রুয়ার নতুন অ্যাডহক কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন
Published: 3rd, May 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) নতুন অ্যাডহক কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক একরামুল হামিদকে অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলামকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে রুয়ার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রুয়ার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব অন্য পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে অ্যাডহক কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। এই কমিটি ও নির্বাচন কমিশন রুয়ার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
অ্যাডহক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুর রহিম মিয়া, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছামিউল ইসলাম সরকার, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম ও অ্যাগ্রোনমি অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।
অন্যদিকে রুয়া নির্বাচন কমিশনে অন্য কমিশনার হলেন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের অধ্যাপক দিল আরা হোসেন, আইন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক নূরুল মোমেন ও অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মান্নান।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১০ মে রুয়ার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রুয়া নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীরা একই দিন বিকেলে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সন্ধ্যায় উপাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবনের ফটকে তালা দিলেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা
হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করার অভিযোগ তুলে উপাচার্যের বাসভবনের ফটকে তালা দিয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আধা ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল দলের সদস্যরা গেটের তালা খুলে দেন।
বাসভবনে তালা দিয়েছেন বুলবুল রহমান। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও উর্দু বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বুলবুল রহমানের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে ২০২৫ সালের নতুন সার্কুলারে উর্দু বিভাগে ৩ জন নিয়োগের কথা উল্লেখ করে ৬ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রেখেছে। সোমবার সিন্ডিকেট সভায় সেই নতুন নিয়োগকে অনুমোদন দেওয়া হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি উপাচার্য ভবনের ফটকে তালা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ছাত্রদল নেতা বুলবুল রহমান বলেন, ‘উর্দু বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে তিনজনের কথা বলা হলেও লিখিত পরীক্ষায় ছয়জনকে উত্তীর্ণ করে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছে। ২০২৩ সালের বিজ্ঞপ্তিটিই ২০২৫ সালে পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে এবং বিভাগে কোনো পদ শূন্য নেই। এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলাম। তিনি বিষয়টিকে গোপনীয় বলে এড়িয়ে যান। এর প্রতিবাদেই উপাচার্যের বাসভবনে তালা দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ২০২৩ এবং ২০২৫ সালের পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আদালতের নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে মেনেই নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। উপাচার্য বাসভবনে সোমবার সিন্ডিকেট সভা বসবে। সেখানে বেশ কিছু বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হবে। সেই সভাকে বাধা দেওয়ার জন্য তিনি (বুলবুল রহমান) উপাচার্যের বাসভবনে তালা মেরেছেন। একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁর এ ধরনের কাজ করা মোটেও সমীচীন হয়নি।’
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। কয়েকটি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়ার কথা রয়েছে।