আটাব সভাপতি-মহাসচিবের বিরুদ্ধে এয়ার টিকিটের মূল্য কারসাজির অভিযোগ
Published: 4th, May 2025 GMT
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি ও মহাসচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে এয়ার টিকিটের মূল্য কারসাজিও রয়েছে। আটাব সংস্কার পরিষদ থেকে তিন মন্ত্রণালয়ে এসব লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কেন আটাবে প্রশাসক নিয়োগ করা হবে না, তা জানতে শোকজ (কারণ দর্শাও) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ২২ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আটাব সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ ও মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহকে শোকজ পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তাহসিনা বেগমের সই করা নোটিশে সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
এর আগে গত ১৮ মার্চ আটাব সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক ও মঈন ট্রাভেলসের মালিক গোফরান চৌধুরী অভিযোগপত্র জমা দেন। এটা দেওয়া হয় মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের কাছে। এ আবেদনে সভাপতি ও মহাসচিবকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ বলা হয়। কমিটি বাতিল করে দ্রুত প্রশাসক নিয়োগের আহ্বান জানানো হয়। একই দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (বিমান ও সিএ) কাছে একই অভিযোগ করে সংস্কার পরিষদ। ১ মার্চ গোফরান চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং আমির হোসেন আরিফকে সদস্য সচিব করে ১৬ সদস্যবিশিষ্ট আটাব সংস্কার পরিষদ গঠন করা হয়।
অভিযোগগুলো কী
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ সংগঠনের মহাসচিব থাকাকালে ২০১৯ সালে আটাব অনলাইন (ওটিএ-অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি) প্রতিষ্ঠা করেন। এটা বাণিজ্য সংঘবিধি ও আটাব সদস্যদের স্বার্থের পরিপন্থি। আটাব অনলাইনকে ব্যবহার করে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ জন্য আব্দুস সালাম আরেফের এয়ার স্পিড (প্রা.
এর আগে ২০২২ সালে আটাব অনলাইন গঠনের নামে তৎকালীন সভাপতি এসএন মনজুর মোরশেদ মাহবুব এবং মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। তখন এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগপত্র দাখিল করেন কমিটির কয়েকজন নেতা।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বর্তমান কমিটির সময় নির্বাচন ও আটাব মেলাসহ বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে। এর পক্ষে কোনো বিল জমা দেওয়া হয়নি। আরেফ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিট গ্রুপ বুকিংয়ের মাধ্যমে ব্লক করে এয়ার স্পিড নামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রচার করেন। চড়া দামে বিক্রি করেন। ২০২৩-২৪ সালে মালয়েশিয়াগামী এবং ২০২৫ সালে সৌদি আরবগামী যাত্রীদের টিকিট গ্রুপ ব্লক করে দাম বাড়িয়ে বেচেন। এ ছাড়া আটাব সদস্যদের বিদেশে ফেম ট্রিপের নামে অর্থ পাচার করেছেন সভাপতি ও মহাসচিব।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আটাব সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের আত্মীয় পরিচয় দিতেন। প্রশাসনের সহায়তায় ২০১১ সাল থেকে ‘নিয়ম রক্ষার নির্বাচনে’র মাধ্যমে দুবার মহাসচিব এবং সভাপতি হন। আটাব মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মরহুম মুহায়মিন সালেহর মেয়ে। আওয়ামী লীগ নেত্রী পরিচয়ে তিনি একাধিকবার সহসভাপতি ও মহাসচিবসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হন।
সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক গোফরান চৌধুরী সমকালকে বলেন, সভাপতি ও মহাসচিব আটাব অনলাইন থেকে চেকের মাধ্যমে নিজ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পরে এটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে শেয়ারহোল্ডারদের টাকা ফেরত দেননি।
আটাব সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ সমকালকে বলেন, ‘সংস্কার পরিষদ ভুঁইফোঁড় সংগঠন। এর সঙ্গে জড়িতদের ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায় পরিচিতি নেই। নানা অভিযোগে এরই মধ্যে ৩০ জনের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। এখন তাদের কেউ কেউ সংস্কার পরিষদের নামে আটাবের নির্বাচিত কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে সরকার, মিডিয়া ও জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।’
নিয়মরক্ষার নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ২০২৪ সালের ৫ মার্চ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। এতদিন পর অভিযোগ করা অবান্তর।’
অনলাইনের নামে চেক ইস্যু করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রসঙ্গে সালাম বলেন, ‘এটা প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২০১৯ সালে এস এন মনজুর মোরশেদ মাহবুবের উদ্যোগে। সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে অনলাইন বিলুপ্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এ জন্য মনজুর মোরশেদ মাহবুবের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। আটাব অনলাইনের নামে আমরা কোনো চেক ইস্যু বা টাকা আত্মসাৎ করিনি।’
অর্থ পাচার ও টিকিট ব্লকিংয়ের বিষয়ে সভাপতি বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক নই। এখন আমাদের যদি ফ্যাসিস্টের সহযোগী তকমা লাগানো হয়, তাহলে তো বলব, গত ১৬ বছর যারা এখানে ছিলেন ও ব্যবসা করেছেন, সবাই তাই।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নোটিশের জবাব যথাসময়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য গ কর আট ব স সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোথায় বাধা
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার স্বপ্ন বহু দশক ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়াও চলছে বহু দশক ধরে। ১৯৪৫ সালের পর জাতিসংঘের ১৪০টির বেশি সদস্যরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো স্বীকৃতি দেয়নি। তার এ অবস্থান শুধু ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সম্পর্ককেই নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তৃত ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান মূলত ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ নীতির ওপর নির্ভরশীল। এর অর্থ হলো, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অনিশ্চিত স্বীকৃতি, ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য দাবির পক্ষে পদক্ষেপ না নেওয়া, সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলকে সামরিক–অর্থনৈতিক দিক থেকে তার সহায়তা করা মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিবন্ধক।
যুক্তরাষ্ট্রের এ পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান পশ্চিমা ও আরব জোটের মধ্যেও বিভাজন বাড়িয়েছে, শান্তিপ্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করেছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আন্তর্জাতিক মর্যাদা সীমিত করেছে। বিপরীতে, ইসরায়েলকে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একগুঁয়ে ও বেপরোয়া রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে এ নীতি।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের অবস্থান
২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে ‘সদস্যবহির্ভূত পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরে ২০১৫ সালের মধ্যে ১৩৮টি দেশ ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ অর্জনের প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করা হয়, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা ভেটো দিয়ে থামায়।
পরবর্তী মাসে (মে ২০২৪) সাধারণ অধিবেশনে একটি প্রস্তাব পাস হয়। এ প্রস্তাব ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের ‘পূর্ণ সদস্য হওয়ার যোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা ও নিরাপত্তা পরিষদকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে উৎসাহী হতে বলে।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৪৭টি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদ এখনো হয়নি ফিলিস্তিনের। চলতি সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আরও কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র এতে খুশি নয়।
ঐতিহাসিক পটভূমি: ‘দুই রাষ্ট্রের সমাধান’
বিশ শতকের শেষ ভাগ থেকে ‘দুই রাষ্ট্রের সমাধান’ ফিলিস্তিন–ইসরায়েল শান্তিপ্রক্রিয়ার মূল কাঠামো হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এ সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রশাসন মূলত এই নীতিকে সমর্থন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র সব সময় বলে এসেছে যে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে হতে হবে, একতরফা বা আন্তর্জাতিক চাপের মাধ্যমে নয়।
১৯৪৮ সালে দখলদার ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠা, ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের আরব–ইসরায়েল যুদ্ধ ও ১৯৯৩ সালের অসলো শান্তিচুক্তি—সব মিলিয়ে ‘দুই রাষ্ট্র সমাধানের’ রূপরেখা তৈরি হয়েছে।
মার্কিন প্রশাসনের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের দাবি, একতরফাভাবে স্বীকৃতি শান্তি আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে, ‘উগ্রপন্থী’ গোষ্ঠীকে উৎসাহিত করতে পারে এবং সীমান্ত, নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক অচলাবস্থা তৈরি করতে পারে।
ফিলিস্তিনি জনগণও সমান অধিকার ও স্বাধীনতা অর্জনের যোগ্য। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।যুক্তরাষ্ট্র–ইসরায়েল কৌশলগত সম্পর্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিন নীতি প্রায়ই তার ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্ক দিয়ে প্রভাবিত। সেই ১৯৪৮ সাল থেকে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর যুক্তরাষ্ট্র সেনা সাহায্য, উন্নত অস্ত্র সরবরাহ, গোয়েন্দা তথ্য ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে এসেছে দেশটিকে।
এই সমর্থনের মধ্যে শুধু মার্কিন অস্ত্র বিক্রি নয়; ইসরায়েলকে সাইবার নিরাপত্তা, সামরিক প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধকৌশলীয় পরামর্শ প্রদানও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, একতরফা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হলে ইসরায়েলের সঙ্গে এ কৌশলগত জোটে ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ লক্ষণ তৈরি হতে পারে। ইসরায়েলপন্থী লবিগুলো, যেমন ‘এআইপিএসি’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনকে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত রাখে।
ফিলিস্তিন সরকারের সক্ষমতা
যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের সক্ষমতা নিয়েও সন্দেহ পোষণ করে। দেশটির যুক্তি, ফাতাহ (পশ্চিম তীর) ও হামাসের (গাজা) মধ্যে বিভাজন ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির জন্য উপযুক্ত নয়। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে মনে করে।
গাজা ও পশ্চিম তীরে প্রশাসনিক অচলাবস্থা, মানবিক সংকট, বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের অভাব—এসবও ফিলিস্তিনকে একটি কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালিত হতে ব্যর্থ করবে বলে বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের। এর ফলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেও ফিলিস্তিনের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনা চ্যালেঞ্জপূর্ণ হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান পশ্চিমা ও আরব জোটের মধ্যেও বিভাজন বাড়িয়েছে, শান্তিপ্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করেছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আন্তর্জাতিক মর্যাদা সীমিত করেছে।আন্তর্জাতিক আইন ও আদালতের প্রভাব
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) ২০২৪-এর পরামর্শমূলক রায় হলো, ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি অঞ্চল (গাজা, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম) দখল করা অবৈধ। ইসরায়েলকে দ্রুত এ দখল ছাড়তে হবে। আবার দখলকৃত স্থানে ইহুদি বসতি নির্মাণ, এর সম্প্রসারণ ও শিক্ষানীতি বৈধ নয়।
এদিকে ২০১৫ সালে রোম সনদে স্বাক্ষর করেছে ফিলিস্তিন। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তের এখতিয়ার দিয়েছে।
এসব আইনি ভিত্তি শক্তিশালী হলেও ফিলিস্তিনকে কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বাধা এখনো রয়ে গেছে।
ইসরায়েলের দখলকৃত জেরুজালেমে বিশ্ব মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ আল–আকসা