চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
Published: 21st, April 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গীতে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (২০ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার রেল কলোনি বস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম সিজন (২৫)। তিনি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার কান্দিপাড়া গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে। সিজন পরিবার নিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন পশ্চিমপাড়া রেল কলোনি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিজন একটি পুরাতন মালামাল কেনাবেচার দোকানে কাজ করতেন। রবিবার রাতে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন তিনি। এসময় দুই যুবক চায়ের দোকানে এসে সিজনকে ডেকে বাইরে নিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
আরো পড়ুন:
মামা-মামি ও বোনকে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড
রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
সেখানে সিজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু, পরিবারের সদস্যরা তাকে রাজধানীর উত্তরা এলাকার আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে গেলে চিকিৎসক সিজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
ঢাকা/রেজাউল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর–সংলগ্ন মিরপুর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক, সতর্ক অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের দিন রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন একদল বিক্ষোভকারী। সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়েছে। এ নিয়ে সেখানে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকাসংলগ্ন মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে দিনভর সংঘর্ষের পর অবশেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
আজ সোমবার রাত আটটার পর মিরপুর থেকে নিউমার্কেটগামী সড়কটি খুলে দেওয়া হয়। আর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিউমার্কেট থেকে মিরপুরগামী সড়কটি খুলে দেওয়া হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, মিরপুর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনের সড়কটিতে ছোট ছোট ইটের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীদের কাউকে দেখা যায়নি। পরে রাত ১১টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সড়ক পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সড়কটির প্রবেশমুখে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। সড়কটি দিয়ে কাউকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি এলাকাটিতে বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক রাতে ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভকারীদের সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে দিয়েছি। যান চলাচল শুরু হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে রাতেও পুলিশের সতর্ক অবস্থান থাকবে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গতকাল জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড হয়। সাবেক আইজিপি (পুলিশ মহাপরিদর্শক) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের হয় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড (তিনি রাজসাক্ষী বা অ্যাপ্রুভার ছিলেন)।
এ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রোববার দিবাগত রাত থেকেই বিভিন্ন দল, সংগঠন, প্ল্যাটফর্ম ও ব্যক্তি পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর মধ্যে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ওই বাড়িটি ভাঙার ঘোষণা দেন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
রাত ১০টার পর নিউমার্কেট-মিরপুর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়