ব্রাজিল জাতীয় দলে ফিরতে এবং আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে নিজের ইচ্ছের কথা ব্যক্ত করেন নেইমার জুনিয়র। সেই তাগিদ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে শৈশবের ক্লান সান্তোসে ফিরে আসেন এই ৩৩ বছর বয়সী তারকা। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির হয়ে ছন্দে ও ফিরছিলেন ধীরে-ধীরে। ফলে প্রায় ১৭ মাস পরে ডাক পেয়েছিলেন জাতীয় দলে।

তবে সান্তোসে ফিরে ছন্দে ফিরলেও, অনিয়ন্ত্রিত জীবন থেকে ফিরে আসতে পারেননি নেইমার। ফলশ্রুতিতে আবারও চোটে পড়েছেন দল ঘোষণার পরে। স্বাভাবিকভাবেই ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের ব্রাজিল দলে বহু প্রতিক্ষিত প্রত্যাবর্তনটা অন্তত এখন আর হচ্ছে না। তার পরিবর্তে দলে ঢুকেছেন রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ স্ট্রাইকার এন্দ্রিক।

নেইমার ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে খেলার সময় হাঁটুর চোট পান। এরপর থেকে জাতীয় দলে ব্রাত্য ছিলেন এই ফরোয়ার্ড। সান্তসে ফিরে এসে ৭ ম্যাচে ৩ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট করেছিলেন। সেই সুবাদে সেলেয়াও দলে ডাকও পেয়েছিলেন। তবে কদিন আগে হালকা চোটে পড়ার পরে বিশ্রাম না নিয়ে কার্নিভালে যান। এরপর সেই চোট আরও গুরুতর হয়।

আরো পড়ুন:

আর্জেন্টিনার বিপক্ষের ম্যাচের আগে ব্রাজিলের দুশ্চিন্তা, নিষেধাজ্ঞা শঙ্কায় নেইমারসহ ১০ তারকা

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন রোনাল্ডো নাজারিও

স্বাভাবিকভাবে এই মাসে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বাকপ বাছাই পর্বের মহা গুরুতেপূর্ণ ম্যাচ দুটিতে খেলতে পারবেন না তিনি। ২১ ও ২৬ মার্চ যথাক্রমে ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।

ফিরে আসার দ্বারপ্রান্তে এসে আবারও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় নিজেকে দুর্ভাগা ভাবছেন এই ব্রাজিলিয়ান। নেইমার নিজের ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, “ফিরে আসার সময়টা অনেক কাছে মনে হচ্ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জার্সি পরতে পারব না।”

তবে এই ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড কোন ঝুকে নিতে চান না। সবার সাথে আলোচনা করেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, “আমরা অনেক দীর্ঘ আলোচনা করেছি এবং সবাই জানে আমার ফিরে আসার ইচ্ছা কতটা তীব্র। কিন্তু আমরা একমত হয়েছি যে কোনো ঝুঁকি না নিয়ে, সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে এই চোট পুরোপুরি সেরে ওঠা সবচেয়ে ভালো।”

ব্রাজিলের হতে কাফু ১৪২ ম্যাচ খেলেছিলেন। যা সেলেসাওদের জার্সিতে সর্বোচ্চ। এরপর ১২৮ ম্যাচ নয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন নেইমার। তবে নেইমার তার দেশের সর্বকালের সেরা গোলদাতা। ৭৯ গোলের করেছেন এই ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড, যা পেলের চেয়ে দুইটি গোল বেশি। সেলেসাওদের হয়ে ৫৯টি অ্যাসিস্টও আছে তার।

এদিকে নেইমারের পরিবর্তে দলে আসা ১৮ বছর বয়সী এন্দ্রিক, এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ২৮টি ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন ৬টি। এই তরুণ স্ট্রাইকার ব্রাজিলের হয়ে ১৩টি ম্যাচ খেলেছেন এবং জালের দেখা পেয়েছেন তিন বার।

অন্যদিকে ব্রাজিলের কোচ ডোরিভাল জুনিয়র চোটের কারণে ম্যানচেস্টার সিটির গোলরক্ষক এডারসন ও ফ্লামেঙ্গো ফুলব্যাক ড্যানিলোকেও দল থেকে বাধ্য দিতে বাধ্য হয়েছেন। এদের পরিবর্তে দলে এসেছেন অলেম্পিক লিও গোলকিপার লুকাস পেরি ও ফ্লামেঙ্গো ডিফেন্ডার আলেক্স সান্দ্রো।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল জ ত য় দল ফর য় র ড

এছাড়াও পড়ুন:

সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু

জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম‌্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।

অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব‌্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব‌্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।

টস হেরে ব‌্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব‌্যাটে।  এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক‌্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।

এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।

লক্ষ‌্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ‌্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ‌্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২),  গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব‌্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ‌্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যবসায়ীকে বুকসমান বালুতে পুঁতে নির্যাতন, টাকা আদায়, অভিযোগ বিএনপি নেতা ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে
  • সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
  • সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আবারও হতাশায় ডুবিয়ে এগিয়ে গেল পাকিস্তান
  • জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ভিপিএনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল
  • রূপ নয়, সাহস দিয়ে জয় করা এক নায়িকা
  • টানা দুই জয়ের পর এবার হার বাংলাদেশের যুবাদের
  • ভারতের অর্থনীতি মৃত, ট্রাম্প ঠিকই বলেছেন: রাহুল
  • হেনরির ৬ উইকেটের পর দুই ওপেনারে নিউজিল্যান্ডের দিন
  • অসুখবিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না: ববিতা