বিশ্বখ্যাত লেখক হার্পার লি’র প্রবন্ধ ও ছোটগল্পের নতুন বই প্রকাশিত হবে আগামী ২১ অক্টোবর। ৮৯ বছরের জীবনকালে তিনি মাত্র দুটি উপন্যাস প্রকাশ করেছিলেন। এখন গল্প ও প্রবন্ধের এই নতুন সংগ্রহ মরণোত্তরভাবে তাঁর বইয়ের তালিকায় যুক্ত হবে। ‘দ্য ল্যান্ড অব সুইট ফরএভার: স্টোরিজ অ্যান্ড এজেস’ নামে এই সংগ্রহ অক্টোবরে প্রকাশিত হবে এবং এতে আটটি ছোটগল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা একজন তরুণ লি তাঁর প্রিয় ‘টু কিল আ মকিংবার্ড’-এর ওপর আলোকপাত করার আগে লিখেছিলেন।
গল্পগুলো আলাবামা থেকে নিউইয়র্ক সিটি পর্যন্ত বিস্তৃত এবং রাজনীতি, সাম্য, শিল্প এবং আমেরিকান দক্ষিণের মতো বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে। এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে জানা যায়, টাইপ স্ক্রিপ্টগুলো ২০১৬ সালে লির মৃত্যুর পর তাঁর নিউইয়র্ক সিটির অ্যাপার্টমেন্টে আবিষ্কৃত হয়েছিল।
‘হার্পার লির বেঁচে থাকা পরিবারের সদস্যদের একজন হিসেবে আমি জানি যে, এই প্রবন্ধগুলো এবং বিশেষ করে ছোটগল্প, আমরা জানতাম যে এসবের অস্তিত্ব ছিল কিন্তু সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে, পাওয়া গেছে এবং প্রকাশিত হচ্ছে,’ প্রয়াত লেখকের ভাগনে, ডক্টর এডউইন কোনার মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি কেবল আমাদের প্রিয় খালা ছিলেন না, একজন মহান আমেরিকান লেখক ছিলেন এবং আমরা কখনোই খুব বেশি জানতে পারি না যে তিনি কীভাবে সেই শীর্ষে এসেছিলেন।’
লি, যিনি ২০১৬ সালে ৮৯ বছর বয়সে মারা যান। ‘টু কিল আ মকিংবার্ড’-এর পরে কোনো নতুন, পূর্ণদৈর্ঘ্যের বই প্রকাশ করেননি। ২০১৫ সালে তিনি ‘মকিংবার্ড’-এর প্রাথমিক খসড়া ‘গো সেট এ ওয়াচম্যান’-এর মুক্তির অনুমোদন দেন। v
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি মাসের ১৫ দিনে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু
দেশে আজ রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তি একজন পুরুষ। তাঁর বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ঢাকায় সরকারি একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি মাসে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে দেশে ৫ জুন একজন ও ১৩ জুন ২ জনের মৃত্যু হয়। শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০৩।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৯১ জনের কাছ থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৬টি নমুনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩।
একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন চারজন। তাঁদের নিয়ে এ পর্যন্ত করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪১০-এ দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুনসরকারি হিসাবের চেয়ে করোনায় মৃত্যু ছিল বেশি ১০ ঘণ্টা আগে২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। করোনায় প্রথম মৃত্যুর কথা জানা যায় ওই বছরের ১৮ মার্চ। এর তিন বছর পর ২০২৩ সালের মে মাসে করোনার কারণে জারি করা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন জেএন.১-এ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। দ্রুত ছড়ানোর কারণে জেএন.১-কে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর একই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কথা বলছেন। এর নাম এক্সএফজি। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটিই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভেরিয়েন্টের উপধরন।
আরও পড়ুনকরোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ দফা নির্দেশনা১১ জুন ২০২৫