Prothomalo:
2025-11-02@18:57:23 GMT

মহানবীর (সা.) ইতিকাফ

Published: 20th, March 2025 GMT

মহানবী (সা.) রমজানে ইতিকাফ পালন করতেন একান্ত কিছুটা সময় আল্লাহর সান্নিধ্যে যাপন করার জন্য। প্রতি বছর রমজানে তিনি মদিনার মসজিদে ইতিকাফ করতেন। তার ইন্তেকালের পর তার স্ত্রীরাও ইতিকাফ করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ২,০৪১) 

তিনি মৃত্যু-পূর্ব পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন (বুখারি, হাদিস: ২,০২৬)। কেন? তিনি নিজেই জানিয়েছেন, ‘আমি কদরের রাত্রির সন্ধানে প্রথম দশ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী দশদিনে। পরে ওহির মাধ্যমে আমাকে জানানো হলো যে, তা শেষ দশ দিনে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ করবে, সে যেন (এ-সময়) ইতিকাফ করে। ফলে, লোকজন তার সঙ্গে ইতিকাফ অংশ নিল। (মুসলিম, হাদিস: ১,১৬৭)

তবে আবু হোরাইরা (রা.

) জানান যে, যে-বছর তিনি পরলোকগত হন, সে বছর ইতিকাফে কাটিয়েছেন তিনি বিশ দিন (বুখারি, হাদিস: ২,০৪৪)

আরও পড়ুনরমজানের নেয়ামত শবে কদর২০ এপ্রিল ২০২৩

কোথায় অবস্থান করতেন

ইতিকাফকালে রাসুল (সা.) মসজিদে সবার থেকে আলাদা করে একটি তাঁবু-সদৃশ টানিয়ে দেওয়ার আদেশ দিতেন। আবু সাইদ (রা.) বলেন, ‘নবীজি (সা.) এক তুর্কি তাঁবুতে ইতিকাফে বসলেন, যার প্রবেশমুখে ছিল একটি চাটাইয়ের টুকরো। (একবার) তিনি চাটাইটি হাতে ধরে একপাশে সরিয়ে রাখলেন এবং চেহারা বের করে লোকজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করলেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১,৭৭৫)

 বিশ তারিখের দিবসের সূর্যাস্তের পর একুশ তারিখের রাতের সূচনালগ্নে তিনি ইতেকাফগাহে প্রবেশ করতেন এবং বের হতেন ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর। আয়েশা (রা.) জানান যে, নবীজি (সা.) ফজর আদায় করে ইতেকাফগাহে প্রবেশ করতেন। (মুসলিম, হাদিস: ১,১৭৩)

আরও পড়ুন ইতিকাফ আল্লাহর ঘরে, আল্লাহর সঙ্গে০৪ এপ্রিল ২০২৩

ইতিকাফের সময় কী করতেন

 ইতিকাফকালে তিনি কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যেতেন না, জানাজায় অংশ নিতেন না, স্ত্রী-সঙ্গ ত্যাগ করতেন। তবে স্ত্রীরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং কথা বলতেন। সাফিয়া (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) ইতিকাফে ছিলেন, আমি তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য এলাম, আলাপ করলাম, এরপর চলে এলাম...। অন্য বর্ণনায় আছে, নবীজি (সা.)তাঁকে পৌঁছে দিতে এগিয়ে গেলেন। অথচ নবীজি(সা.)ইতিকাফে ছিলেন এবং সাফিয়ার আবাস ছিল উসামা বিন জায়েদের বাড়িতে। যদিও তিনি অত্যাবশ্যকীয় কোনো কারণ ব্যতীত ইতেকাফগাহ হতে বের হতেন না। (বুখারি, হাদিস: ৩,২৮১, ৩,০৩৯, ২,০২৯)

 ইতিকাফের অজুহাতে যারা পরিবারের কথা ভুলে যায়, তারা এ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। এমনকি স্ত্রীকে ঘর পর্যন্ত এগিয়ে দিতে তিনি বাইরেও বেরিয়েছেন। কোনো বর্ণনায় আছে, আয়েশা (রা.) তাঁর মাথার চুল গুছিয়ে দিতেন (বুখারি, হাদিস: ২৯৬)। একবার তিনি মসজিদে অবস্থান করছিলেন, স্ত্রীরা তার পাশে ছিলেন এবং তারা ছিলেন আনন্দিত...। (বুখারি, হাদিস: ১,৮৯৭)

আরও পড়ুনমহানবী (সা.)-কে ভালোবাসার ৭টি নিদর্শন০৬ মার্চ ২০২৫

ইতিকাফের কাজা আদায়

আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) ইতিকাফ করবেন বলে মনস্থ করলেন, ফজরের নামাজ আদায় করে ইতেকাফগাহে প্রবেশ করলেন। জয়নব (রা.) চাইলেন তার সঙ্গে ইতিকাফ করবেন। তিনি অনুমতি দিলেন। তার জন্যও তাঁবু টানানো হলো। এরপর রাসুলের অন্য স্ত্রীরাও একে একে এসে তাঁবু টানালেন এবং ইতিকাফ করবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করলেন। ফজর নামাজ শেষে রাসুল (সা.) অনেকগুলো তাঁবু দেখে বললেন, তোমরা কি এর মাধ্যমে পুণ্য অর্জন করতে চাইছ? এরপর তিনি নির্দেশ দিলেন তার তাঁবু সরিয়ে নিতে এবং তিনি রমজানে ইতিকাফ পরিত্যাগ করলেন। সে-বছর শাওয়ালের প্রথম দশদিন সেই ইতেকাফের কাজা আদায় করেছেন তিনি। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৩৬৬৩)

 আরেকবার সফরে থাকার কারণে ইতিকাফ পালন সম্ভব না হওয়ায় তিনি রাসুল(সা.) পরবর্তী বছর বিশ দিন ইতিকাফ করে তা কাজা করে নেন। (তিরমিজি, হাদিস: ৮০৩)

আরও পড়ুনরোজার নিয়ত কখন করবেন১০ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রব শ করব ন রমজ ন করল ন করত ন

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা

রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।

আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।

লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা