পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ল
Published: 27th, March 2025 GMT
পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। কমিশনগুলো স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী, স্থানীয় সরকার ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। নতুন সময় অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করার সময় পাবে এসব সংস্কার কমিশন।
আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সময় বাড়ানোর কথা জানানো হয়। এর মধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। আর স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনটি সংস্কার কমিশন এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। মার্চ মাস পর্যন্ত এসব কমিশনের সময় রয়েছে। এখন তা আরও বাড়ল।
এর আগে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতিমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
পাবিপ্রবিতে ‘উচ্চ শিক্ষায় মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ কৌশল’ কর্মশালা
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দিনব্যাপী ‘উচ্চ শিক্ষায় মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে কর্মশালার উদ্বোধন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান।
আরো পড়ুন:
বাসা থেকে ডেকে নিয়ে রাতভর গবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
‘উদাসীনতায়’ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সংকটে যবিপ্রবি
এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা চাপকে জয় করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক চাপ, ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা এগুলো স্বাভাবিক বিষয়। হতাশা আসতেই পারে তবে মহান ব্যক্তিরা চাপ মোকাবিলা করেই সফল হয়েছেন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘সহায়তা নেওয়া দুর্বলতার বিষয় নয়। নিজের যত্ন নিতে হবে, সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে। মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকলে বড় সমস্যা সহজে সমাধান করা যায়। যেকোনো চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখাই হলো সফলতার মূল চাবিকাঠি। এ ধরনের কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের মনোবল দৃঢ় করবে, তারা মানসিকভাবে আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে।’’
রিসোর্স পারসন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন এন্ড রিসার্চের পরিচালক অধ্যাপক ড. আকতার বানু বলেন, ‘‘আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ মানসিক চাপের মধ্যে থাকলেও বিষয়টি নিয়ে কারোর সঙ্গে শেয়ার করতে পারে না। কারণ এটাকে ‘সোশ্যাল ট্যাবু’ হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু মনের কথা শেয়ার করতে পারলে অনেক কিছুরই সমাধান হয়ে যায়। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিনোদনের প্রয়োজন হয়। পড়ালেখার জন্যও বিনোদন, মানসিক সতেজতার খুব প্রয়োজন। এ জন্য অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এই ধরনের প্লাটফর্ম শিক্ষার্থীদের জন্য খুব সহায়ক।’’
পাবনা মানসিক হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (সাইক্রিয়াটিক) ড. মাসুদ রানা সরকার বলেন, ‘‘আমাদের দেশের ১৮ শতাংশ মানুষ নানা মানসিক সমস্যার মধ্যে আছেন। এর মধ্যে ১৭ শতাংশ মানুষের সমস্যা খুবই সাধারণ সমস্যা, বলা যায় সমস্যাগুলো খুবই স্বাভাবিক। তাদের সাধারণ কিছু চিকিৎসা, কাউন্সেলিং করলেই সমস্যা থাকবে না।’’
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘পরীক্ষার আগে অনেক কিছু ভুলে যাওয়া ব্রেইনের মেকানিজমের খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। পড়ালেখা, রেজাল্ট, চাকরি, কর্মজীবন সবকিছুতেই চাপ আছে। এ চাপগুলো ব্রেইনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিছু কৌশল আয়ত্ত করলে চাপমুক্ত জীবনযাপন করা যায়।’’
এ সময় ইনস্টিটিউট কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শামীম রেজা, সহকারী পরিচালক ড. আশফাকুর রহমান, মেডিকেল সেন্টারের উপ প্রধান চিকিৎসক ড. মো. রফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/শাহীন/বকুল