মস্কো উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে ‘মাস্তুল’
Published: 3rd, April 2025 GMT
মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে ঢাকার চলচ্চিত্র ‘মাস্তুল’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। গতকাল বুধবার বিকেলে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগসহ উৎসবের বিভিন্ন বিভাগের ছবির নাম ঘোষণা করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।
উৎসবের ৪৭তম আসর শুরু হচ্ছে ১৭ এপ্রিল। আট দিনব্যাপী এই উৎসবের পর্দা নামবে ২৪ এপ্রিল। এতে ঢাকার ‘মাস্তুল’ ছাড়া থাকছে রাশিয়া, কোরিয়া, স্পেন, আর্জেন্টিনা, জার্মান, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১১ সিনেমা।
এর আগে ‘আম কাঁঠালের ছুটি’ বানিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। উৎসবে যোগ দিতে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে মস্কোয় যাওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানান নির্মাতা। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উৎসবের পোস্টার শেয়ার করেছেন নির্মাতা। পোস্টারটি তৈরি করেছেন শিল্পী ধ্রুব এষ।
সিনেমাটির পটভূমি নিয়ে নূরুজ্জামান বলেন, ‘আমার বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। ছোটবেলা থেকেই জাহাজিদের জীবনের নানা কর্মকাণ্ড দেখে আসছি। খুব ইচ্ছা ছিল তাঁদের জীবনচিত্র ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দী করার। “মাস্তুল”–এর মাধ্যমে সেই সুযোগ পেয়ে তা আর হাতছাড়া করলাম না।’
‘মাস্তুল’ চলচ্চিত্রের দৃশ্য.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উৎসব র
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু