সোনারগাঁয়ে জামায়াত নেতার উদ্যোগে খাল খনন
Published: 20th, May 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নেতা প্রিন্সিপাল ডক্টর ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়ার উদ্যোগে দীর্ঘ ৩ কিলোমিটার একটি জন গুরুত্বপূর্ণ খাল খনন শুরু হয়েছে। খালটি খননের ফলে প্রাণ ফিরে পাবে অত্যন্ত ২০০ বিঘার উপরে আবাদি জমি।
রবিবার সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান, গ্রিন এন্ড ক্লিন সোনারগাঁ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই খাল খনন কাজ উদ্বোধন করেন।
খাল খনন কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য, ইসলামিক এডুকেশন সোসাইটির পরিচালক ও জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী (নারায়ণগঞ্জ ৩) প্রিন্সিপাল ডক্টর ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া, অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানার রহমান, সোনারগাঁ উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা সেগুপ্তা মেহনাজ, জামপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব কামরুল ইসলাম, সাদীপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ রমজান আলী, বদরুদ্দীন বদু মেম্বার, তাজুল ইসলাম মেম্বার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী।
অনুষ্ঠানে ড.
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই খাল খনন হলে আবার চাষাবাদ শুরু হবে। কৃষকরা লাভবান হবে।
শিরাবো গ্রামের বাসিন্দা ডাক্তার আবু সাঈদ বলেন, বস্তল থেকে আমবাগ পর্যন্ত যে খালটি খনন হচ্ছে তা প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই খাল খনন হলে আট গ্রামের কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ খ ল খনন স ন রগ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভয় দেখাতে হামলা, নির্দেশদাতা এখনো পলাতক
চট্টগ্রাম নগরে কাস্টমসের দুই কর্মকর্তার প্রাইভেট কার থামিয়ে হামলার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে বান্দরবান থেকে কাজী মো. ইমন হোসেন (২৩) ও মো. সুজন (২৪)–কে গ্রেপ্তার করে ডিবি (পশ্চিম)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, এক ব্যক্তির নির্দেশে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে এ হামলা চালান। সেই নির্দেশদাতা এখনো পলাতক।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম) আমিনুর রশীদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, হামলার সময় ওই ব্যক্তির মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়। কাস্টমস কর্মকর্তাকে ভয় দেখানোই ছিল হামলার লক্ষ্য। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
৪ ডিসেম্বর সকালে নগরের ডবলমুরিং থানার সিডিএ আবাসিক এলাকায় কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বদরুল আরেফিন ভাড়ায় নেওয়া প্রাইভেট কারে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে তিন ব্যক্তি তাঁদের গাড়ি থামিয়ে চাপাতি দিয়ে গাড়ির কাচে কোপ দেন। গাড়ির কাচ ভাঙার পাশাপাশি হামলাকারীরা একজন আরেকজনকে বলতে থাকেন, ‘গুলি কর, গুলি কর’। তবে দুই কর্মকর্তা দ্রুত গাড়ি সরিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন।
কাস্টমস কর্মকর্তাদের ধারণা, সম্প্রতি বিভিন্ন অনিয়ম, রাজস্ব জালিয়াতি ও নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি আটকে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে জড়িত চক্র হামলা চালাতে পারে। কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যমানের নিষিদ্ধ পপি বীজ ও ঘন চিনি, প্রায় ৩০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ সিগারেট এবং মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী জব্দ করা হয়েছে। এসব অভিযানে দুজন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। প্রসাধনী জব্দের পর মো. আসাদুজ্জামানকে ফোনে হুমকিও দেওয়া হয়।
হামলার নির্দেশদাতার পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে তারা। তবে হামলায় ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, নিষিদ্ধ পপি বীজ, ঘন চিনি ও মিথ্যা ঘোষণায় আসা প্রসাধনী জব্দের কারণে একটি সিন্ডিকেট ক্ষুব্ধ। গত দুই মাসে এসব সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি আসছে।
আরও পড়ুনগাড়ি থামিয়ে কাচে চাপাতির কোপ, একজন বলতে থাকেন, ‘গুলি কর, গুলি কর’০৪ ডিসেম্বর ২০২৫