বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে শনিবার (১৫ মার্চ) দুস্থ, এতিম ও গরিবদের নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থী নিয়ে গণইফতার করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল।

বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে সমাবর্তন চত্বরে আয়োজিত এ ইফতারে দুস্থ, এতিম ও গরিবরা ছাড়াও দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। 

ইফতার মাহফিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ ছাত্রদলের বাকৃবি শাখা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা

ছাত্রদল কর্মীদের বিরুদ্ধে চবি শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ

ইফতারের আগে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর শান্তি এবং শিক্ষা ও গণতন্ত্রের অগ্রগতির জন্য দোয়া করা হয়।

এ বিষয়ে বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো.

শফিকুল ইসলাম বলেন, “ইফতারে শিক্ষার্থীদের ঢল প্রমাণ করে ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে পেরেছে। আর এ ধারা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে বাকৃবিকে জাতীয়তাবাদের আতুর ঘরে পরিণত করে সুস্থ ধারার রাজনীতির রোল মডেলে পরিণত করতে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।”

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান বলেন, “রমজান আত্মশুদ্ধি, সহমর্মিতা ও আত্মত্যাগের মাস। এ মাসে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমাদের প্রতিজ্ঞা আরও দৃঢ় হতে হবে। আমরা আগামী দিনগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে সব ধরনের অন‍্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকব । দেশের স্বার্থে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্রদল কখনো আপোষ করবে না।”

ইবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

এদিকে, ক্রিকেট মাঠে দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে গণইফতারের আয়োজন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল।

এর আগে, সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে টোকেন পৌঁছে দেয়। পরে বিকেলে ছেলেদের জন্য ক্রিকেট মাঠে এবং মেয়েদের জন্য খালেদা জিয়া হলের সামনে ইফতার বিতরণ করে। ইফতারের পাশাপাশি কুরআন তিলাওয়াত আয়োজন করা হয়।

ইফতার ও কুরআন তিলাওয়াত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক ড. মতিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং অধ্যাপক ড. রাশেদুজ্জামান প্রমুখ।

ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ বলেন, “ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে। আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়েই ক্যাম্পাসে পজিটিভ কাজ করতে চাই। আমরা পূর্বের স্বৈরাচার সরকারের কারণে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু রাজনৈতিক কার্যক্রম করতে পারতাম না। এখন পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। আমরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম সুন্দরবাবে করছি। ভবিষ্যতে আমরা এমন সুন্দর কাজ চালিয়ে যেতে চাই।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “ছাত্রদলের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের জন্য তথা মানুষের জন্য কাজ করবে। রমজান ধৈর্য্য ধারণের মাস ও ঐক্যের মাস। ছাত্রদল ক্যাম্পাসে সবার সঙ্গে একত্রে কাজ করে যাবে।”

তিনি বলেন, “বিএনপি গণমানুষের দল। তাই এসব ভালো কাজের মাধ্যমে ছাত্রদল জাতীয়তাবাদী আদর্শ গণমানুষের কাছে পৌছে দিবে। ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পরে শহীদ জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। তিনি সংবিধানে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস যুক্ত করছিলেন এবং সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়েছিলেন। বিএনপি ইসলামী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। তাই ছাত্রদল সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবে।”

ঢাকা/লিখন/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র ছ ত রদল স র রহম ন ক জ কর র জন য ইফত র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’

তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’

আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’

ঢাকা/আসাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • আমেরিকানদের হাতে সময় আছে মাত্র ৪০০ দিন
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন
  • বাংলাদেশ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে: আইরিন খান
  • কেমন সংবিধান চান, জানালেন এনসিপি নেতা আখতার হোসেন
  • বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইইউ