বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে নিয়োগ পদ সংখ্যা ৬৬২
Published: 23rd, April 2025 GMT
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড সম্প্রতি ১৩টি পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এসব পদে মোট ৬৬২ জন জনবল নিয়োগ পাবেন। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোর যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারবেন যে কেউ। অনলাইনে পদগুলোর জন্য আবেদন শুরু হবে আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে থেকে।
পদের নাম ও পদসংখ্যা:
১. পেন্ট্রিম্যান (ক্যাজুয়াল)
পদসংখ্যা: ১৬২টি
আবেদনের বয়স: ৩২ বছর
২.
পদসংখ্যা: ৮টি
আবেদনের বয়স: ৩২ বছর
৩. হাইজিন হেলপার (ক্যাজুয়াল)
পদসংখ্যা: ১৬টি
আবেদনের বয়স: ৩২ বছর
৪. কিচেন হেলপার (ক্যাজুয়াল)
পদসংখ্যা: ২৫টি
আবেদনের বয়স: ৩২ বছর
৫. বেকার হেলপার (ক্যাজুয়াল)
পদসংখ্যা: ১২টি
আবেদনের বয়স: ৩২ বছর
৬. মেইন্টেন্যান্স হেলপার (ক্যাজুয়াল)
পদসংখ্যা: ১০টি
আবেদনের বয়স: ৩২ বছর
৭. স্টোর হেলপার (ক্যাজুয়াল) (শুধু পুরুষ)
পদসংখ্যা: ৫টি
আবেদনের বয়স: ৩২ বছর
৮. এয়ারক্রাফট টেকনিক্যাল হেলপার (ক্যাজুয়াল)
পদসংখ্যা: ১৪০টি
আবেদনের বয়স: ৩২ বছর
৯. পাম্প অপারেটর (ক্যাজুয়াল)
পদসংখ্যা: ১টি
আবেদনের বয়স: ৩২ বছর
১০. ফায়ার হেলপার (ক্যাজুয়াল)
পদসংখ্যা: ৫টি
আবেদনের বয়স: ৩২ বছর
১১. স্টোর হেলপার (ক্যাজুয়াল)
পদসংখ্যা: ১৮টি
আবেদনের বয়স: ৩২ বছর
১২. সিকিউরিটি গার্ড (ক্যাজুয়াল)
পদসংখ্যা: ১০০টি
আবেদনের বয়স: ৩২ বছর
১৩. এয়ারক্রাফট ক্লিনার (ক্যাজুয়াল)
পদসংখ্যা: ১৬০টি
আবেদনের বয়স: ৩২ বছর
আবেদনের যোগ্যতা
প্রতিটি পদে আবেদনের জন্য আবেদনের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও অন্য শর্ত জানা যাবে বিজ্ঞপ্তিতে।
চাকরি আবেদনের বয়স
প্রার্থীর বয়স ২৩ এপ্রিলে ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। এসএসসি সনদের ভিত্তিতে বয়স নির্ধারিত হবে। বয়স প্রমাণের জন্য এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।
আবেদন ফি—
১ থেকে ১৩ নম্বর পদের জন্য আবেদন ফি ১১২ টাকা।
আবেদনের নিয়ম—
আগ্রহী প্রার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন।
আবেদন শেষ কবে—
আগ্রহীরা আগামী ২২ মে পর্যন্ত আবেদন জমা দিতে পারবেন। ওই দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন জমা দেওয়া যাবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পদস খ য ৩২ বছর র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজর কখন পড়বে
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নে দ্বিতল ভবনবিশিষ্ট একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রে ওষুধ নেই, চিকিৎসক নেই, বিদ্যুৎ–সংযোগ নেই। ফলে তেমন একটা রোগীও নেই। এই ‘নাই নাই’ হাসপাতালটির নাম মাস্টারদা সূর্য সেন মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র। এভাবে কি একটা হাসপাতাল চলতে পারে? প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে যাওয়ার এমন নমুনা আমাদের হতাশ করে। দেশজুড়ে এ রকম আরও চিত্র আমরা দেখতে পাই, যা আমাদের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ইতিবাচক কোনো বার্তা দেয় না।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ২০০৩ সালে চালু হওয়া এই ১০ শয্যার হাসপাতালটির মূল সমস্যা জনবলসংকট। ১৬টি পদের ১টিতেও স্থায়ী জনবল পদায়ন করা হয়নি। অন্য হাসপাতাল থেকে প্রেষণে এসে মাত্র তিনজন কর্মচারী (একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন মিডওয়াইফ ও একজন আয়া) সপ্তাহে কয়েক দিন করে দায়িত্ব পালন করেন। এটি একটি জরুরি প্রসূতিসেবাকেন্দ্র, যা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকার কথা। কিন্তু বিদ্যুৎ নেই, ডাক্তার নেই এবং প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে এর কার্যক্রম এখন প্রায় স্থবির।
হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় প্রায় তিন মাস ধরে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। বিনা মূল্যের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে প্রায় ছয় মাস ধরে। এ পরিস্থিতিতে একজন রোগী কীভাবে এখানে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসবেন? যেখানে হাসপাতালের বাইরের সাইনবোর্ডে জরুরি প্রসূতিসেবার জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকার কথা লেখা, সেখানে মূল ফটকে তালা ঝোলানো। এটি জনগণের সঙ্গে একধরনের প্রতারণা। হাসপাতালটি চালু না থাকায় মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল বা চট্টগ্রাম শহরে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। এতে সময় ও অর্থ—দুটোরই অপচয় তো বটেই, চরম ভোগান্তিরও শিকার হতে হয় মানুষকে।
যে মিডওয়াইফরা এখানে কাজ করছেন, তাঁরা জানান, এখন মাসে মাত্র চার-পাঁচজন প্রসূতি সেবা নিতে আসেন, যেখানে আগে শতাধিক প্রসূতি সেবা পেতেন। নিরাপত্তা প্রহরীরা দুই বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না। তবু নিয়মিত বেতন পাওয়ার আশায় তাঁরা এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। এ অসহনীয় দুর্ভোগের কারণ হলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, তাঁরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনবলসংকটের কথা জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখতে কেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধরনা দিতে হবে? জনবল নিয়োগ, কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ, বিদ্যুতের ব্যবস্থা কার্যকর করা—সব ধরনের সংকট দূর করতে হাসপাতালটির দিকে আন্তরিক মনোযোগ দেওয়া হবে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।