আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিতে ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মিনিস্টারে গত বছরের মতো এবারও চলছে ‘ফ্রিজ কিনুন হাম্বা জিতুন সিজন-০২’ অফার। অফারটির দেশব্যাপী প্রচারণার অংশ হিসেবে ‘রোড শো’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়।

গত সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর গুলশানে মিনিস্টারের প্রধান কার্যালয়ের সামনে প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে রোড শো ক্যাম্পেইনটির উদ্বোধন করেন মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

হুমায়ুন কবীর। এ সময় তিনি বলেন, ‘মিনিস্টার সব সময় গ্রাহকদের চাহিদা এবং সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অফার দিয়ে থাকে।’

গত বছর ঈদুল আজহা সামনে রেখে মিনিস্টার ঘোষণা করেছিল আকর্ষণীয় ‘ফ্রিজ কিনুন হাম্বা জিতুন’ অফার। এ বছর অফারটি দেশব্যাপী গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে আয়োজিত রোড শো ক্যাম্পেইনটি ঈদুল আজহার আগপর্যন্ত চলবে।

‘ফ্রিজ কিনুন হাম্বা জিতুন’ অফারের আওতায় গ্রাহকেরা মিনিস্টার ফ্রিজ কিনে স্ক্র্যাচকার্ড ঘষে পেতে পারেন ফ্রি গরু জিতে নেওয়ার সুযোগ। এ ছাড়া রয়েছে একটি ফ্রিজের সঙ্গে আরেকটি ফ্রিজ ফ্রি, নিশ্চিত বিশাল মূল্যছাড়, ক্যাশ ভাউচারসহ আকর্ষণীয় সব উপহার। মিনিস্টার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই অফারে দেওয়া গরু উপহারমাত্র, যা কোরবানির জন্য প্রযোজ্য নয়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার: পদত্যাগ করতে চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের পর তার মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ে পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করছেন। রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে অপমান বোধ করেছেন তিনি।

রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। তবে ভূমিকা মূলত আনুষ্ঠানিক এবং নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতে।

২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলেনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এর পরপর রাষ্ট্রপতির পদটি গুরুত্ব পায়। কারণ সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর তিনিই শেষ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ।

৭৫ বছর বয়সী সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালে হাসিনার আওয়ামী লীগ দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

ঢাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “আমি পদত্যাগ করতে আগ্রহী। আমি পদত্যাগ করতে আগ্রহী। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমার দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাওয়া উচিত। সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতি হওয়ায় আমি আমার অবস্থান ধরে রাখছি।”

তিনি জানান, ড. ইউনূস প্রায় সাত মাস ধরে তার সাথে দেখা করেননি, তার প্রেস বিভাগটি কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং সেপ্টেম্বরে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলি থেকে তার প্রতিকৃতি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বলেন, “রাষ্ট্রপতির প্রতিকৃতি ছিল, সমস্ত কনস্যুলেট, দূতাবাস এবং হাইকমিশনে রাষ্ট্রপতির ছবি ছিল এবং এক রাতেই হঠাৎ করে এটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মানুষের কাছে একটি ভুল বার্তা যাচ্ছে যে সম্ভবত রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হচ্ছে। আমি অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি।”

মো. সাহাবুদ্দিন জানান, তিনি ড. ইউনূসকে প্রতিকৃতি সম্পর্কে চিঠি লিখেছিলেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ