সুন্দরবনে অপহৃত ছয় নারীসহ ৩৩ জেলে উদ্ধার
Published: 10th, April 2025 GMT
সুন্দরবনে অপহৃত ছয় নারীসহ ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
এর আগে, বুধবার বিকেলে তাদের উদ্ধার করা হয়। একই দিন সকালে ছয় নারীসহ ৩৩ জেলেকে অপহরণ করে বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা। উদ্ধারকৃত জেলেদের বাড়ি খুলনার কয়রা থানার বিভিন্ন এলাকায়। তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
সিয়াম-উল-হক বলেন, ‘‘সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার কয়রা এলাকায় মাছ ও কাঁকড়া ধরার সময় ৩৩ জেলেকে অপহরণ করে বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা। পরে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘খবর পেয়ে সুন্দরবনের করকরি নদীর মাল্লাখালী এলাকায় অভিযান চালায় কোস্টগার্ড সদস্যরা। এ সময় বনদস্যুরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে গহীন বনে পালিয়ে যায়। পরে দস্যুদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ছয় নারীসহ অপহৃত ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় তাদের ব্যবহৃত ১৬টি নৌকাও।’’
ঢাকা/শহিদুল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন দরবন ৩৩ জ ল ক
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।