্যিকার অর্থেই একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তন দেখতে চান, যা এবি পার্টি ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর।

বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য এবি পার্টির চিন্তা জানতে চান ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত। এর জবাবে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এবি পার্টি সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে এবং নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনে দলের প্রস্তাব তুলে ধরেছে। তারা একটি টেকসই পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত প্রগতিশীল ও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে।

ফ্রান্স-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও বেশি জনগণকেন্দ্রিক হওয়া উচিত এবং এটি অর্জনের জন্য ব্যাপক কার্যক্রম নেওয়া উচিত বলে বৈঠকে উল্লেখ করেন এবি পার্টির নেতারা। তাঁরা রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ফরাসি গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে কাজ করে, তা বোঝার জন্য আরও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার সুযোগ দিতে হবে। এটি তাদের গণতন্ত্র সম্পর্কে ধারণা অর্জনে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশে আরও ভালো ব্যবসায়িক অনুশীলন মডেল স্থাপনে সহায়তা করার জন্য রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ফ্রান্স সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে এবি পার্টি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’

তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’

আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’

ঢাকা/আসাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • আমেরিকানদের হাতে সময় আছে মাত্র ৪০০ দিন
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন
  • বাংলাদেশ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে: আইরিন খান
  • কেমন সংবিধান চান, জানালেন এনসিপি নেতা আখতার হোসেন
  • বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইইউ