Samakal:
2025-09-18@00:59:59 GMT

নায়ক আলমগীরের জন্মদিন আজ

Published: 3rd, April 2025 GMT

নায়ক আলমগীরের জন্মদিন আজ

আজ ৩ এপ্রিল, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য সত্যিই বিশেষ দিন। কারণ এই দিনকে চলচ্চিত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সেই সঙ্গে এই দিনেই দেশের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা আলমগীরের জন্মদিন। তাই এই তারকার প্রতিটি জন্মদিনই চলচ্চিত্র পরিবার বিশেষভাবে উদযাপন করে থাকেন।

এবারের জন্মদিনটি আরও স্পেশ্যাল, কারণ এ বছর ৭৫-এ পা রাখলেন গুণী এই অভিনেতা। জন্মদিন উপলক্ষে আলমগীরকে নিয়ে কথা বলেছেন ঢালিউডের দুই প্রজন্মের দুজন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক।

আলমগীরের পুরো নাম মহিউদ্দিন আহমেদ আলমগীর। সত্তরের দশক থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি অভিনয় করেছেন অত্যন্ত প্রতাপের সঙ্গে। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য হিট সিনেমা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন রেকর্ড ৯ বার।

১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল আলমগীরের জন্ম হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার বাবার নাম কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া। তিনি বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এর অন্যতম একজন প্রযোজক ছিলেন। আলমগীরদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে।

১৯৭৩ সালে আলমগীর কুমকুম পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন। এরপর একে একে ‘দস্যুরাণী’, ‘লাভ ইন সিমলা’, ‘মনিহার’, ‘মনের মানুষ’, ‘আগুনের আলো’, ‘সাম্পানওয়ালা’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘বৌমা’, ‘ভাত দে’, ‘গরীবের বউ’, ‘পিতা-মাতা’, ‘জজ ব্যারিস্টার’, ‘স্ত্রীর মর্যাদা’সহ অসংখ্য আলোচিত ও সুপারহিট সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।

১৯৮৬ সালে কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য প্রথম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান আলমগীর। এরপর ১৯৮৭ সালে ‘অপো’, ১৯৮৯ সালে ‘ক্ষতিপূরণ’, ১৯৯০ সালে ‘মরণের পরে’, ১৯৯১ সালে ‘পিতা মাতা সন্তান’, ১৯৯২ সালে ‘অন্ধ বিশ্বাস, ১৯৯৪ সালে ‘দেশ প্রেমিক’সহ মোট ৯ বার এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

এছাড়া জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননাও পেয়েছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। চলচ্চিত্রের অস্থিরতা ও বর্তমান সংকট সমাধানে বর্তমানে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আলমগীর।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আলমগ র চলচ চ ত র প আলমগ র র প রস ক র র র জন ম

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল

বাঁশির সঙ্গে সখ্য সেই শৈশবে। গ্রামে যাত্রাপালায় গান করতেন আর বাঁশির সুরে ছড়াতেন মুগ্ধতা। জীবন-জীবিকার তাগিদে একসময় বেছে নেন রিকশাচালকের পেশা। গ্রাম ছেড়ে থিতু হন ব্যস্ত শহরে। তবে বাঁশের বাঁশিকে হাতছাড়া করেননি শফিকুল ইসলাম (৪৫)।

যানজটে গতি থামতেই রিকশার হ্যান্ডেল ছেড়ে শফিকুল কোমর থেকে হাতে নেন প্রিয় বাঁশি। হর্নের কর্কশ ধ্বনি এড়িয়ে তখন বাতাসে ভাসে সুরের মূর্ছনা। বেখেয়ালি যাত্রী আর পথচারীরা হঠাৎ মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে থাকেন বাঁশিওয়ালার দিকে।

দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বাঁশির সঙ্গে মিতালি গড়েছেন শফিকুল। সেই বাঁশির সুরেই যেন তাঁর জীবন বাঁধা। অভাব, দুর্দশা আর দারিদ্র্যও এ বন্ধন থেকে তাঁকে আলাদা করতে পারেনি। রিকশার প্যাডেলের ছন্দে তাঁর ঠোঁটে বিমূর্ত হয়ে বাঁশির করুণ সুর। বগুড়া শহরের পথচারীদের কাছে তিনি ‘বাঁশিওয়ালা রিকশাওয়ালা’ হিসেবে পরিচিত।

শফিকুলের পৈতৃক ভিটা বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার শালিখা গ্রামে। তবে জীবিকার তাগিদে থাকেন বগুড়া শহরের মালতীনগর এলাকার একটি গ্যারেজে। গত রোববার বিকেলে তাঁর দেখা মেলে বগুড়া শহরের কোর্ট হাউস স্ট্রিটের ব্যস্ত সড়কে। শেষ বিকেলে যানজটে যখন পথচারীরা বিরক্ত, তখন বাতাসে ভেসে আসে ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই’ ভাওয়াইয়া গানটির সুর।

দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বাঁশির সঙ্গে মিতালি গড়েছেন শফিকুল। রিকশার প্যাডেলের ছন্দে তাঁর ঠোঁটে বিমূর্ত হয়ে বাঁশির করুণ সুর। বগুড়া শহরের পথচারীদের কাছে তিনি ‘বাঁশিওয়ালা রিকশাওয়ালা’ হিসেবে পরিচিত।

এরই একফাঁকে আলাপ হয় শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। কথায় কথায় তিনি জানান, দারিদ্র্যের কারণে পঞ্চম শ্রেণির গণ্ডি পেরোতে না পেরোতেই পড়ালেখা বন্ধ করতে হয়। এরপর জড়িয়ে পড়েন গ্রামের একটি যাত্রাপালার দলে। ‘কাজলরেখা’, ‘সাগরভাসা’, ‘গুনাইবিবি’, ‘রাখালবন্ধু’, ‘রূপবান’সহ নানা লোককাহিনিনির্ভর যাত্রাপালায় অভিনয় ও গান করেছেন। শুধু তা–ই নয়, গানের সুরে হারমোনিয়ামও বাজাতেন। এসবের ফাঁকে ফাঁকে টুকটাক রিকশা চালাতেন তখন।

পরিবারের বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল বলেন, ২০০০ সালে বিয়ে করেন। স্ত্রী মোর্শেদা গৃহিণী। তাঁদের তিন মেয়ে—শরীফা, শম্পা ও শাকিলা। এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে। স্ত্রী ও দুই মেয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। মাসে দুবার তিনি বাড়িতে যান। শফিকুলের দাবি, বগুড়া শহরে রিকশা চালিয়ে দিনে পান ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। থাকা-খাওয়া ও রিকশার জমা খরচ ছাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা থেকে যায়। সেই টাকায় চলে সংসার।

শুরুতে শহুরে জীবন শফিকুলের একদম ভালো লাগত না, মন পড়ে থাকত সেই গ্রামে। মন ভালো রাখতে রিকশা চালানোর সময় গুনগুন করে গাইতেন। এর মধ্যে শহরের রাস্তায় একদিন এক বাঁশিওয়ালার সঙ্গে তাঁর দেখা। তাঁর কাছ থেকে উপার্জনের ৮০ টাকা দিয়ে একটি বাঁশি কেনেন তিনি। এরপর রাতে গ্যারেজে শুয়ে সেই বাঁশিতে সুর তোলেন। এখন বাঁশি তাঁর নিত্যসঙ্গী।

বাঁশি বাজাতে বাজাতে রিকশা চালানো অভ্যাস হয়ে গেছে জানিয়ে শফিকুল বলেন, যানজটে আটকা পড়লে বাঁশিতে সুর তোলেন। যাত্রী না পেলে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে একমনে বাঁশি বাজান। সুর শুনে যাত্রীরা ১০-২০ টাকা বেশি ভাড়া দেন কখনো কখনো।

গরিব হওয়ার কারণে মেয়ের পরিবারের লোকজন প্রেমে বাধা হয়। বড়লোকের ছলের লগে বিয়ে হয় মেয়েটার। সেই থাকে গান আর সুর সঙ্গী।শফিকুল ইসলাম

স্মৃতি হাতড়ে শফিকুল বলেন, একবার ঢাকায় রিকশা চালাতে গিয়েছিলেন। দৈনিক বাংলার মোড়ে রিকশা থামিয়ে একমনে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি ২০ তলা ভবন থেকে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তির চিৎকার শুনতে পান। ওপরে তাকাতেই ৫০ টাকার একটা নোট নিচে ফেলে দেন ওই ব্যক্তি। প্রশংসা করেন বাঁশির সুরের।

আলাপচারিতা একসময় আনমনে হয়ে পড়েন শফিকুল। বলেন, ‘মন তো (মনে) না পাওয়ার কষ্ট আচে। ১৬ বছর বয়সে এলাকার এক মেয়ের প্রেমে পড়চিনু। ৬ মাস ভালোই চলিচ্চিল সেই প্রেম। গরিব হওয়ার কারণে মেয়ের পরিবারের লোকজন প্রেমে বাধা হয়। বড়লোকের ছলের লগে বিয়ে হয় মেয়েটার। সেই থাকে গান আর সুর সঙ্গী। আরও পরে সঙ্গী হয় বাঁশি। এহন বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলে থাকপার চেষ্টা করি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
  • আসামিদের হুমকিতে অসহায় মা, নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি