রাজধানীর পল্লবী থানায় ঢুকে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে আব্দুর রাজ্জাক ফাহিম নামে এক যুবক।

এ ঘটনায় পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার শরিফুল ইসলাম এবং এএসআই (সশস্ত্র) মো. নাসির আহত হয়েছেন। হামলাকারী ফাহিমসহ মোট চার যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, আহত অবস্থায় এএসআই মো.

নাসিরকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হলে এক্সরে করে দেখা যায়, তার আঙুল ভেঙে গেছে।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে হেলমেট চোরে অতিষ্ঠ বাইকাররা, গ্রেপ্তার ২

ছদ্মবেশে নারীদের উত্ত্যক্ত করা যুবক আটক

সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে পল্লবী থানা ডিউটি অফিসারের রুমে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ওসি নজরুল ইসলাম জানান, রাত দুইটার কিছু আগে এক যুবক থানায় এসে জানায়, এই এলাকায় একটি মার্ডার হয়েছে, পুলিশ তা জানে কি না? উত্তরে তিনি বলেন, এমন ঘটনা তার জানা নেই। এরপর ওই যুবক দাবি করে, পুলিশ ঘটনাটি লুকোচুরি করছে এবং জানায়, ডিউটি অফিসার এ ঘটনা জানে।

এরপর ওই যুবককে নিয়ে ডিউটি অফিসারের রুমে যাওয়া পর ওই যুবকের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। তারপরই তিনি ওসিকে মারধর শুরু করেন।এএসআই নাসির তাকে থামাতে গেলে যুবকের আঘাতে তার আঙুল ভেঙে যায়।এরপর সেকেন্ড অফিসার শরিফুল ইসলাম আসলে যুবকটি তার কপালে ঘুসি মেরে কপাল ফুলিয়ে দেয়। পরে তাকে আটক করা হয়।

আটকের পর ফাহিম জানায়, বাইরে একটি গাড়িতে আরো ৩ জন রয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানান, তারা গাজীপুর থেকে ঘুরতে এসেছেন। পরে ওই ৩ জনকেও থানায় আনা হয়।

ঢাকা/এমআর/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম অফ স র

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা

রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।

আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।

লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা