‘জঘন্য সাজ’ কানে পোশাক নিয়ে কটাক্ষের শিকার উর্বশী
Published: 14th, May 2025 GMT
বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম সম্মানজনক আসর ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ এ প্রতিবারই পেখম পেলেন বলিউড তারকা উর্বশী রাউতেলা। আবেদনময়ী লুকে রূপের দ্যুতিতে চমক জাগান রেড কার্পেট। প্রতিবারই তাকে নিয়ে হয় আলোচনা। কখনো সেটা ইতিবাচক কখনও বা নেতিবাচক।
মঙ্গলবার (১৩ মে) কান চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনীর দিনেও দেখা মিললা উর্বশীকে। চোখে নীল রঙের আইশ্যাডো। হেয়ারস্টাইলের কায়দাও বেশ নাটকীয়তার ছোয়া পরিলক্ষিত। সেই সঙ্গে ক্রিস্টালের হেয়ারব্যান্ড৷ অফ শোল্ডার গাউন। তাতে নানা রঙের মিলমিশ। ২০২৫ সালের ‘কান চলচ্চিত্র’ উৎসবের লাল গালিচায় ঠিক এই রূপেই ধরা দিলেন অভিনেত্রী।
উর্বশীর কানে ছিল মানানসই দুল। ফ্রান্স ফ্যাশনের শহর। সে দেশে গিয়ে নিজেকে একটু অন্য ভাবেই সকলের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই চেষ্টার ফল হলো তিক্ত। রেড কার্পেটে হাঁটার সময় অভিনেত্রীর হাতে ছিল প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকার ক্লাচ। তবে অভিনেত্রীর সাজ মনে ধরল না অনুরাগীদের।
অভিনেত্রীর ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হতেই ধেঁয়ে আসে একের পর এক কড়া সমালোচনা। অনেকেই বলছেন এ যুগে এসেও উল্টোপথে হাঁটলে কী করে হয়! অভিনেত্রীর অতিরিক্ত রূপসজ্জা মন ভরাতে পারেনি নেটিজেনদের। অনেকে আবার অভিনেত্রী ‘এ আই’ বলে বিদ্রুপ করেছেন৷
পোস্টের মন্তব্যের ঘরে মিলেছে তার প্রমাণ। অভিনেত্রীর পোস্টে একজন লিখেছেন, ‘জঘন্য সাজ।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘উর্বশীকে এড়িয়ে যাওয়া ভালো হবে।’ এবারই প্রথম না এর আগে ৭৬তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে গলায় টিকটিকি জড়িয়ে কটাক্ষের মুখে পড়েছিলন উর্বশী।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ন চলচ চ ত র উৎসব ক ন চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ২৬ হাজারের মতো শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে শুধু গাজা নগরীতে এই সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। এসব শিশুর জন্য জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন।
গত মঙ্গলবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকার মুখপাত্র টেস ইনগ্রাম। মঙ্গলবারই ইসরায়েলি সেনারা গাজা নগরীতে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছেন।
ইনগ্রাম বলেন, আগস্টে গাজায় প্রতি আট শিশুর একজন মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত ছিল, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ হার। গাজা নগরীতে এই অনুপাত প্রতি পাঁচে একজন। তিনি বলেন, গাজা নগরী থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষকে জোরপূর্বক সরানো হচ্ছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের প্রাণনাশ হতে পারে। ইসরায়েলের স্থল অভিযানের মুখে শহরের পুষ্টিকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি সেনারা বলছেন, দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মানুষ খাদ্য, ওষুধ ও তাঁবু পাবেন। তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে ঘোষিত ‘মানবিক আশ্রয়’ এলাকাগুলোতেও হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইনগ্রাম বলেন, ‘গাজায় সাত শতাধিক দিনের যুদ্ধ-ধ্বংসযজ্ঞে প্রায় পাঁচ লাখ শিশুকে এক নরক থেকে আরেক নরকে ঠেলে পাঠানো হয়েছে, যা অমানবিক।’
জাতিসংঘের হিসাবে, গাজা নগরী ও আশপাশের এলাকাগুলোর ১০ লাখ মানুষের প্রায় ৪০ শতাংশ ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।