নির্বাচনের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা চায় বিএনপি
Published: 16th, April 2025 GMT
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নিয়ে যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং দ্রুত সময়ে যাতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয় সে দাবি নিয়ে আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বসতে যাচ্ছে বিএনপি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথাও জানাবেন দলের নেতারা।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আজ দুপুর ১২টায় এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল অংশ নেবেন।
বিএনপিদলীয় সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজকের বৈঠকের ওপর নির্ভর করছে পরবর্তী পদক্ষেপ বা কর্মসূচি কী হবে। নেতারা সরকারের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করবেন। যদি ডিসেম্বরে নির্বাচনের নিশ্চিত আভাস পাওয়া যায়, তাহলে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে মনোযোগ দেবে দলটি। নির্বাচনের সময়সীমা ও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিয়ে পরিষ্কার ধারণা না পেলে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে ভাববে বিএনপি।
এ বৈঠকের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে তার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে হবে। আমরা তো সবসময় বলে আসছি, আলোচনার মধ্য দিয়ে, ঐক্যের মধ্য দিয়ে একটা নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই। নিঃসন্দেহে এটি সম্ভব হবে এবং আমরা সবাই সফল হবো।’ চিকিৎসা শেষ ওই দিনই তিনি সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় ফেরেন।
দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য সমকালকে জানান, সরকারের সঙ্গে এর আগের বৈঠকগুলোতে নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। বরং সরকারের ভেতরে-বাইরের নানা কথায় ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠকেও তিনি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন। সেই মতে বিএনপি অনুরোধ জানিয়েছিল, জনমনে বিভ্রান্তি দূর করতে প্রধান উপদেষ্টা যেন জাতির সামনে রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তিনি যেন নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেন। এর বাস্তবরূপ দেখা যায়নি। এখন আবার শুরু হয়েছে এই সরকারকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় রাখার প্রচারণা। পাঁচ বছরের কথাও কেউ কেউ বলছেন। এর পেছনে সরকারের কারও কারও ইন্ধন থাকতে পারে বলে মনে করছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করে উল্টো পথে হাঁটার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি– এ কেমন আচরণ? যখনই ডিসেম্বরের মধ্য নির্বাচনের দাবি করা হয়, তখনই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যে গণতন্ত্র, ভোটাধিকারের জন্য এত মানুষ প্রাণ দিল, আন্দোলন করল, সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে আপত্তি কোথায়? কাদের সুবিধা দিতে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা আসছে? কেন অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে? এসব বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ না পেলে দলীয় কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়েছিল বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে। সংস্কার ইস্যুকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছিল বিএনপি। দলটি শুরু থেকে বলে আসছে, নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত ভোটের ব্যবস্থা করা হোক। এ দাবির সপক্ষে তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়াও বাম ঘরানার দলগুলোর সম্মতি আছে। এর বিপরীত অবস্থানে আছে জামায়াতে ইসলামী, নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিসহ কয়েকটি ইসলামী দল। তাদের দাবি, আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। কথা হচ্ছে ছোট না বড় সংস্কার, এ নিয়েও।
বিএনপি নেতারা সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে করার পক্ষে। তারা বলছেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচন-সংক্রান্ত সংস্কারগুলো কিংবা সংবিধান বাদে অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার সরকারের নির্বাহী আদেশ কিংবা অধ্যাদেশের মাধ্যমে করতে পারে। শুধু সংবিধান সংস্কারের যেসব বিষয়ে ঐকমত্য সৃষ্টি হবে সেসব নির্বাচিত সংসদে বাস্তবায়ন করা হবে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো প্রয়োজন নেই।
এ অবস্থায় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে সমমনা সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করছে বিএনপি। আজকের বৈঠকেও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না পেলে পরিস্থিতি অনুযায়ী করণীয় ঠিক করে ইতিবাচক কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়ার ইচ্ছা দলটির। এরই মধ্যে তারা সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকও শুরু করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেন ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা। আবার আরেকজন বলেন জুনে নির্বাচন। আরেকজন বলেছেন, পাঁচ বছর এই সরকার থাকার দরকার, জনগণ চায়। একজন উপদেষ্টা বললেন, তারা নির্বাচিত। এদিকে সরকারের ঘনিষ্ঠ একজন বললেন, গণতন্ত্রের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারের সৃষ্টি হয়। এই যে কথাগুলো—এতে একটা বিভ্রান্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এতে নির্বাচন নিয়ে জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরাও দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি। এটি পরিষ্কার করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাচ্ছি আমরা।’ সরকার নির্বাচনের নির্দিষ্ট রূপরেখা না দিলে বিএনপি কী করবে–এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগে আলোচনা হোক। কী আলোচনা হয় দেখি, শুনি; তারপর এ বিষয়ে কথা বলব।’
কাল ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আগামীকাল বৃহস্পতিবার। বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৩ মার্চ ঐকমত্য কমিশনে সংস্কারের মতামত জমা দেওয়ার পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এর আগে ৬ মার্চ পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে ৩৭টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে ‘স্প্রেড শিট’ (ছক আকারে) পাঠিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ গণতন ত র ব এনপ র সরক র র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নির্বাচনমুখী কর্মসূচিতে যাবে
সংস্কার প্রশ্নে বাড়াবাড়িতে না গিয়ে দ্রুত নির্বাচনমুখী কর্মসূচির দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে শিগগিরই নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন এবং প্রার্থী বাছাইয়ের দিকেও মনোযোগ দেবে দলটি।
গত সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর এসব বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দলটির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এ ছাড়া জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দলের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা, জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্য না হলে এর প্রতিক্রিয়ায় কী হতে পারে, অথবা সরকারের দিক থেকে অমীমাংসিত সংস্কার চাপিয়ে দেওয়া হলে এর পরিণতিতে কী হতে পারে—এসব বিষয়ে নেতারা আলোচনা করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সভায় অংশ নেন। তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
ওই সূত্র বলছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনে করেন, জুলাই জাতীয় সনদ বা গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক সংস্কার প্রশ্নে বিএনপির দিক থেকে যে অবস্থান প্রকাশ করা হয়েছে, এর বাইরে আর তেমন কিছু করার নেই। এখন বিএনপির অপেক্ষায় থাকাই ভালো যে এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বা সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি বিএনপির উচিত হবে এ নিয়ে কোনো ধরনের বাড়াবাড়িতে না গিয়ে দ্রুত নির্বাচনমুখী কর্মসূচির দিকেই যাওয়া—যাতে অন্য শক্তি নির্বাচনমুখী পরিবেশ সৃষ্টির পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকব। সংস্কারের ব্যাপারে সরকার যা খুশি করুক, ভবিষ্যতে যাতে এটা নিয়ে আইনি চ্যালেঞ্জ না হয়, সেটাই বিএনপির চাওয়া।’
এর আগে স্থায়ী কমিটির একটি সভায় সারা দেশে জাতীয় নির্বাচনের ঢেউ সৃষ্টি এবং মানুষকে নির্বাচনমুখী করে তুলতে মাঠের কর্মসূচি শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দলটির নেতারা। কিন্তু সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার সমাপ্তি না হওয়ায় বিএনপি মাঠের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকে।
জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ সাতটি দল জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজনসহ কয়েকটি দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিএনপি মনে করে, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা অমীমাংসিত রেখেই দলগুলো কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সে কারণে বিএনপিরও কর্মসূচি শুরু করা উচিত বলে মনে করেন দলটির নেতারা।
অবশ্য জামায়াতসহ কয়েকটি দলের কর্মসূচির বিষয়ে সোমবার রাতে প্রথম আলোকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছিলেন, জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকা অবস্থায় কর্মসূচি ঘোষণা স্ববিরোধিতা। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, এই আন্দোলন কাদের বিরুদ্ধে, সেটা দেখতে হবে। এটা কি অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে, নাকি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিরুদ্ধে, নাকি বিএনপির বিরুদ্ধে? এটা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার কোনো কৌশল কি না, সেটাও দেখতে হবে।
সোমবার স্থায়ী কমিটির সভায় বিএনপির নেতারা বিরোধী পক্ষের রাজনৈতিক কৌশলের বিপরীতে মাঠের কর্মসূচি দিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্যের মাধ্যমে জবাব দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনে করছেন, মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী হাওয়া উঠে গেলে বিরোধীদের সব চক্রান্ত এবং অযৌক্তিক দাবি হারিয়ে যাবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি একাধিকবার এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে এবং দেশবাসীকে দৃঢ়ভাবে আশ্বস্ত করেছেন। সে অনুযায়ী নির্বাচনের লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে ভোটের হাওয়া তৈরি করার কথা ভাবছেন বিএনপির নীতিনির্ধারণী নেতারা।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনী অঙ্গীকার বা প্রতিশ্রুতি হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির বিষয়েও নেতারা স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনা করেন। ইশতেহার তৈরির জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থ-বাণিজ্য, পররাষ্ট্র, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন খাতভিত্তিক বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থায়ী কমিটির সভায় জাতীয় পার্টিকে (জাপা) নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতির ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপি নীতিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের মতো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে। সেটি তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকেও বলেছিল।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে জনপ্রত্যাশা পূরণের অঙ্গীকারের পাশাপাশি সংস্কার বাস্তবায়নমুখী ইশতেহার হবে।