বাকৃবি ও ইবি শাখা ছাত্রদলের গণইফতার
Published: 15th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে শনিবার (১৫ মার্চ) দুস্থ, এতিম ও গরিবদের নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থী নিয়ে গণইফতার করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল।
বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে সমাবর্তন চত্বরে আয়োজিত এ ইফতারে দুস্থ, এতিম ও গরিবরা ছাড়াও দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
ইফতার মাহফিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ ছাত্রদলের বাকৃবি শাখা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা
ছাত্রদল কর্মীদের বিরুদ্ধে চবি শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ
ইফতারের আগে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর শান্তি এবং শিক্ষা ও গণতন্ত্রের অগ্রগতির জন্য দোয়া করা হয়।
এ বিষয়ে বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো.
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান বলেন, “রমজান আত্মশুদ্ধি, সহমর্মিতা ও আত্মত্যাগের মাস। এ মাসে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমাদের প্রতিজ্ঞা আরও দৃঢ় হতে হবে। আমরা আগামী দিনগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে সব ধরনের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকব । দেশের স্বার্থে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্রদল কখনো আপোষ করবে না।”
ইবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল
এদিকে, ক্রিকেট মাঠে দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে গণইফতারের আয়োজন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল।
এর আগে, সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে টোকেন পৌঁছে দেয়। পরে বিকেলে ছেলেদের জন্য ক্রিকেট মাঠে এবং মেয়েদের জন্য খালেদা জিয়া হলের সামনে ইফতার বিতরণ করে। ইফতারের পাশাপাশি কুরআন তিলাওয়াত আয়োজন করা হয়।
ইফতার ও কুরআন তিলাওয়াত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক ড. মতিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং অধ্যাপক ড. রাশেদুজ্জামান প্রমুখ।
ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ বলেন, “ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে। আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়েই ক্যাম্পাসে পজিটিভ কাজ করতে চাই। আমরা পূর্বের স্বৈরাচার সরকারের কারণে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু রাজনৈতিক কার্যক্রম করতে পারতাম না। এখন পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। আমরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম সুন্দরবাবে করছি। ভবিষ্যতে আমরা এমন সুন্দর কাজ চালিয়ে যেতে চাই।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “ছাত্রদলের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের জন্য তথা মানুষের জন্য কাজ করবে। রমজান ধৈর্য্য ধারণের মাস ও ঐক্যের মাস। ছাত্রদল ক্যাম্পাসে সবার সঙ্গে একত্রে কাজ করে যাবে।”
তিনি বলেন, “বিএনপি গণমানুষের দল। তাই এসব ভালো কাজের মাধ্যমে ছাত্রদল জাতীয়তাবাদী আদর্শ গণমানুষের কাছে পৌছে দিবে। ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পরে শহীদ জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। তিনি সংবিধানে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস যুক্ত করছিলেন এবং সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়েছিলেন। বিএনপি ইসলামী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। তাই ছাত্রদল সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবে।”
ঢাকা/লিখন/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র ছ ত রদল স র রহম ন ক জ কর র জন য ইফত র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান
ঢাকা-৮ আসনে দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান। তিনি বলেন, “ভোটের অধিকার জনগণের পবিত্র আমানত, এটি সচেতনভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা জননেতা সাইফুল হক-এর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।
গণসংযোগের শুরুতে ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়।
সেখানে আকবর খান বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে অবিলম্বে ভোটের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে—২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে—ঢাকা-৮ আসনের বহু নাগরিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যে তরুণের এখন বয়স ২৫ বা ২৬, তারা কখনো ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তা জানে না- এটি গণতন্ত্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”
তিনি আরো বলেন, “গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমাদের নেতা সাইফুল হক জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলনে রাজপথে সংগ্রাম করে আসছেন। এর জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও তিনি থেমে থাকেননি। ভোটাধিকার গণমানুষের দীর্ঘ লড়াই ও ত্যাগের ফসল। এই অধিকার ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।”
আকবর খান বলেন, “জননেতা সাইফুল হক গণমানুষের পরীক্ষিত নেতা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের জনগণ যেন তাকে ভোট দিয়ে নিজেদের সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়ার কথা ও দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস সংসদে তুলে ধরার সুযোগ করে দেন- এটাই আমাদের আহ্বান।”
গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকা থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল, কমলাপুর, ফকিরাপুল, কালভার্ট রোড হয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, কবি জামাল সিকদার, ফাইজুর রহমান মুনির, বাবর চৌধুরী, মহানগর নেতা যুবরান আলী জুয়েল, সালাউদ্দিন, রিয়েল মাতবর, আরিফুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু, গোলাম রাজিব, মাহমুদুল হাসান খান, ফয়েজ ইবনে জাফর, নান্টু দাস, শিবু মহন্ত ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
ঢাকা/এএএম/এস