দেশের ভবিষ্যৎকে ষড়যন্ত্রের শিকার হতে দেওয়া যাবে না: গণতন্ত্র মঞ্চ
Published: 16th, March 2025 GMT
দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী নিপীড়ন, হয়রানি ও ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। তারা বলেছে, দেশের ভবিষ্যৎকে কোনোভাবেই ষড়যন্ত্রের শিকার হতে দেওয়া যাবে না।
আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গণতন্ত্র মঞ্চ এ কথা বলে। এতে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ও অপরাধমূলক ‘মব’ কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে দ্রুত শক্ত ও দৃঢ় ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।
গত ১১ মার্চ ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামের প্ল্যাটফর্মের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা এবং ১২ ছাত্রনেতাকে মামলায় জড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ের পর পুলিশের এই ভূমিকা জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার এবং ভবিষ্যতে এ মামলায় যাতে কাউকে হয়রানি করা না হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খানকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিদাতারা হলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।
শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।