ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
Published: 10th, May 2025 GMT
ভারত-পাকিস্তান চলমান সংঘর্ষের মধ্যে উভয় দেশ অস্ত্রবিরতিতে রাজি হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই, তাদের কার্যকর মধ্যস্থতার জন্য।’
প্রতিবেশী ওই দুই দেশ কুটনীতিকভাবে মতপার্থক্য নিরসনের যে কোনো উদ্যোগকে বাংলাদেশ সমর্থন জানাবে বলেও এই বিবৃতিতে বলা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জানুয়ারির মধ্যে বই পাবে শিক্ষার্থীরা: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রথম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এবার সময়মতোই নতুন বই হাতে পাবে। তিনি আশাবাদী ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যেই নতুন বই দেওয়া সম্ভব হবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
বৈঠকে ২০ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের তিনটি প্রস্তাব ছিল। তিনটি প্রস্তাবই পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয়সংক্রান্ত। বৈঠকে তিনটি প্রস্তাবই অনুমোদিত হয়।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু পাঠ্যবইয়ের ক্ষেত্রে পুনঃ দরপত্রের প্রয়োজন হয়েছিল। তবে সার্বিক অনুমোদন প্রক্রিয়া এখন শেষ হয়েছে। যে বইগুলো বাকি ছিল, সেগুলোর জন্য আমরা পুনঃ দরপত্র চেয়েছিলাম। আগের সব অনুমোদনও নিষ্পত্তি হয়েছে। সামান্য কিছু দেরি হলেও আশা করছি সময়মতো বই পাওয়া যাবে।’
কত দিন দেরি হতে পারে, জানতে চাইলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার জানুয়ারির মধ্যেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য জানুয়ারির মধ্যেই সবার হাতে বই পৌঁছে দেওয়া।
কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে গত শনিবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারও বলেছিলেন, জেলার সব উপজেলায় ইতিমধ্যে নতুন পাঠ্যবই পৌঁছে গেছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।
ক্রয় কমিটির বৈঠকের পর অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অনেকে মনে করেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। এটা সত্য নয়। আগে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, তখন কি সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল? শুধু যেসব কার্যক্রম সরাসরি নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে, সেগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।
ভারত থেকে চাল কেনা হচ্ছে
এদিকে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। চাল সরবরাহের কাজ পেয়েছে ভারতের নিউট্রিয়াগ্রো ওভারসিজ ওপিসি প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতি টন চালের দাম পড়বে ৩৫১ দশমিক ৪৯ মার্কিন ডলার।
স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৭২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা দিয়ে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হচ্ছে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়ছে ৭২ টাকা ৩৫ পয়সা। খুলনার জয়তুন অটো রাইস অ্যান্ড ডাল মিলস লিমিটেড এ ডাল সরবরাহ করবে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪৩৬ কোটি ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫২ টাকা। কাজ পেয়েছে এম এস টোটাল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড।