ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজী: ট্রাম্প
Published: 10th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজী হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ শনিবার কিছুক্ষণ আগে এক্স হ্যান্ডেলে এ কথা জানিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে রাজী হয়েছে। শুভবুদ্ধির ব্যবহার করে দুপক্ষ এই সিদ্ধান্তে আসায় তাদের অভিনন্দন।
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের তিন ক্রয় প্রস্তাবে ব্যয় ৮৮৯ কোটি টাকা
রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় মরক্কো ও কাফকো থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির ২টি এবং রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের ১টি ভেরিয়েশন প্রস্তাবসহ ৩টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৮৯৮ কোটি ৯৯ লাখ ২৯ হাজার ২৫৫ টাকা।
মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড.সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর থেকে ১২তম (ঐচ্ছিক-৩য়) লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। মরক্কো হতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানি করা হয়। এর আগে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তসমূহ অভিন্ন রেখে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে মরক্কো থেকে ১২তম লটে ৪০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন ডিএপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ব্যয় হবে ২ কোটি ৬৬ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের দাম ৬৬৫ মার্কিন ডলার। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মরক্কো থেকে ডিএপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ৪.২৭ লাখ মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৩.৩৯ লাখ মেট্রিক টন।
আরো পড়ুন:
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৪ প্রস্তাব অনুমোদন
জাহাজ শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে এমওইউ করতে চায় আলজেরিয়া
সভায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ এর কাছ থেকে ১৬তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাফকো, বাংলাদেশ হতে ৫.৪০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয়ের সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১৬তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের জন্য প্রাইস অফার পাঠানোর অনুরোধ করা হলে কাফকো, বাংলাদেশ প্রাইস অফার পাঠায়। কাফকোর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সারের মূল্য নির্ধারণ করে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার প্রতি মেট্রিক টন ৪১৭.২৫ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫২ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ইউরিয়া সার ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩২ লাখ মেট্রিক টন। তার মধ্যে কাফকো, বাংলাদেশ থেকে ক্রয় করা হবে ৫.৪০ লাখ মেট্রিক টন।
সভায়, ‘দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মায়ানমারের কাছে গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলেগেজ ট্র্যাক নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-ডব্লিউডি-১ এর লট-১ এর পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনক্রমে প্রকল্পের পূর্ত কাজ সিটি জয়েন ভেঞ্চার-এর সঙ্গে ৩ হাজার ২৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় ক্রয়ের চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় মাঠ পর্যায়ে কাজের ক্ষেত্রে বাস্তবতার আলোকে নির্মাণ কাজের কিছু আইটেম হ্রাস/বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৪২১ কোটি ৭৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৫৫ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।
ভেরিয়েশনের কারণ হিসেবে জানা গেছে, ৬০টি বক্স কালভার্টের স্থানে ১৩৬টি বক্সকালভার্ট নির্মাণ, ৫টি স্টেশনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, কালভার্টের স্পেনের দৈর্ঘ্য ৪৭৬ মিটারের পরিবর্তে ৮২৫ মিটার, ব্রিজের পাইলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিসহ আরো বেশকিছু কাজ অতিরিক্ত করতে হয়েছে বিধায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ