পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ল
Published: 27th, March 2025 GMT
পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। কমিশনগুলো স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী, স্থানীয় সরকার ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। নতুন সময় অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করার সময় পাবে এসব সংস্কার কমিশন।
আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সময় বাড়ানোর কথা জানানো হয়। এর মধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। আর স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনটি সংস্কার কমিশন এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। মার্চ মাস পর্যন্ত এসব কমিশনের সময় রয়েছে। এখন তা আরও বাড়ল।
এর আগে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতিমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ার ডাক তারেক রহমানের
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তাদের কর্ম ও জীবনের অনুপ্রেরণা নিয়ে প্রত্যাশার বাংলাদেশ গুড়ে তুলতে হবে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষের বিভক্তি আওয়ামী লীগ করেছে: সালাহউদ্দিন
সুনামগঞ্জে তালা ভেঙে শহীদ মিনারে ফুল দিলেন মুক্তিযোদ্ধারা
স্ট্যাটাসে তারেক রহমান লেখেন, “১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নিহত শিক্ষক, চিকিৎসক, লেখক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।”
“১৪ ডিসেম্বর মূলত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণের দিন। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন, স্বাধীনতার পক্ষে কলম ধরেছেন। তাদের জীবন ও কর্ম আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে,” বলেন তিনি।
দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকে গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করে তারেক রহমান লেখেন, “দেশকে মেধাশূন্য করার সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ হিসেবেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। স্বাধীনতার বিজয়কে বাধাগ্রস্ত করতেই বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, যা আজো জাতিকে বেদনাহত করে।”
“তবে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা যে আদর্শ রেখে গেছেন- জ্ঞান-বিজ্ঞান, মুক্ত চিন্তা, ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সম্প্রীতির চেতনা তা আজও উন্নত ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয় জাগিয়ে তোলে। একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণই ছিল তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য,” যোগ করেন তিনি।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন আজও অপূর্ণ রয়ে যাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে তারেক রহমান বলেন, “অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেলেও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। গণতন্ত্র বারবার মৃত্যুকূপে পতিত হয়েছে। একদলীয় দুঃশাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করা হয়েছে। বহু রক্ত ঝরলেও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আজো সংকটমুক্ত নয়।”
“তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতনের পর যদি আমরা আইনের শাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং বহু পথ ও মতের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ বাস্তবায়িত হবে,” বলেন তিনি।
শোকাবহ এই দিনে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “আজকের এই শোকাবহ দিনে আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই আসুন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।”
সবশেষে তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশে বুদ্ধিবীজী হত্যায় মেতে ওঠে হানাদার বাহিনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকায় থাকা বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের হত্যা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
আজ ১৪ ডিসেম্বর। দিনটতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করা হবে।
ঢাকা/আলী/রাসেল