সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার উপর সন্ত্রাসীদের হামলা, ৪ লাখ টাকা লুট
Published: 10th, May 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা জাকির সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এসময় নগদ ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ও ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৯ মে) রাত ৭টায় সিদ্ধিরগঞ্জের ওমরপুর বটতলা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই জাকির বাদী হয়ে শাহজালাল ওরফে কালু (৪০), সোহেল (৩০), হিরু (৫৫), রবিন (৩৫), রিয়াদ (৩০) ও ফারুক (৩২) নামে ৬ জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হামলার শিকার জাকির সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ডের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার আ: বাতেনের ছেলে। তিনি ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক ত্রান বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। আর অভিযুক্তরা হলো, সিদ্ধিরগঞ্জের ৫নং ওয়ার্ডের ওমরপুর এলাকার সোলেমানের ছেলে শাহজালাল ওরফে কালু, সোহেল এবং একই এলাকার হিরু ও তার ছেলে রবিন, রিয়াদ এবং একই এলাকার ফারুক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৭টার দিকে বিবাদীগনসহ অজ্ঞাতনামা অপরপক্ষগন সিদ্ধিরগঞ্জের ওমরপুর বটতলা এলাকায় পাকা রাস্তার উপর মারামরি করছিল।
আমি ঘটনাস্থল দিয়ে মোটর সাইকেলযোগে যাওয়ার সময় বিবাদীগন আমাকে তাহাদের শত্রুপক্ষ মনে করে আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা আমাকে এলোপাথারী মারপিট করতে থাকে।
বিবাদীগন আমাকে টানা-হেচড়া করিয়া আইয়ুবনগর বালুর মাঠ এলাকায় নিয়ে পূনরায় এলোপাথারী মারপিট করে শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে। আমি মাটিতে পরিয়া গেলে বিবাদী সোহেল আমার পরনে থাকা প্যান্টের ডান পকেট হতে গরুর হাটের ব্যবসার নগদ ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
বিবাদী রবিন আমার গলায় থাকা ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ৬ আনা ওজনের একটি স্বর্নের চেইন নিয়ে যায়। এসময় আমার ডাক চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এস আমাকে উদ্ধার করে। তখন বিবাদীগন সময় সুযোগ পাইলে আমাকে প্রানে মেরে ফেলবে বলিয়া হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। লোকজনের সহায়তায় খাঁনপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হতে চিকিৎসা গ্রহণ করি।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাহীনুর আলম জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ র এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস