বোলার বল ছুড়তেই স্টেডিয়াম অন্ধকার, এরপর যা হল
Published: 5th, April 2025 GMT
নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ঘটে গেল অদ্ভুত এক ঘটনা। বোলার বল করতে দৌড়েছেন, ব্যাটার তৈরি, এই মুহূর্তে হঠাৎ করে স্টেডিয়ামজুড়ে নেমে এলো অন্ধকার! বিদ্যুৎ বিভ্রাটের এমন অদ্ভুত সময়ে বল চলে গেল বাউন্ডারির বাইরে, তৈরি হলো হাস্যকর এক দৃশ্য।
ঘটনাটি ঘটে ইনিংসের ৩৯তম ওভারে। পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে তখন ক্রিজে ছিলেন তাইয়েব তাহির, বল করছিলেন কিউই পেসার জ্যাকব ডাফি। ওভারের চতুর্থ বল করতে গিয়ে পপিং ক্রিজে ঢুকেই বল ছাড়েন ডাফি, আর ঠিক তখনই পুরো স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট নিভে যায়। অন্ধকারে বল হাতছাড়া হয়ে যায়, এবং সোজা চলে যায় সীমানার বাইরে।
তাইয়েব তাহির দ্রুত স্টাম্প ছেড়ে সরে যান, কিন্তু বল কোন দিক দিয়ে এল, বুঝে উঠতে পারেননি উইকেটকিপারও। মুহূর্তের বিভ্রান্তি কাটিয়ে দর্শক ও খেলোয়াড়দের মাঝে হাস্যরস ছড়িয়ে পড়ে। ধারাভাষ্যকাররাও বিস্ময় প্রকাশ করে বলতে থাকেন, ক্রিকেট মাঠে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের ঘটনা অনেকবার দেখলেও কখনো বোলারের হাত থেকে বল বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে তা ঘটতে দেখেননি।
pic.
অবশ্য বিদ্যুৎ বিভ্রাটের এই নাটকীয়তা ম্যাচের ফল বদলাতে পারেনি। পাকিস্তান এরপর ৪০ ওভারে ২২১ রানে গুটিয়ে যায়। ফলে ৪৩ রানের জয় পেয়ে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।