আপাতত পদত্যাগ নয়, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পক্ষে মত দিয়েছেন উপদেষ্টারা। বিতর্কের জন্ম দেওয়া বিষয়গুলো নিয়ে আত্মসমালোচনাও ছিল সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের বক্তব্যে। বড় সময়জুড়ে আলোচনায় ছিল জুলাই ঘোষণাপত্র। উপদেষ্টারা দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। শেষমেশ কাজে বাধা এলে সরকার হিসেবে কঠোর হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে আলোচনা শেষ করেছেন উপদেষ্টারা।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। বৈঠক শেষে দেওয়া আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারের দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হলে সব কারণ জনসমক্ষে প্রকাশ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত বৈঠকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির (একনেক) পূর্বনির্ধারিত সভার পর এ বৈঠক হয়। গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের আলোচনার এক দিন পর এ বৈঠক হলো।
বৈঠক সূত্র জানায়, একাধিক উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন। প্রয়োজনমতো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষেও মত এসেছে। সভায় একজন উপদেষ্টা বলেন, যে অস্থিরতা চলছে, তা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ঘনিষ্ঠতা ও যোগাযোগ বাড়ানো দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ না বাড়ানোর কারণে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। নানা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। এ জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে একজনকে ফোকালপারসন করার পরামর্শ দেন তিনি। তাঁর কাজ হবে নিয়মিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। একাধিক উপদেষ্টা সামনে যে কোনো বড় সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া উচিত বলে মত দেন।
আরেকজন উপদেষ্টা বলেন, বিতর্ক এড়াতে সব উপদেষ্টাকে কথাবার্তায় আরও সতর্ক হতে হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্র তৈরিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। নিয়মিত সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে।
পদত্যাগ করা উচিত নয়
বিএনপির নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবি, ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার কাছে তিন দিনের অবস্থান এবং মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সরকারের উদ্যোগের সমালোচনা; সর্বোপরি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে হতাশা ব্যক্ত করেন ড.
গতকালের বৈঠকে ২২ উপদেষ্টার মধ্যে ১৯ জন অংশ নেন। তারা মতামত দেন, এ পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করলে দেশে অস্থিতিশীলতা, বিশৃঙ্খলা বাড়বে। ফলে এর দায়ও ড. ইউনূসকে নিতে হবে। তারা দায়িত্ব পালনে সরকারকে কঠোর হওয়ার ওপর জোর দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উপদেষ্টা সমকালকে বলেন, ড. ইউনূস না থাকলে দেশের কী পরিস্থিতি হবে, বর্তমান সরকারের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব কিনা– এসব বিষয় শুক্রবার সারাদিন নিজেদের মতো পর্যালোচনা করেছেন উপদেষ্টারা। তারা একমত হন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারের পদত্যাগ দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।
বৈঠকে এক উপদেষ্টা বলেন, এ মুহূর্তে সরকার দায়িত্ব ছেড়ে দিলে মানুষ হতাশ হবে। দেশের পরিণতির জন্য অনেকে উপদেষ্টাদের দায়ী করবেন। তাই শক্ত হাতে সব কিছু মোকাবিলা করে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন দিয়ে এই সরকারের বিদায় নেওয়া উচিত।
২ ঘণ্টা ১০ মিনিটের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সবার বক্তব্য শোনেন। একনেক সভায় সচিবরা থাকলেও উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার একজন কর্মকর্তা ছাড়া পরিষদের সদস্য নন, এমন কেউ ছিলেন না।
আত্মসমালোচনা
বৈঠকে উপদেষ্টারা কীভাবে সংস্কার, বিচার ও নির্দিষ্ট সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেন। উপদেষ্টাদের ভুলভ্রান্তি নিয়েও কথা হয়। বৈঠকে আত্মসমালোচনাও করেন কয়েকজন উপদেষ্টা। ভুল শুধরে এগিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন তারা।
দুই উপদেষ্টার করিডোর নিয়ে আগ বাড়িয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলার বিষয়টিও আলোচনায় আসে। উপস্থিত একজন উপদেষ্টা তখন বলেন, বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তবে তিনি ভবিষ্যতে আরও সতর্ক হবেন।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট ও মন্তব্য করার ক্ষেত্রেও সরকারের সংশ্লিষ্টদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন উপদেষ্টারা। উপদেষ্টা কিংবা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট-কমেন্ট করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ এসব নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে।
সব কাজেই বাধা, মোকাবিলা করতে হবে
দায়িত্ব পালনে যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আসছে, সেগুলো নিয়ে একে একে কথা বলেন উপদেষ্টারা। একজন উপদেষ্টা বলেন, কোনো কাজ করতে গেলেই প্রতিবন্ধকতা আসছে। অনেকে নিজের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কাজ আদায় করতে না পেরে উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি করছেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে একটি গোষ্ঠী আন্দোলন করছে। সচিবদের মবের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাবেক কিছু আমলা। ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
সভায় পরামর্শ আসে, এই বিষয়টিকে শক্তভাবে মোকাবিলা করা দরকার। প্রতিবন্ধকতা কোথা থেকে আসছে, তা চিহ্নিত করা দরকার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের বিষয় তুলে ধরে একজন উপদেষ্টা বলেন, সরকারকে নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা অপপ্রচার হচ্ছে। অথচ এসব প্রচারণার কোনো ভিত্তি নেই।
সূত্রমতে, প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেছেন, পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্র চলছে। নানা ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হয়েছে বলে সভায় জানান তিনি।
সরকারের কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত
বৈঠক শেষে বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড এবং অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শত বাধার মধ্যেও গোষ্ঠীস্বার্থ উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সব কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কারকাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এ দেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।
প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না, আমরা যাচ্ছি না
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যাচ্ছেন না। অন্য কোনো উপদেষ্টাও কোথাও যাচ্ছেন না। আমরা অর্পিত দায়িত্ব ছেড়ে যেতে পারব না। এর ওপর নির্ভর করবে দেশের ভবিষ্যৎ।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বৈঠকে দায়িত্ব পালনে যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আসছে, সেগুলো নিয়েই আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের কাজ এগিয়ে নিতে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তি এবং রাষ্ট্রীয় সব সংস্থাকে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তার আহ্বান জানাচ্ছি। রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, সংস্থা, বিচার বিভাগসহ সবার কাছে সহায়তা চাই।’
বিএনপি তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে। এনসিপিও পাল্টা তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে। এ বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘কাজ শেষ না করে কেউ কোথাও যাচ্ছি না। কিছু উপদেষ্টাকে নিয়ে বিভিন্ন দল থেকে বলা হয়েছিল। এমনকি আমার বিষয়েও বলা হয়েছিল। উপদেষ্টারা কেউ স্বেচ্ছায় আসেননি, এই দায়িত্ব উপভোগ্যও নয়।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট একজন উপদ ষ ট ছ ন উপদ ষ ট র উপদ ষ ট দ র র পদত য গ দ ক উপদ ষ ট পর স থ ত সরক র র প রক শ সতর ক
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, সচিব কমিটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠাবে
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশের খসড়াটি সচিব কমিটির মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের জন্য যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশনের কাঠামো ও কার্যক্রমের খসড়া তৈরি করেছে।
খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এই কমিশনের চেয়ারপারসন হবেন। সদস্য থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ; গ্রেড-২ পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা; পুলিশ একাডেমির একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ; আইন, অপরাধবিজ্ঞান বিষয়ের একজন কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক; ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন একজন মানবাধিকারকর্মী।
আরও পড়ুনপুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে স্বাধীন কমিশন অপরিহার্য৮ ঘণ্টা আগেকমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন।কমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন। সদস্যরা যোগদানের দিন থেকে চার বছর নিজ নিজ পদে থাকবেন। মেয়াদ শেষে কোনো সদস্য আবার নিয়োগের যোগ্য হবেন না।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, পুলিশ কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বলা হয়েছে—এই কমিশন যেকোনো কর্তৃপক্ষ বা সত্তাকে কোনো নির্দেশ দিলে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সত্তা অনধিক তিন মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। তবে কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো অসুবিধা হলে সে ক্ষেত্রে নির্দেশ বা সুপারিশ পাওয়ার অনধিক তিন মাসের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। কমিশন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে যে নির্দেশ বা সুপারিশ পাঠাবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ বা সুপারিশ কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে কমিশনকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুনকোনো দল নয়, পুলিশের আনুগত্য থাকবে আইন ও দেশের প্রতি৯ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।এই কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের জন্য সাত সদস্যের সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। খসড়া অধ্যাদেশে প্রধান বিচারপতির মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মনোনীত একজন সরকারদলীয় এবং একজন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যকে বাছাই কমিটিতে রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ন্যূনতম পাঁচ সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হওয়া ও বাছাই কমিটির বাছাই প্রক্রিয়া শুরুর ৩০ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে।
আরও পড়ুন‘আওয়ামী পুলিশ, বিএনপি পুলিশ’ তকমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা১৭ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ খসড়ায় কমিশন প্রতিষ্ঠা, কার্যালয়, সদস্যদের নিয়োগ, মেয়াদ, কমিশনের সদস্য হওয়ার জন্য কারা অযোগ্য, সদস্যদের পদত্যাগ, অপসারণ, পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধি, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান-নিষ্পত্তি, পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভ নিরসন, পুলিশপ্রধান নিয়োগ, আইন-বিধি, নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা বিষয়েও প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনমাঝেমধ্যে শুনতে হয়, ‘উনি কি আমাদের লোক’: আইজিপি১৭ ঘণ্টা আগে