দিল্লিতে বাংলাদেশি দূতের পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান স্থগিত
Published: 15th, May 2025 GMT
অভিজ্ঞ কূটনীতিক রিয়াজ হামিদুল্লাহকে দিল্লিতে বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করার কথা ছিল। তবে, ওই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।
দিল্লির কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে এক অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার কথা ছিল রিয়াজ হামিদুল্লাহর। তিনি ছাড়াও পাঁচ জন দূতের পরিচয়পত্র পেশ করার আয়োজন ছিল। তবে, শেষ পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
রিয়াজ হামিদুল্লাহ গত ৭ এপ্রিল দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দিয়েছেন। এর আগে তিনি অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে আঞ্চলিক সংস্থা ও বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক বিষয় দেখভাল করতেন।
রিয়াজ হামিদুল্লাহ নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শ্রীলঙ্কাতেও বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
রিয়াজ হামিদুল্লাহ দিল্লিতে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
বিসিএস ফরেন ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা রিয়াজ হামিদুল্লাহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালক হিসেবে বিভিন্ন উইংয়ে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি জাতিসংঘ ও নয়াদিল্লি মিশনেও বিভিন্ন পদে কাজ করেছিলেন।
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ