পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ল
Published: 27th, March 2025 GMT
পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। কমিশনগুলো স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী, স্থানীয় সরকার ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। নতুন সময় অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করার সময় পাবে এসব সংস্কার কমিশন।
আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সময় বাড়ানোর কথা জানানো হয়। এর মধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। আর স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনটি সংস্কার কমিশন এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। মার্চ মাস পর্যন্ত এসব কমিশনের সময় রয়েছে। এখন তা আরও বাড়ল।
এর আগে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতিমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
পেনাল্টি মিস করে জয় হাতছাড়া করল ব্রাজিল
বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সামনে রেখে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ধাক্কা খেল ব্রাজিল। আগের ম্যাচে সেনেগালকে ২-০ গোলে হারানো দলটি আজ মঙ্গলবার রাতে ১-১ গোলে ড্র করেছে তিউনিসিয়ার সঙ্গে। এই ম্যাচে অবশ্য জেতার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু লুকাস পাকেতার পেনাল্টি মিসে শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি ‘সেলেসাও’রা। এ ছাড়া কাছাকাছি গিয়ে আরও কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছে দলটি।
লিলে শুরু থেকে আক্রমণ ও বলদখলে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রেখেও ব্রাজিল যেন ঠিক ছন্দে ছিল না। তাঁদের আক্রমণগুলো ছিল লক্ষ্যহীন এবং নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল চোখে পড়ার মতো।
ভুল পাসের কারণে আক্রমণগুলো বারবার তাল হারানোয় পাওয়া হচ্ছিল না কাঙ্ক্ষিত গোলটিও। আর ব্রাজিলের এই ছন্দহীনতার সুযোগ নিয়ে প্রতি-আক্রমণ থেকে আকস্মিক গোল আদায়ের চেষ্টা করে তিউনিসিয়া। সেই লক্ষ্যে শেষ পর্যন্ত সফলও হয় তারা। ম্যাচের ২৩ মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে গোল করে তিউনিসিয়াকে এগিয়ে দেন হাজেম মাসতৌরি।
গোল খেয়ে ব্রাজিল চেষ্টা করে স্বরূপে ফেরার। কয়েকবার আক্রমণেও যায় তারা। ব্রাজিলের আক্রমণের চাপে শেষ পর্যন্ত ভেঙেই পড়ে তিউনিসিয়া।
প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ব্রাজিলকে পেনাল্টি উপহার দেয় আফ্রিকান দেশটি। দারুণ এক শটে গোল করে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান এস্তেভাও। এটি ব্রাজিলের হয়ে চার ম্যাচে এস্তেভাওয়ের চতুর্থ গোল। এই গোলের পর সমতাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতির পর দেখা মেলে সংগঠিত ও আগ্রাসী ব্রাজিলের। পরপর কয়েকবার আক্রমণে গিয়ে তিউনিসিয়ার রক্ষণকে কাঁপিয়েও দেয় তারা। কিন্তু প্রত্যাশিত গোলটি মিলছিল না কোনোভাবে।
এ সময় তিউনিসিয়া যথারীতি নির্ভর করে প্রতি-আক্রমণের ওপর। এই কৌশলে দারুণ কিছু সুযোগও তৈরি করে তারা। যদিও গোল পাওয়া হচ্ছিল না তাদেরও। তিউনিসিয়া না পারলেও ব্রাজিলের সামনে সুযোগ এসেছিল আরেকটি পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যেতে পারত ব্রাজিল। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন লুকাস পাকেতা। এই মিসই মূলত ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়, শেষ পর্যন্ত ড্র করে মাঠ ছাড়ে দুই দল।