‎আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানিকৃত পশুর চামড়া স্থানীয় পর্যায়ে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে নিরবিচ্ছিন্নভাবে লবণ সরবারহ ও প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত। ‎বুধবার (১৪ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়

‎‎এসময় জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা, নারায়ণগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা লবণ মালিক ও চামড়া ব্যবসায়িকগণ উপস্থিত ছিলেন।

‎এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন,আমাদের মুসলামান ধর্মের সবচাইতে বড় উৎসবগুলো আছে তার মধ্যে একটি অন্যতম উৎসব আমরা সেই উৎসবে। ‎আমাদের ধর্ম যে রীতি আছে সেখানে আমাদের যেত্যাগের যে ইতিহাস আছে আমরা সেই ইতিহাস 

‎সেই রীতি অনুযায়ী আমরা পশু জবাই দিয়ে থাকি আজকে আমরা সবাই মিলে সেই পশুর কিভাবে পশুর চামড়া গুলো কিভাবে আমরা সুন্দরভাবে ম্যানেজমেন্টটা আওতায় নিয়ে আসবো পশুর চামড়াগুলো আমার সংরক্ষণ করবো। আমাদের  লবণের কোনো ঘাটতি নেই।

‎ আর জায়গা বিষয়টি  হচ্ছে নিধারিত স্থান সংরক্ষণের জায়গায়  ৭ থেকে ১০ দিন সর্বোচ্চ ১০ দিন  সেখানে আপনাদের চামড়া গুলোর রাখতে পারবেন।

এসময় তিনি আরো বলেন,  যেহেতু চামড়া আমাদের একটি মূল্যবান সম্পদ আমরা বিদেশে চামড়া এক্সপোর্ট করে থাকি এবং এই চামড়া থেকে আমাদের দেশেরও অনেক শিল্প-কারখানা আছে।

আমাদের অনেকে চামড়া শিল্পের সাথে কাজ করে থাকে সুতরাং এই যে কাঁচামাল এটি যেন কোনভাবে আমাদের নষ্ট না হয় সচেতন হয়ে আমরা সুন্দরভাবে এই চামড়া ব্যবস্থাপনাটা করতে চাই।
‎ কেউ কোনরকম কোন অশুদ্ধ উপায় অবলম্বন না করে সেটিও আমরা  লক্ষ্য রাখবো।
‎  
‎ অনেক সময় চাঁদাবাজে মতন ঘটনা ঘটে জোর করে চামড়া  নিয়ে থাকে। সেগুলো যদি কারো মাথায় থেকে থাকে বলব এগুলো ভুলে যান। এই ধরনের কোন ঘটনা আমরা করতে দিব না এ ধারণার কাজ যে করবে আমরা  তার বিরুদ্ধে  আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

অতীতে ‎চামড়া জোর করে নেওয়া হয়েছে এ ধরনের কালচার আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি এবং এটা আর হবে না । হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গর র হ ট আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি শরীয়তপুরবাসীর

প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে শরীয়তপুরের নাম অন্তর্ভুক্ত না করার দাবিতে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়ক ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ‘জাগো শরীয়তপুর’ নামে একটি সংগঠন। তারা জানান, সরকার এ ধরনের কোনো চিন্তা বা চেষ্টা করে থাকলে, সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে বের হয়ে চৌরঙ্গীর মোড়ে গিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। এতে প্রায় এক ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

বিক্ষোভকারীরা জানায়, শরীয়তপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব কম, ফরিদপুরের দূরত্ব বেশি। শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা, দাপ্তরিকসহ সব কার্যক্রম ঢাকার সঙ্গে। তাই শরীয়তপুরের সঙ্গে ঢাকার মেলবন্ধন। সেই বন্ধনেই অটুট থাকতে চায় শরীয়তপুরবাসী। তাই জেলা ফরিদপুর বিভাগে যুক্ত হতে চান না। 

প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে শরীয়তপুরের নাম অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি তাদের। তাদের এই দাবি মানা না হলে আগামীতে কঠিন কর্মসূচির হুশিয়ারী দিয়ে তারা বলেন, অন্তর্বতী সরকার যদি টালবাহানা করে তাহলে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। দাবি না মানা হলে পদ্মা সেতু ব্লকেড কর্মসূচিও দেওযা হবে।

এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, “শরীয়তপুরের মানুষদের কোনোভাবেই জোরপূর্বক প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে না। যদি সরকার এ ধরনের কোনো চিন্তা বা চেষ্টা করে থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।” 

তিনি জানান, ৫ তারিখে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে গণসমাবেশও হবে। এরপরও যদি সরকার কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তারা পদ্মা সেতু অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

জাগো শরীয়তপুরের সদস্য জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকির হাওলাদার বলেন, “প্রতিদিন হাজারো মানুষ পড়াশোনা, চাকরি কিংবা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যায়। ফরিদপুরের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই, তাই শরীয়তপুরকে ফরিদপুর বিভাগে যুক্ত করার প্রশ্নই আসে না। প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের নামে জনগণকে বঞ্চিত করা যাবে না। যদি শরীয়তপুরকে জোর করে ফরিদপুর বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা হয়, তবে শরীয়তপুরের মানুষ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।”

জাগো শরীয়তপুরের আহ্বায়ক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, “আজকের এই রৌদ্রের তাপে দাঁড়িয়ে যারা রাস্তা অবরোধ কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন, আমি তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে এই কর্মসূচি করছি। তবে স্পষ্ট করে বলতে চাই যদি শরীয়তপুরকে ঢাকার সঙ্গে না রেখে জোরপূর্বক ফরিদপুরের সাথে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে এই আন্দোলন আর শান্তিপূর্ণ থাকবে না।”

তিনি আরো বলেন, “আগামী ৫ অক্টোবর আমরা জেলার সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশাল জেলা-ভিত্তিক মহাসমাবেশের আয়োজন করছি। যদি তাতেও সরকার আমাদের দাবি অগ্রাহ্য করে এবং আওয়ামী লীগের একতরফা চিন্তাধারা চাপিয়ে দিতে চায়, তবে আমরা ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো জেলাকে অচল করে দেব। আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য সবকিছু ঢাকার সঙ্গে মিশে আছে। তাই আমরা ঢাকাতেই থাকতে চাই ফরিদপুরের সাথে যেতে চাই না।”

এসময় শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামি ছাত্র শিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ও সচেতন নাগরিক সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/আকাশ/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রূপগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট
  • অসুস্থ জামায়াত নেতা মাও. মঈনুদ্দিনের খোঁজখবর নিলেন বিএনপি নেতা টিপু 
  • শহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও বস্ত্র বিতরণ করলেন সাখাওয়াত-টিপু 
  • ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ আদৌ ফল দেবে কি
  • আড়াইহাজারে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
  • কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে বাবা-মার মৃত্যু, এতিম হলো ৪ সন্তান 
  • বৈরী আবহাওয়া বৃষ্টি উপেক্ষা করে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে সাখাওয়াত-টিপু
  • জাকির খানের নির্দেশে বিভিন্ন পূজা মন্ডপে পানি বিতরণ
  • শারদীয় দুর্গোৎসব আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যের অংশ : সজল 
  • সরকারের বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি শরীয়তপুরবাসীর