দেশে–বিদেশে পড়াশোনা শেষে ইন্টেলে চাকরি পেলেন হাসান উল বান্না, বেতন বছরে দুই কোটি
Published: 6th, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ইন্টেলে চাকরি পেয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জি এম হাসান উল বান্না। বছরে বেতন পাবেন ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বোনাস মিলে পাবেন ২ কোটি ৪২ লাখ টাকার মতো। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিমা, সন্তানদের স্কুলের সুবিধা ও নিজের পড়াশোনার খরচও পাবেন।
ইন্টেল করপোরেশনের ওরেগন অফিসে ৬ জানুয়ারি মডিউল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন জি এম হাসান উল বান্না। লজিক ট্রানজিস্টর ডেভেলপমেন্টর নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক করার পর হাসান উল বান্না দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ংনাম ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে পিএইচডি শেষ করেন।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, সংশোধিত পদ ৭৫১ইন্টেলে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। এ ছাড়া চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়িয়েছেন।
জি এম হাসান উল বান্না বলেন, ‘২০২৪ সালে পিএইচডি অধ্যয়নরত অবস্থায় চাকরির আবেদন শুরু করি। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ইন্টেল থেকে ভাইভার জন্য ডাক পাই। তিন ধাপে ভাইভা নেওয়ার পর জুনে আমাকে চাকরির জন্য কনফার্ম করে। প্রতিটি ধাপেই মনে হচ্ছিল, কোনো ভুল করলাম আর বাদ পড়ে গেলাম। সবচেয়ে কঠিন ছিল শেষের ইন্টারভিউ, যেখানে সারা দিনবাপী কয়েকজন সায়েন্টিস্ট, ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান সবাই বিভিন্ন প্রশ্ন করেছিলেন এবং সেগুলোর সঠিক উত্তর দিতে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, জীবনে যা কিছু শিখেছি, জেনেছি সব কাজে লাগছে।’
হাসান উল বান্না বলেন, ‘শেষে যখন চাকরির অফার পেলাম, তখন মনে হলো জীবনের অনেক বড় একটা স্বপ্ন পূরণ হলো। কিন্তু তখনো আমার পিএইচডি শেষ হয়নি। এরপর পরিশ্রমের মাত্রা বেড়ে গেল। পিএইচডি শেষে ৬ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দিই।’
আরও পড়ুনবেসরকারি সংস্থায় বড় নিয়োগ, পদ ৭৩৫০৫ মার্চ ২০২৫ইন্টেলে চাকরি করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের হাসান উল বান্না বলেন, ‘একাডেমিক ফলাফলের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও ক্লাবের সঙ্গে জড়িত থেকে নেতৃত্বগুণ অর্জন করতে হবে। এগুলো পরবর্তী সময়ে অনেক কাজে লাগে।’ইন্টেলে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক ছিলেন বান্না.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার বিশ্বাসকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় ২৬ জুলাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
সুব্রত কুমার বিশ্বাস পাবনার ঈশ্বরদী পৌর শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সান্ধ্যকালীন (ইভিনিং) স্নাতকোত্তর শ্রেণির এক ছাত্রী যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু পরে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে ছাত্রীটি ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিভাগের প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ওই বছরের ৯ অক্টোবর শিক্ষক সুব্রতকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর তদন্ত করে। তদন্তে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরপর তদন্ত কমিটি তাঁকে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। এ সুপারিশের ভিত্তিতেই রিজেন্ট বোর্ড বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম আবদুল আওয়াল প্রথম আলোকে বলেন, রিজেন্ট বোর্ডে একজন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি আইন অনুযায়ীই হয়েছে।