ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
Published: 10th, May 2025 GMT
ভারত-পাকিস্তান চলমান সংঘর্ষের মধ্যে উভয় দেশ অস্ত্রবিরতিতে রাজি হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই, তাদের কার্যকর মধ্যস্থতার জন্য।’
প্রতিবেশী ওই দুই দেশ কুটনীতিকভাবে মতপার্থক্য নিরসনের যে কোনো উদ্যোগকে বাংলাদেশ সমর্থন জানাবে বলেও এই বিবৃতিতে বলা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের পথ খুলল
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন পেয়েছে। সংশোধনীতে কোনো রাজনৈতিক দল, তার সহযোগী সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণহত্যার জন্য দলগতভাবে আওয়ামী লীগের বিচার করার পথ খুলে গেল।
শনিবার (১০ মে) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি দলগতভাবে তাদের বিচার দাবি করে আসছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতা। জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এই দাবি নিয়ে ৮ মে রাতে রাজপথে নামে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি আরো কয়েকটি দল। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। অবশেষে তাদের আলটিমেটামের মুখে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হলো।
আরো পড়ুন:
আ.লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ: জেলায় জেলায় আনন্দ, মিষ্টি বিতরণ
পাবনায় আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামি লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে বিফ্রিংয়ে এসব সিদ্ধান্ত জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
তিনি জানান, আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হবে।
এর মধ্য দিয়ে আন্দোলনকারীদের তিন দাবিই পূরণ করল অন্তর্বর্তী সরকার।
ঢাকা/সুকান্ত/রাসেল