পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন রুরাল ডেভেলপমেন্টে ভর্তি, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সুযোগ
Published: 5th, March 2025 GMT
এক বছর মেয়াদি পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন রুরাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের অষ্টম ব্যাচের সামার টার্মে শিক্ষার্থী ভর্তিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রোগ্রামটি সম্পূর্ণ আবাসিক। পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ), বগুড়া এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ কোর্সে ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা আছে।
আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতা—*প্রার্থীদের অবশ্যই স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হতে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে।
আবেদনের নিয়ম—*প্রার্থীকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আরডিএ ওয়েবসাইট www.
*আবেদনের সঙ্গে মহাপরিচালক, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া বরাবর ২০০/- (দুই শ) টাকা মূল্য মানের পে-অর্ডার জমা দিতে হবে;
*আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রথম শ্রেণির সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত নিম্নোক্ত কাগজপত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে। এগুলো হলো ১. এসএসসি/এইচএসসি ও স্নাতক পাসের সনদপত্র ও মার্কশিট; ২. ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি করপোরেশন কর্তৃক নাগরিকত্বের সনদপত্র; ৩. সর্বশেষ অধ্যয়নকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট হতে প্রাপ্ত চারিত্রিক সনদপত্র ও ৪. জাতীয় পরিচয়পত্র;
বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, আছে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা*দুই কপি পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত রঙিন ছবি;
*চাকরিরত প্রার্থীদের যথার্থ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পরে প্রাপ্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে না। অসম্পূর্ণ, ত্রুটিযুক্ত ও ভুল তথ্যাদি সন্নিবেশিত আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
আরও পড়ুন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে ভর্তি, দেখুন বিস্তারিত০১ মার্চ ২০২৫গুরুত্বপূর্ণ তারিখ—*আবেদনপত্র ও অন্য কাগজপত্র জমার শেষ তারিখ: ১৬ মার্চ, ২০২৫ (রোববার)
*নির্বাচনী পরীক্ষা: ১৭ মার্চ ২০২৫ (সোমবার)
*নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ: ১৮ মার্চ, ২০২৫ (মঙ্গলবার)
*ভর্তি শুরু: ১৯ মার্চ, ২০২৫ (বুধবার)
*ভর্তির শেষ তারিখ: ২৫ মার্চ, ২০২৫ (মঙ্গলবার)
*ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ: ৬ এপ্রিল, ২০২৫ (রোববার)
* ক্লাস শুরু: ৭ এপ্রিল, ২০২৫ (সোমবার)।
*বিস্তারিত তথ্যের জন্য ০১৬৭২-৩৯১৭৫০ নম্বরে যোগাযোগ করুন।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, আবেদনের সময় বৃদ্ধি, এমসিকিউ ১০০, মেধাতালিকা ২০০ নম্বরে০১ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুননিটোরে ভর্তি, আবেদন সময় বাড়ল, দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগসহ জেনে নিন বিস্তারিত০২ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম র চ ২০২৫
এছাড়াও পড়ুন:
‘লিচুর বাগানে’ যে কারণে ‘পিরিতের বেড়া’ দিতে হয়
‘তাণ্ডব’ সিনেমার গান ‘লিচুর বাগানে’ প্রকাশের পর রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। কফি শফ থেকে বাস, মেট্রোরেল আশপাশে কান পাতলে গানটা শোনা যাচ্ছে। কেউ না কেউ শুনছেন। সামাজিক মাধ্যমের স্টোরি ও রিলসেও গানটি ভেসে বেড়াচ্ছে। চরকি ও এসভিএফের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত গানটির আজ পর্যন্ত (১২ এপ্রিল ২০২৫) ভিউ হয়েছে যথাক্রমে ১২ মিলিয়ন ও ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন।
উচ্ছ্বসিত অনেক দর্শক গানটি নিয়ে মন্তব্যও করেছেন। তাহসিন নামের এক শ্রোতা লিখেছেন, ‘গানটির প্রতিটি সুর, দৃশ্য ও পরিবেশনায় বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অপূর্ব রূপ ফুটে উঠেছে। যাত্রাপালার ফিল্মের আবহে তৈরি এই গানটি যেন গ্রামীণ বাংলার প্রাণস্পন্দন তুলে ধরেছে। লোকেশন থেকে শুরু করে কস্টিউম, প্রতিটি ডিটেইলে আছে নিখুঁত যত্ন।’
গানটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বন্ধুদের মধ্যে খুনসুটিও চলছে। বন্ধুকে মেনশন দিয়ে কেউ যেমন প্রশ্ন করছেন, ‘কী রে, বেড়া ডিঙাতে পারলি?’ আবার কেউ জিজ্ঞেস করছেন বল তো, ‘“লিচুর বাগানে” কেন “পিরিতের বেড়া” দিতে হয়?’
প্রশ্নটির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা যাক। শুরুতেই ‘লিচুর বাগানে’ গানটি দিয়ে আলোচিত, ‘কে এই ছত্তার পাগলা’ শীর্ষক প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। গবেষক সরোজ মোস্তফার মতে ‘কে দিল পিরিতের বেড়া লিচুরও বাগানে’ পঙ্ক্তির রচয়িতা ও সুরকার ছত্তার পাগলা। তবে সংগীতগবেষক গৌতম কে শুভর মত ভিন্ন। তাঁর মতে, ‘এটি মূলত প্রচলিত ঘেটু গান। “কে দিল পিরিতির বেড়া লিচুর বাগানে?” অংশটি মূল গানের অংশ। ছত্তার পাগলা নিজের মতো করে এর সঙ্গে কথা সংযোজন করেছেন। নেত্রকোনায় ছত্তার পাগলার লেখা রূপটিই বিখ্যাত হয়েছে।’ ২০১৪ সালের এপ্রিলে মারা গেছেন ছত্তার পাগলা। জীবদ্দশায় রচনা ও সুরারোপ করেছেন কয়েক শ গান। মৃত্যুর বছর তিনেক আগে তাঁর কাছ থেকে গানটি শুনে হাতে লিখে রেখেছিলেন আল মামুন চৌধুরী।
আল মামুন চৌধুরীর লেখা অনুযায়ী গানটির কথা:
কে দিল পিরিতের বেড়া, লিচুরও বাগানে
লিচুরও বাগানে গো সই…লিচুরও বাগানে …(ঐ)
পাখি খাইছ না লিচু, বন্দে খাইবো
বন্দে লিচু খাইয়া, খুশি হইবো
আমার কাছে আইসা কইবো
কত শান্তি দিবো আমার মনেপ্রাণে (ঐ)
ছোট ছোট লিচুগুলি, বন্দে তুলে আম্বো তুলি
বন্দে দেয় গো আমার মুখে,
আমি দিতে চাই বন্ধুর মুখের পানে…(ঐ)
মিষ্টি লিচু খাইয়া বন্দে, বাঁশি বাজায় মন আনন্দে
আমার মনে লাগে সন্দে বন্ধু সম্ভব জাদু জানে (ঐ)
বাঁশি হাতে পলায় মালা, তারে চায় ছত্তার পাগলা,
করব লইয়া উলামেলা, (২) প্রাণবন্ধুর সনে…(ঐ)
সরল অর্থে ‘বেড়া’ হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা তথা বাধা তৈরির উপকরণ। আর ‘পিরিতের বেড়া’ মানে ভালোবাসায় বাধা। কিন্তু ভালোবাসার এই বাধা তথা প্রতিবন্ধকতা ‘লিচুর বাগানে’ কেন? কবিতা তথা গানে অর্থের তারতম্য অর্থের অনুগত না হয়ে বোধ কিংবা ভাবনার পরবশে প্রস্ফুটিত হয়। ব্যক্তিবিশেষে তা ভিন্ন ভিন্ন অর্থ লাভ করে, ভিন্ন ভিন্ন মূল্য পায়।
আরও পড়ুন‘লিচুর বাগানে’ গানটি দিয়ে আলোচিত, কে এই ছত্তার পাগলা ০৬ জুন ২০২৫‘কে দিল পিরিতের বেড়া, লিচুরও বাগানে’ একটি ‘ঘাটু গান’ বা ‘ঘেটু গান’। এই গান প্রসঙ্গে জানা যায়, এই গানের অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল নৃত্য। অল্প বয়সী একটি ছেলেকে মেয়ে সাজিয়ে তার নৃত্যের মধ্য দিয়ে ঘেটু গান পরিবেশিত হতো। সঙ্গে থাকত ঢোল, হারমোনিয়াম, বাঁশি ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র। কয়েকটি ‘ঘেটু গানে’র দৃষ্টান্ত দেখা যাক।
(১)
‘তুই আমারে চিনলে নারে
আমি তো রসের কমলা।
বন্ধুর বাড়ি আমার বাড়ি
মধ্যে নলের বেড়া।’
(২)
ঘুমাইলা ঘুমাইলারে বন্ধু
পান খাইলায়না
এক বালিশে দুইটি মাথা
সুন্দর কইরা কওরে কথা।
গানগুলো থেকে উপলব্ধি করতে কষ্ট হয় না যে ‘ঘেটু গানে’ যেমন ভাষার সারল্য আছে, তেমনিভাবে রূপকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে যাপিত জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে থাকা নানা উপকরণ। আর এ ক্ষেত্রে গান রচনার সময় রচয়িতা তাঁর আশপাশ থেকেই গান নির্মাণের উপকরণগুলো যে নিয়ে থাকবেন, সেই ধারণাও পাওয়া যায়। ‘লিচুর বাগানে’ গানের ক্ষেত্রেও বোধ করি এটা ঘটেছে। তাই এই গানে যেমন ‘লিচু বাগানে’র কথা আছে, একইভাবে আছে ‘পাখি’, ‘বাঁশি’ ও ‘লিচু’র কথাও। পাখিকে লিচু না খাওয়ার অনুরোধ করলেও পাখি যেন খেতে না পারে সে কারণেই যে বেড়া দেওয়া হয়েছে; সেই ব্যথাও গানটিতে ফুটে উঠেছে। সব মিলিয়ে ‘লিচুর বাগান’ শেষ পর্যন্ত ‘লিচুর বাগানে’ সীমাবদ্ধ থাকেনি। হয়ে উঠেছে ভালোবাসার প্রতীক।
কথায় আছে, ভালোবাসা জয় করে নিতে হয়। জিতে নেওয়ার মধ্যেই আছে অপার আনন্দ। ভালোবাসায় প্রতিবন্ধকতা থাকাটা মোটেও দোষের নয়। বরং বাধা না থাকাটাই যেন আশ্চর্যের। একইভাবে ভালোবাসা জিতে নেওয়ার পরও পেয়ে গেছি বলে হাল ছেড়ে দিলে চলে না। ‘লিচুর বাগান’কে এ ক্ষেত্রে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করলে, ‘লিচুর বাগানে’ ‘পিরিতের বেড়া’ তথা ভালোবাসার বেষ্টনী দেওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। কেননা ‘ভালোবাসা’কে ভালোবাসা দিয়েই আগলে রাখতে হয়। প্রবল যত্নে আঁকড়ে রাখতে হয়। যেন কোনো কৌতূহলেই তা দুলে না ওঠে, হারিয়ে না যায়।
আরও পড়ুনসাবিলা তো ‘লিচুর বাগানে’ দিয়ে কী যে আগুন লাগিয়ে দিল...০৫ জুন ২০২৫