সারা দেশে পাঁচ দিন বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
Published: 16th, April 2025 GMT
সারা দেশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। আর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে আগামী পাঁচ দিন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
একইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে, ঢাকায় বুধবার বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে নগরবাসী জীবনে স্বস্তি আসে। তবে টানা ৩ ঘণ্টার বৃষ্টি ভুগিয়েছে তাদের। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ঢাকায় এটি সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরবর ত বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় পাগলের মতো বোমা ফেলছে ইসরায়েল
গাজা শহর দখলের লক্ষ্যে বৃহৎ পরিসরে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি হামলার মুখে হাজার হাজার পরিবার গাজা শহর থেকে পালানোর চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ার তিন সন্তানের জননী ৩২ বছর বয়সী লিনা আল-মাঘরেবি বিবিসিকে জানিয়েছেন, বিপদ সত্ত্বেও তিনি তার বাড়ি ছেড়ে যেতে অনিচ্ছুক ছিলেন। তবে একজন ইসরায়েলি অফিসার ফোন দিয়ে তাকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাদওয়ান বলেন, “স্থানচ্যুতির খরচ এবং একটি তাঁবুর খরচ মেটাতে আমাকে আমার গয়না বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। খান ইউনিসে পৌঁছাতে আমাদের ১০ ঘন্টা সময় লেগেছিল এবং আমরা যাত্রার জন্য তিন হাজার ৫০০ শেকেল (৭৩৫ পাউন্ড) দিয়েছিলাম। গাড়ি এবং ট্রাকের লাইন অনেক দীর্ঘ।”
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজা শহরে একটি ‘শক্তিশালী অভিযান’ শুরু করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আল-রশিদ উপকূলীয় সড়ককে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য একমাত্র অনুমোদিত পথ হিসেবে মনোনীত করেছে। অনেকেই তীব্র যানজট, গাড়ি ও ট্রাকের অবিরাম সারি এবং দীর্ঘ বিলম্বের বর্ণনা দিয়েছেন। সেখানে পরিবারগুলো রাস্তার ধারে আটকা পড়ে আছে এবং আকাশে বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার রাতভর ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজা শহরজুড়ে ভারী বিমান হামলা চালিয়েছে। কেন্দ্রীয় আল-দারাজ পাড়া, পশ্চিমে সৈকত শরণার্থী শিবির এবং উত্তরে শেখ রাদওয়ানে ঘনীভূত বোমাবর্ষণ করেছে। এই হামলাগুলোর সাথে কামান, ড্রোন এবং হেলিকপ্টার গানশিপ তৎপরতাও ছিল।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তারা তাদের আক্রমণের ‘পরবর্তী পর্যায়ে’ গাজা শহরে ‘ধীরে ধীরে’ অগ্রসর হচ্ছে। বিমান এবং স্থল বাহিনী সামরিক অভিযানের এই পরবর্তী পর্যায়ে অংশ নেবে।
বাসিন্দারা রাতভর হামলাগুলোকে ‘নরক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা গাজি আল-আলৌল বিবিসিকে বলেন, “ঘন্টা ধরে বোমাবর্ষণ উন্মাদনাপূর্ণ এবং সেনাবাহিনী এলাকার বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ভেঙে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।”
ঢাকা/শাহেদ