অনুমোদন অপেক্ষায় ১৮ ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার পর্ষদ সভা
Published: 4th, May 2025 GMT
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৮টি ব্যাংক ২০২৪ সালের আর্থিক হিসাব এখনো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন পায়নি। ফলে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ লভ্যাংশ সভার তারিখ ঘোষণা করেও তা স্থগিত করেছে।
রবিবার (৪ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংকগুলো হলো- এবি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, রূপালি ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সাউথবাংলা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ও এবি ব্যাংক।
তথ্য মতে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং রুলস অনুযায়ী, অর্থবছর শেষে হওয়ার পরবর্তী ৪ মাসের মধ্যে লভ্যাংশ সভা করতে হয়। সেই হিসাবে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর অর্থবছর শেষে ব্যাংকগুলোর জন্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লভ্যাংশ সভা করার জন্য সময় ছিল।
তবে ব্যাংকগুলোর প্রধান নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো ১৮টি ব্যাংকের ২০২৪ সালের আর্থিক হিসাব অনুমোদন দেয়নি। যে কারণে ব্যাংকগুলো ৩০ এপ্রিলের মধ্যে লভ্যাংশ সভা করার জন্য তারিখ ঘোষণা সত্ত্বেও তার স্থগিত করেছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলকে অস্ত্র দেবে না কানাডা
গাজায় মানবিক পরিস্থিতি অবনতির প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলে সমরাস্ত্র রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করেছে কানাডা। রবিবার (৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
শনিবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ এক বিবৃতিতে জানান, গাজায় ব্যবহারের সম্ভাবনা আছে- এমন সামগ্রী রপ্তানির জন্য ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে কোনো নতুন লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়নি।
তিনি বলেন, “গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে- এমন সামরিক পণ্যের লাইসেন্স আমরা ২০২৪ সালের শুরুতেই স্থগিত করেছি এবং এখনও তা স্থগিতই রয়েছে। কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি।”
আরো পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল আরো ৬৮ ফিলিস্তিনির
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি: কানাডার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুুঁশিয়ারি
গত ২৯ জুলাই প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কানাডা থেকে ইসরায়েলে এখনও অস্ত্র যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আনন্দ বলেন, ‘প্রতিবেদনের বেশ কিছু দাবি বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি ব্যাখ্যা করেন, “প্রতিবেদনে যেগুলোকে গুলি বলা হয়েছে, সেগুলো আসলে পেইন্টবল ধাঁচের। এগুলোর সঙ্গে এমন যন্ত্রও ছিল, যা আগ্নেয়াস্ত্রকে সাধারণ গোলাবারুদ ব্যবহারে অকার্যকর করে তোলে। এগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী নয়। যদি কেউ এমন কিছু ব্যবহারের চেষ্টা করে, তা হলেও সেটির জন্য লাইসেন্স লাগবে- আর সেই লাইসেন্স কখনোই দেওয়া হতো না।”
তিনি আরো নিশ্চিত করেন, “লাইসেন্স স্থগিত হওয়ার আগ থেকেই কোনো কানাডীয় প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলে মর্টার সরবরাহ করেনি- সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোনও ভাবেই নয়।”
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করে আরো বলেন, “বৈধ লাইসেন্স ছাড়া কেউ সামরিক পণ্য রপ্তানি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে জরিমানা, মালামাল জব্দ এবং ফৌজদারি মামলা।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা কখনোই কানাডায় তৈরি অস্ত্রকে এই সংঘাতে ব্যবহৃত হতে দেব না।”
ঢাকা/ফিরোজ