যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ইন্টেলে চাকরি পেয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জি এম হাসান উল বান্না। বছরে বেতন পাবেন ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বোনাস মিলে পাবেন ২ কোটি ৪২ লাখ টাকার মতো। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিমা, সন্তানদের স্কুলের সুবিধা ও নিজের পড়াশোনার খরচও পাবেন।

ইন্টেল করপোরেশনের ওরেগন অফিসে ৬ জানুয়ারি মডিউল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন জি এম হাসান উল বান্না। লজিক ট্রানজিস্টর ডেভেলপমেন্টর নিয়ে কাজ করছেন তিনি।

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক করার পর হাসান উল বান্না দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ংনাম ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে পিএইচডি শেষ করেন।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, সংশোধিত পদ ৭৫১

ইন্টেলে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। এ ছাড়া চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়িয়েছেন।

জি এম হাসান উল বান্না বলেন, ‘২০২৪ সালে পিএইচডি অধ্যয়নরত অবস্থায় চাকরির আবেদন শুরু করি। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ইন্টেল থেকে ভাইভার জন্য ডাক পাই। তিন ধাপে ভাইভা নেওয়ার পর জুনে আমাকে চাকরির জন্য কনফার্ম করে। প্রতিটি ধাপেই মনে হচ্ছিল, কোনো ভুল করলাম আর বাদ পড়ে গেলাম। সবচেয়ে কঠিন ছিল শেষের ইন্টারভিউ, যেখানে সারা দিনবাপী কয়েকজন সায়েন্টিস্ট, ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান সবাই বিভিন্ন প্রশ্ন করেছিলেন এবং সেগুলোর সঠিক উত্তর দিতে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, জীবনে যা কিছু শিখেছি, জেনেছি সব কাজে লাগছে।’

হাসান উল বান্না বলেন, ‘শেষে যখন চাকরির অফার পেলাম, তখন মনে হলো জীবনের অনেক বড় একটা স্বপ্ন পূরণ হলো। কিন্তু তখনো আমার পিএইচডি শেষ হয়নি। এরপর পরিশ্রমের মাত্রা বেড়ে গেল। পিএইচডি শেষে ৬ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দিই।’

আরও পড়ুনবেসরকারি সংস্থায় বড় নিয়োগ, পদ ৭৩৫০৫ মার্চ ২০২৫ইন্টেলে চাকরি করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের হাসান উল বান্না বলেন, ‘একাডেমিক ফলাফলের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও ক্লাবের সঙ্গে জড়িত থেকে নেতৃত্বগুণ অর্জন করতে হবে। এগুলো পরবর্তী সময়ে অনেক কাজে লাগে।’ইন্টেলে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক ছিলেন বান্না.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প এইচড ইন ট ল

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’

বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’ 

পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।

২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
  • টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
  • মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা